Date:

মেধ বা ভুঁড়ি কমিয়ে ফিটনেস হবার টিপস।

ওজন! অতিরিক্ত ওজন বা মেধ বিভিন্ন কারণে বাড়তে পারে। এর পিছনে আবহাওয়ারও প্রভাব হয়েছে।তবে মনে রাখতে হবে যে,কোন কিছুই মহান আল্লাহ্‌র ক্ষমতার  উপরে নয়।যায় হোক, নিজের একটু সতর্কতাও পারে নিজেকে ফিটনেস রাখতে। সামান্য অনিয়মেই ওজন বেড়ে যায়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ভুঁড়িও। পেটের বাড়তি চর্বি কিন্তু কেবল চেহারার আকর্ষণই কমায় না, ঘা নিজের আত্মবিশ্বাসও কমে দেয়।ডেকে আনে নানা অসুখ। জিমে গিয়ে ওয়ার্ক আউট কিন্তু ভুঁড়ির একমাত্র সমাধান নয়। তাহলে এর আসল সমাধান কি?হুম এর  ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক সমাধান আছে টা হলো-আমাদের খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি যদি রাখতে পারেন  তাহলেই জব্দ হবে ভুঁড়ি। দেখে নিন কী কী খাবার আপনাকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে।

শাক: বিভিন্ন শাক ও সবুজ পাতায় রয়েছে ভুঁড়িকে কবজা করার অব্যর্থ সব গুনাগুন। চিকিৎসকদের মতে, যেসব খাবারে পেটের চর্বি কমে, শাক-সবজি তাদের মধ্যে অন্যতম। ব্রেকফাস্ট বা দুপুরে খাবারের পাতে শাক রাখুন।কম ক্যালোরির এই খাবার অনেকের হজমের সমস্যা করে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিমাণ বুঝে শাক খান।মনে রাখুন বর্তমানে ফরমালিন যুক্ত প্রাণীজ আমিষের চেয়ে শাক-সাব্জির পুষ্টিগুণ আপনাকে শতগুণ ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
 
ব্রকোলি: এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, বিভিন্ন খনিজ লবণ ও ভিটামিন তো আছে।এছাড়াও এতে রয়েছে ফটোকেমিক্যাল।ফটোকেমিক্যাল চর্বি জমতে দেয় না শরীরে। তাই নিয়মিত ব্রকোলি খেয়ে কমিয়ে ফেলুন ভুঁড়ি।শীতকালের একটা অসাধারণ ফসল ফুলকপি।এই ফুলকপিতে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ।তাই মেধ বা ভুঁড়ি কমাতে চুটিয়ে খান ফুলকপি। 
 
মরিচ:মারিচ ছাড়া তরকারী হয়না ।আবার অনেকেই ঝাল খান না। কিন্তু ফ্যাট কমাতে হলে লঙ্কা খাবারের পাতে রোজই  খাওয়ার অভ্যাস করুণ । ডায়েটেশিয়ান বিমোচন সরকারের মতে, মরিচ ক্যালোরি পুড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শরীরে জমতে থাকা চর্বি অক্সিডাইজ করে। ফলে শরীরে চর্বি জমতে পারে না । মরিচে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকায় তা শরীরের ভিটামিন সি'এর অভাবও পুরন করে থাকে।
 
মাশরুম:বর্তমানে দেশ-বিদেশে আরেক জনপ্রিয় খাবারের নাম মাশরুম।সোজা বাংলায় ব্যাঙের ছাতা বলে আমরা অনেকেই জানি।এটি আঁশ জাতীয় খাবার যা ডায়াবেটিক রোগসহ মেধ কমাতে সাহায্য করে। মাশরুম রক্তে গ্লুকোজ বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া এটিতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি জমা রোধ করতে সাহায্য করে মাশরুম।
 
গাজর:বিভিন্ন সবজির মধ্যে গাজর অতি পরিচিত সবজি।এতে ক্যালোরির খুবই কম থাকে।এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকায় এটি শরীরের মেধ কমাতে সাহায্য করে।ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে চেহারাকে অনেক তাড়তাড়ি সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে পারে এই খাবার।তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গাজর রাখতে পারেন।এটি কাঁচা বা রান্না দুভাবেই খাওয়া যায়। 
 
কুমড়ো:কুমড়াতেও প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আর একেবারে কম  পরিমাণ ক্যালোরী আছে।মেধ ভুঁড়ি কমাতে রোজ ডায়েটে কুমড়ো রাখার উপদেশ দেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও কুমড়োর রয়েছে অন্যতম পুষ্টিগুণ বৈশিষ্ট্য, এটি ক্যানসার নামক মারাক্তক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।তাই খাদ্য তালিকায় কুমড়ার ভুমিকা অপরিসীম। 
শশা:মেধ ভুঁড়ি কমাতে বা ডায়েট কন্ট্রোল করতে শশা খুবই কার্যকরী।শশার পুরটাই ফাইবার আর জলে ভর্তি ।ডিটক্সিফিকেশনের বিশেষ গুণ রয়েছে শশায়।এছাড়া ফাইবারের আধিক্য ক্ষুধা কমায়। শরীরের ফ্যাট নিয়ন্ত্রণের মেনুতে রোজ শশা রাখুন।এটি কাঁচা বা তরকারী রান্না করেও খাওয়া যায়। সঙ্গে যদি টক দই রাখতে রাখেন তা হলে আরও ভাল।

বিভিন্ন ভেজাল খাবার পরিহার করুণ সুস্থ থাকুন।  

Share:

বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না।

দেশ বিদেশে ঘুরার কার না শখ।একটু সময় পেলে কিংবা অফিসে একটু ছুটি বা অবসরে সবাই ছুটে যেতে চায় প্রিয় স্থানে।কেউবা এসবের তোয়াক্কা না করেই ঘুরাঘুরিটাকে ঠিকি উপভোগ করেন।তেমনি ভ্রমন প্রিয় মানুষদের নিয়ে আজকের পর্বে দেশ-বিদেশ।বিশ্বের এমন অনেক দেশ আছে যেখানে আপনি ঘুরতে যেতে চাইলে ভিসার দরকার পড়বে না।ওই দেশগুলোর এয়ারপোর্টে নেমে আপনি আপনার কাংঙ্খিত ভিসাটি সঙ্গে সঙ্গেই হাতে পেয়ে যাবেন।আর এই ভিসার জন্য আগে থেকে আবেদন করতে হবে না। বর্তমানে পৃথিবীতে এমন অবাক করা ৫৭টি দেশ রয়েছে।

যেসব দেশে যেতে ভিসা লাগবে না :
ভুটান(Bhutan), ইকুয়েডর(Ecuador), এল সালভাদর(EL Salvador), ফিজি(Fiji), গ্রেনাডা()Grenada, হাইতি(Haiti), জামাইকা(Jamaica), মরিশাস(Mauritius), মাইক্রোনেশিয়া(Micronesia), নেপাল(Nepal), সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস(Saint Kitts and Nevis), সেন্ট ভিনসেন্ট এন্ড দ্য গ্রেনাদিনেস(Saint Vincent and the Grenadines), ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো(Trinidad and Tobago), ভ্যানুয়াতু(Vanuatu), হং কং(Hong Kong), দক্ষিণ কোরিয়া(South Korea), মেসিডোনিয়া(Macedonia), টার্কিস এন্ড কাইকোস আইল্যান্ড(Turks and Caicos Island), মন্টসেরাত(Montserrat), শালবর্ড(Chalkboard)।
যেসব দেশে ই-ভিসা লাগে :
জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, সাও তামি এন্ড প্রিনসিপি, রাওয়ান্ডা, মিয়ানমার, মলদোভা, কেনিয়া, জর্জিয়া, গ্যাবন, কটে দিলভোরি, বাহরাইন।
 
Zimbabwe, Zambia, Sao Tome and Principe, Rwanda, Myanmar, Moldova, Kenya, Georgia, Gabon, Kate Dilvori, Bahrain.


যে সব দেশে এয়ারপোর্ট থেকে ভিসা মিলে:
বলিভিয়া, কম্বোডিয়া, ক্যাপে ভারদে, কমোরস, জিবুটি, ডোমিনিয়া, ইথিওপিয়া, গিনি-বিসাউ, গুয়ানা, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডন, লাওস, মাদাগাসকার, মালডিভস, মরিতানিয়া, পালাউ, সেন্ট লুসিয়া, সেনেগাল, সেচেলিস, সোমালিয়া, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, টোগো, টিমোর লেসতে, তুভালু, উগান্ডা, অ্যান্টার্কটিকা

Guinea-Bissau, Guinea, Indonesia, Jordan, Laos, Madagascar, Maldives, Mauritania, Palau, Saint Lucia, Senegal, Seychelles, Somalia, Tanzania, Thailand, Togo, Bolivia, Cambodia, Cape Verde, Comoros, Djibouti, Timor Leste, Tuvalu, Uganda, Antarctica


পারমিট লাগে যে সব দেশের:


শ্রীলঙ্কা ও সামোয়া।Sri Lanka and Samoa


এখানের মধ্যে যে দেশটি আপনার পছন্দ সেখানে আপনার প্রিয় জন বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে উড়াল দিতে পারেন।ঘুরে আসতে পারেন আপনার পছন্দের দেশ থেকে। 
Share:

বাংলাদেশীদের গুলি করে মারার নির্দেশ দিলেন-বিজেপি নেতা রাজা সিং।

জাতীয় নাগরিক পঞ্জী ইস্যুতে যখন আসাম, সংসদ সহ-গোটা ভারত তোলপাড় তখন তাতে ঘৃতাহুতি দিলেন তেলঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক রাজা সিং।মঙ্গলবার তিনি রোহিঙ্গা এবং বেআইনিভাবে এদেশে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের গুলি করে মেরে ফেলার নির্দেশ দেন দেশটির সামরিক বাহিনীকে।দেশকে নিরাপদে রাখতে এটাই পথ বলে মন্তব্য করেণ তিনি। তাঁর এমন নির্দেশ সমালাচনার ঝড় বইছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ।
বাংলাদেশীদের গুলি করে মারার নির্দেশ দিলেন-বিজেপি নেতা রাজা সিং।

তিনি বলেন,যদি এই রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী বেআইনি অভিবাসিরা ভারত ছাড়তে না চায়, তাহলে তাদের গুলি করে শেষ করে দেওয়া উচিত। আর তাহলেই আমাদের দেশ নিরাপদ থাকবে।তিনি এমন মন্তব্যও করেন।তাঁর এমন মন্তব্যে বেড়েছে দলের অস্বস্তি। অন্যদিকে মানুষের প্রতি অমানবিক নির্দেশ দিয়ে তাদের অসম্মানও করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ দল এই পথকে সমর্থন করেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্নের শেষ নেই।এর আগেও তিনি বহু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি আলওয়ারে এক ‌যুবক'কে গরু পাচারকারী সন্দেহে বেধড়ক মারধর হয়।এই অবস্থায় আহত ওই ‌যুবক'কে হাসপাতালে নিয়ে ‌যেতে ৪ ঘণ্টা দেরি করে পুলিশ।ফলে তার মৃত্যু হয়। 
এনিয়ে বলতে গিয়ে রাজ সিং একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেন, ‌যতদিন না গোহত্যা বন্ধ হবে ততদিন গণধোলাই বন্ধ হবে না। সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার জন্য রাজা সিংয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ৬০টি মামলা হয়েছে। কিন্তু পুলিস এখনও তাঁর টিকি ছুঁতে পারেনি।
উল্লেখ্য,রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ও আসমে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে তোলপাড় চলছে সংসদে।ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের প্রতি সরকার মানবিক পদক্ষেপ নিবে বলে সংসদে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ সুগত বসু।তাঁর ‌যুক্তি,বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গাণ বাস্তুহারাদের ভারত মানবিক সাহা‌য্য পাঠাচ্ছে।খাবার,পোশাক সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র রয়েছে তার মধ্যে।কিন্তু ভারতে বসবাসকারী ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুহারাদের জন্য কেন্দ্র ব্যবস্থা নিবে বলে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ।
অপরদিকে, আসামে ৪০ হাজার মানুষ জাতীয় নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়ায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। এনিয়ে তৃণমূল তো একে বাঙালি খেদাও অভি‌যান বলেছে। নাম, পদবী ধরে ধরে তালিকা থেকে মানুষজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভি‌যোগ তৃণমূলের।
সূত্র- আজকাল, জি নিউজ ২৪ ঘন্টা
Share:

'সজীব ওয়াজেদ ভু-উপগ্রহ কেন্দ্র' উদ্ভাবন করলেন প্রধানমন্ত্রী-শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন । তিনি বলেন, ‘এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা সমগ্র বিশ্ব সম্পর্কে জানতে পারছি এবং আমাদের সন্তানেরা মহাকাশবিজ্ঞান, পরমাণুপ্রযুক্তি, সমুদ্রবিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্র, সংস্কৃতি ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে, যা দেশের উন্নয়নের জন্য  প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।’
আজ মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা  বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে দুটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু–১ স্যাটেলাইটের সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে গাজীপুর ও বেতবুনিয়াতে দুটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের’ (স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন) উদ্বোধন করেছেন।

গ্রাউন্ড স্টেশন দুটির নামকরণ করা হয়েছে সজীব ওয়াজেদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র গাজীপুর এবং সজীব ওয়াজেদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র বেতবুনিয়া।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ১৪ জুন এই বেতবুনিয়াতে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছিলেন এবং সেখান থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু হয় এবং তারই  দেখানো পথ অনুসরণ করে আমরা এখন মহাকাশ জয় করেছি।’
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের বেতবুনিয়াতে এই উপগ্রহ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটি দিয়ে গেছেন। আর সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর পরামর্শ এবং উদ্যোগে আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছি। কাজেই সেই মুজিব থেকে সজীব—সেখানেই আমরা পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি।
গত ১২ মে ২০১৮ বাংলাদেশ সময় ভোর ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু–১ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট এবং পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে পরমাণু ক্লাবের ৩৪তম সদস্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ইতিমধ্যেই বঙ্গবন্ধু–১ স্যাটেলাইট তার কার্যক্রম শুরু করেছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর গাজীপুরের তেলীপাড়ার ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশন এবং রাঙামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ব্যাকআপ গ্রাউন্ড স্টেশন হিসেবে যুগপৎ ব্যবহৃত হবে।
আওয়ামীলীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের সেবায় কাজ করে। জনগণের সেবায় কাজ করে যাবে। জনগণের কল্যাণই আমাদের একমাত্র চিন্তা।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন দুটির নাম সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে নামকরণ করার প্রস্তাব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। পরে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের অন্যতম রূপকার বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রাউন্ড স্টেশন দুটির আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানেরা, সংসদ সদস্য, সরকারের পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটে থাকছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার সক্ষমতা। প্রতিটি ট্রান্সপন্ডার প্রায় ৩৬ মেগাহার্টজ বেতার তরঙ্গের সমপরিমাণ। অর্থাৎ ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থেকে পাওয়া যাবে প্রায় ১ হাজার ৪৪০ মেগাহার্টজ পরিমাণ বেতার তরঙ্গ।
এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনে ব্যবহার করবে। আর ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে ভাড়া দেওয়ার জন্য রাখা হবে।
৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২৬টি হচ্ছে কেউই ব্যান্ডের এবং ১৪টি সি ব্যান্ডের। গাজীপুর ও চট্টগ্রামের বেতবুনিয়ায় স্থাপিত দুটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে বঙ্গবন্ধু–১ স্যাটেলাইট।
উৎক্ষেপণের পর নির্দিষ্ট দূরত্বে দ্রাঘিমাংশে (প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে) স্যাটেলাইটটি অবস্থান করছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স-ইতালি থেকে স্যাটেলাইটটি সম্পূর্ণভাবে কন্ট্রোল করা হলেও বর্তমানে গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে ট্র্যাকিং এবং কন্ট্রোলিং করা হচ্ছে।
প্রকৌশলীরা এখান থেকে স্যাটেলাইটে সিগন্যাল পাঠিয়ে আবার তা রিসিভ করছে। প্রয়োজন হলে সিগন্যাল পাঠিয়ে স্যাটেলাইটটিকে (১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পজিশনে) নির্দিষ্ট অবস্থানে ধরে রাখার জন্য যা যা করা দরকার তা করছে। নিয়মিত ট্র্যাকিং ও কন্ট্রোলিং করা হচ্ছে।
Share:

কি খাচ্ছেন একবারও ভেবে দেখেছেন?

বর্তমান আতঙ্কের আরেক নাম ফরমালিন। কি খাচ্ছেন একবারও ভেবে দেখেছেন? এটা পুরাতন কোন কথা বা ঘটনা কোনটাই নয়।তবুও মানুষের মুখে মুখে কোথায় যাবো?কি খাবো ? অ্যাট লিস্ট  বাঁচার জন্য তো খেতে হবে । ফরমালিনের দেশ বিষের দেশ বাংলাদেশ।এসব যেন প্রতিবেলার খাবারের সঙ্গি।আর সেই সঙ্গি আমাদেরকে প্রতি মহুরতে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।বড় বড় প্রাণ নাশকারী অসুখ ক্যান্সার সৃষ্টি করে শরীরে। তাই আজ একটি কোথায় বলতে চাই নিজে সচেতন হন অন্যকে সচেতনতার কথা বলুন।ডকুমেন্টারিটা পড়ুন। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের  অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন । সম্প্রীতি তিনি মানুষের প্রাণীজ আমিষ জাতীয় খাবারের উপর এক গবেষণায় ল্যাব-টেস্ট মোতাবেক ব্রয়লার মুরগির মাংসে- ২০০০ মাক্রোগ্রাম, কলিজায়- ৬১২ মাইক্রোগ্রাম এবং মগজে- ৪০০০ মাইক্রোগ্রাম  ক্যান্সার সৃষ্টকারী বিষাক্ত  ক্রোমিয়াম পান।যা মানুষের শরীরে সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
বিষাক্ত খাবার পরিহার করুণ সুস্থ থাকুন। 

World Health Organization(WHO) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা - এর গাইড লাইন অনুসারে মানুষের শরীরে ক্রোমিয়ামের সহনশীল মাত্রা ২৬-৩৫ মাইক্রোগ্রাম।অথচ এই ফার্মের মুরগির ডিমেও আছে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ৬-৭ গুণ বেশি ক্রোমিয়াম। এর কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে মুরগী ও মাছের ফিড তৈরিতে ক্রোমিয়াম মিশ্রিত টেনারির বর্জ্য ব্যবহার হয়। যা পুরান ঢাকার টেনারিগুলো থেকে আসে।
যদিও হাইকোর্টের একটি নিষেধাজ্ঞা আছে এই ক্রোমিয়াম মেশানো নিয়ে।তবুও আইনের চোখকে আঙুল দেখিয়ে তাদের রমরমা কারবারি ঠিকি চালাচ্ছে।আর প্রতিনিয়ত ধুকে ধুকে জীবন যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।

আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী ,না আমরা ফরমালিন আর বিষে ভাতে বাঙ্গালী।কারণ, আপনি যে মাছ গুলো খাচ্ছেন ওগুলোতেও আছে উচ্চমাত্রার নাইট্রোফোরন ও আর্সেনিক।আর এই ক্রোমিয়াম, নাইট্রোফোরন ও আর্সেনিক প্রথম সারির ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিষাক্ত ক্যামিক্যাল।
আর্সেনিক দিয়ে তো ইঁদুর মারার বিষও বানানো হয়।তাহলে আমরা কি ইঁদুর মারা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করছি?

এখন বলুন, সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন যোগান দেবে কোন খাবারটি?

বিষাক্ত খাবার গ্রহনে নিজেকে বিরত রাখুন। 

বাজারে মলা-ঢেলা মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। নদী ও সামুদ্রিক মাছের দাম আকাশচুম্বী। সহজলভ্য তেলাপিয়া, পাংগাস ও অন্যান্য মাছের শরীর নাইট্রোফোরন, ক্রোমিয়াম ও আর্সেনিকে ঠাসা কারণ এই মাছগুলো ক্ষতিকর মাত্রার আর্সেনিকযুক্ত সেচের পানিতে চাষ করা হয় এবং চাষে টেনারির বর্জ্য দিয়ে প্রস্তুত ফিড ব্যবহার করা হয়।যার পুরু শরীর জুড়ে বিষ, যে বিষ আগুনে নষ্ট হবার আগেই আমাদের সুস্বাদু খাবার রেডি হয়ে যায়।

আবার, কোরবানির পশুর চামড়ার পশম পুড়তে ব্যবহৃত হয় ক্রোমিয়াম ও নাইট্রোফোরনযুক্ত ক্যামিক্যাল। চামড়া প্রসেজের পর উপজাত হিসেবে প্রাপ্ত হাজার-হাজার টন বর্জ্য পোল্ট্রি ও মাছের ফিড বানাতে ব্যবহার করা হয়।
কার্বোহাইড্রেটের পরেই শরীরের জন্য বেশি দরকার আমিষ। সাধারণ মানুষ কোথা থেকে পাবে নির্মল আমিষ? যার বেশীর ভাগই আসে মাছ,মাংস ও ডিম  থেকে। এসব খাবার বর্জন কতটা টেকসই সমাধান হতেপারে আমাদের জন্য?কেবল বোবা কান্নায় বুকটা ভার হয়ে থাকে।
এদেশের ঘরে ঘরে এখন ক্যান্সার ও কিডনি রোগী। হঠাৎ করেই মারা যাচ্ছে অল্পবয়সী তরুণ-তরুণী।জানিনা,রোগীর কাতারে আমি আপনি আছি কিনা।তাই খাবারে সচেতন হন অন্যকেও সচেতন করুণ।
কেউ কি বলতে পারেন, বিশ্বে আমাদের দেশের মতো আর কোথায় এমন ধরনের নৈরাজ্য হয়?
আচ্ছা! আমরা কবে মানুষ হব?
 
Share:

হিজাবের আটটি শর্ত ।

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
ইসলাম  এক পবিত্র ধর্মের নাম।ইসলাম ধর্মে মানব রচিত কোন আইন বা বিধান নাই।যুগে যুগে প্রেরিত মহান আল্লাহ্‌র নবী ও রাসুল গণ মাটির মানুষ হলেও তারা কখনো নিজের কোন আইন বাস্তবায়ন করেননি।তারা যা কিছু করেছেন সবই মহান আল্লাহ্‌র ইচ্ছায়।তেমনি মেয়েদের ব্যাপারেও রয়েছে বিধান। যেখানেই কোনো বেগানা পুরুষ থাকবে সেখানে শরয়ী হিজাবের ব্যাপারে ইসলামের বিধান রয়েছে।একজন মুসলিমা মেয়ের জন্য নিম্নের আটটি শর্তের যেকোনো একটি  লঙ্ঘন করা হারাম। কেননা অনেক মহিলা ঘরের বাইরে হিজাব পরেন ঠিকই কিন্তু তারা নিজেদের নিকটাত্মীয় গাইরে মাহরামের সামনে কোনো কোনো শর্ত লঙ্ঘন করেন। যেমন চাচাতো বা মামাতো ভাইদের সামনে মাথা ঢাকেন ঠিক কিন্তু তাদের সামনে অন্যদের মতো পুরোপুরি পর্দা করেন না। এতে করে তারা সুস্পষ্ট গুনাহ ও হারামে লিপ্ত হন।
একজন মুসলিমা মেয়ের পূর্ণ পর্দার শর্তগুলো নিম্নরূপ :
প্রথম শর্ত : অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মতে পুরো শরীর ঢাকা। ফিতনার আশংকা থাকলে সর্বসম্মতিক্রমে মুখ ও হাতের তালুদ্বয় ঢাকাও পর্দার অন্তর্ভুক্ত।তবে এক্ষেত্রে মুখ ও হাতের তালুদয় খোলা রাখতে পারে।

 
দ্বিতীয় শর্ত : হিজাবে নিজেকে সৌন্দর্যবর্ধক না করা। যেমন, আকর্ষণীয় রঙের হওয়া যা সবার দৃষ্টি কাড়ে এমন পোশাক পরা যাবেনা।

 
তৃতীয় শর্ত : মোটা ও পুরু হওয়া যাতে সৌন্দর্য দৃশ্যমান না হয় এমন পোশাক পরা। কেননা, হিজাবের উদ্দেশ্য নারীর মুগ্ধ করা সৌন্দর্য পরপুরুষের আড়াল করা। অতএব পোশাক যদি আড়ালকারী না হয় তবে তাকে হিজাব আখ্যায়িত করা যায় না। 
 
চতুর্থ : পোশাক প্রশস্ত ও ঢিলেঢালা হওয়া এবং সংকুচিত ও অন্তর্শোভা পরিদৃশ্যকারী না হওয়া। যাতে অঙ্গের আকার বা অবয়ব দৃশ্যমান না হয় এবং দেহের প্রলুব্ধকর অঙ্গ প্রস্ফুটিত না করে। এটিও পূর্বে বর্ণিত হাদীসের নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এই বিষয়টা বিশেষভাবে গুরুত্ব সহকারে মেনে চলা বাঞ্ছনীয়। 
 
পঞ্চম শর্ত : কাপড় সুগন্ধিযুক্ত না হওয়া।নারীর জন্য দেখা যায় এমন কিছু(মেহেদী । হাত ০ পায়ে দিতে পারে)  কিন্তু  গন্ধ পাওয়া যায় এমন কিছু গায়ে মাখা নিষেধ আছে।  কারণ এতে করে তা পুরুষকে আরও বেশি প্রলুব্ধ করে। নারীর আতর ব্যবহারকে ব্যভিচারের পর্যায়ে গণ্য করা হয়েছে।তবে নারী সহবাসের পরে লজ্জাস্থানে আতর  ব্যবহার করতে পারে। 
 
ষষ্ঠ শর্ত :খেয়েল রাখতে হবে যেন কোন ভাবেই একজন নারীর পোশাক পুরুষের পোশাকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ না হায়।
 
সপ্তম শর্ত :ইহুদী-খ্রিস্টান বা বিধর্মীর পোশাকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ না হওয়া। কেননা ইসলামী শরীয়ত কাফেরদের সাদৃশ্য অবলম্বন করতে কড়া নিষেধ করেছে।এতাতে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা কড়া হয় এবং পাপও হয় ।
 
অষ্টম : প্রসিদ্ধি লাভের পোশাক না হওয়া।তবে একজন মেয়ে বা মহিলা কেবল মাত্র তার স্বামীকে খুশী করার জন্য  ইচ্ছে মত ইসলামী শরিয়াত অনুসারে  সাঁজতে পারে।
 
পর্দাও একটি ইবাদত। আল্লাহ আমাদের সঠিক ভাবে পর্দা করার তৈফিক দিন।
আমিন।

Share:

দীর্ঘ সময় যৌন মিলন করার গুরুত্বপূর্ণ টিপস ।

যৌন মিলন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অনুভুতির নাম  যা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।সবাই চায় সুখকর অনুভূতিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে।দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রিয় সুখকর অনুভুতির সাধ নিতে।তাই কি করলে যৌন মিলনের সময় দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবেন এমনি কিছু টিপস তুলে ধরা হলো।  
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ পুরুষ দীর্ঘক্ষণ যৌন মিলন করতে পারেন না।দীর্ঘক্ষণ তো দুরের কথা যেটুকু সময় স্ত্রীকে আনন্দ দিতে প্রয়োজন সে সময়টুকুও তারা মিলনে স্থায়ী করতে পারেন না।যদিও এর পেছনে রয়েছে বহুবিধ কারণ। তবে যৌন মিলন নিয়ে যারা মানসিক ও শারীরিক ভাবে দুর্বলতায় ভুগেন তারা নিম্নলিখিত টিপসগুলো অনুসরন করে লাভবান হতে পারেন যদি অন্য কোন যৌন সমস্যায় আক্রান্ত না হয়ে থাকেন।সহবাস বা যৌন মিলনের আগে বেশ কিছু করনীয় থাকে যা অনেকেই অনুসরণ করে না বলে এধরণের সমস্যার কারণ হতে পারে।যায় হোক- 

মিলনের আগে করণীয়:- 
প্রথমকথাঃ সবার আগে মাথায় রাখবেন যৌন উত্তেজক কোন প্রকার পিল বা নেশা সেবন করবেন না। এটা আপনার উপকারের চেয়ে ক্ষতিই করবে বেশী।তাই এক্ষেত্রে আপনি প্রাকৃতিক ভাবে নিজেকে ফিট করতে পারেন । যেমন, যৌন মিলনের পূর্বে দুধ, ডিম , ফলমুল খেতে অভ্যস্ত করুণ ভালো ফল পাবেন।
দ্বিতীয়কথাঃ যৌন মিলন শুরু করার আগে মন শান্ত করে নিন ৷ মনে কোন প্রকার নেগেটিভ ভাবনা আনবেন না ৷ একটি বিষয় অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটে – স্বল্পস্থায়ী যৌনতার একমাত্র কারণ হল তাদের শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা ৷হুট করে উত্তেজিত হবেন না।দুজনে খুব সাধারণভাবে বিষয়টাকে নিন একে অপরের সাথে ইজি হয়ে কথা বলতে থাকুন।
নিজেকে শারীরিক মিলেনর জন্য শারীরিক এবং মানসিক ভাবে তৈরি করুন৷ সকল প্রকার মানসিক চাপ, উদ্বেগ মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন ৷ 
স্ত্রী ছাড়া অন্য কারো সাথে যৌন মিলন থেকে বিরত থাকুন ৷ স্ত্রী সাথে আপনার মনের ভাবনা গুলি শেয়ার করুন যে আপনার শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতি সরল করতে সাহায্য করবে ৷তবে স্ত্রী ছাড়া কখনো পরকীয়ায় নিজেকে জড়াবেন না।এতে আপনার পরিবারে অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কাজনক কোন কিছুর সৃষ্টি করতে পারে। 

কনডম ব্যবহার করতে পারেন তবে না করাই ভালো। অনেক পুরুষরাই অভিযোগ করছেন যে কনডম ব্যবহারের ফলে তাদের যৌন আকাঙ্খা হ্রাস হচ্ছে ।আপনি কতটুকু তৃপ্তি পাচ্ছেন তা নিজেকে প্রশ্ন করুন । এই বিষয়ে কখনো অন্যের কুবুদ্ধি শুনবেন না।বিষয়টা একান্তই নিজের উপর রাখুন।
তামাক, মদ ও অন্যান্য ওষুধের অতিরিক্ত সেবন দীর্ঘস্থায়ী যৌনতার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে৷তাছাড়া বিভিন্ন নেশার অভ্যাস আপনাকে ধীরে ধীরে পুরুষত্বহীনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।তাই এইগুলি পরিহার করে চলা উচিত।অভ্যাস দীর্ঘদিনের থাকলে একটু একটু করে বর্জন করার চেষ্টা করুন।  
সহবাস বা যৌনমিলনের সময় করণীয় :-
যৌনমিলনের আগে কোন মতেই ফোর প্লে বাদ দেবেন না ৷ দরকার হলে অধিক সময় নিয়ে ফোর প্লে করুন।
একটু পরপর আসন পরিবর্তন করুন৷ নতুন কিছু আপনার মনোযোগকে আরও রোমাঞ্চিত করে তুলতে পারে ৷ সঙ্গীর চাহিদার দিকেও গুরুত্ব দিন ৷
সহবাসের সময় সঙ্গীর আধিপত্যে লজ্জাবোধ করার কোন কারণ নেই ৷
ধীরে ধীরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিলে পরিশ্রম কম অনুভব হবে ফলে শরীর দীর্ঘক্ষণ যৌনমিলনের জন্য উপযুক্ত থাকবে ৷

Share:

জেনে নিন সেক্সের ১৪টি অজানা তথ্য।


মানুষের জীবনে সবচেয়ে মধুর সময় হচ্ছে সেক্সটাইম। সেক্স নিয়ে জানার অন্ত নেই। বলা চলে, সেক্স ছাড়া এই দুনিয়া অচল। মানুষসহ অনেক প্রাণি অন্য অনেক কিছুর চেয়ে সেক্সকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। চলুন যেনে নেয়া যাক সেক্স নিয়ে অজানা ১৪টি  তথ্য যা আপনার উপকারে আসবে।
১) জানা যায় আপনি যদি ৩০ মিনিটের অ্যাকটিভ সেক্সের সময় আপনি ৩০০ ক্যালোরি খরচ করে থাকেন। যা যে কোনও কাজের থেকে বেশি।
২) স্বাভাবিক অবস্থায় একজন পুরুষের পুরুষাঙ্গের উচ্চতা থাকে ৩.৫ ইঞ্চি থেকে ৩.৭ ইঞ্চি। যৌনতার সময় তা বেড়ে হয় ৫ থেকে ৫.৭ ইঞ্চি ।আবার কারো কারো  অসুখের কারণে বা বিভিন্ন কারণে  বড় বা ছোট হতে পারে। 

৩) বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেক্স করেন গ্রিকরা।সেক্স  এর ক্ষেত্রে পরিবেশ ও আবহাওয়া ও পুষ্টি গুণ সম্পূর্ণ কিছু খাবার বিশেষভাবে প্রভাব ফেলে।
৪) এক ডকুমেন্টারিতে জানা যায় যে,প্রতিদিন সারা বিশ্বে ১০ কোটি যৌন মিলনের ঘটনা ঘটে।ঠিক এই মহুরতে যখন আপনি এই লেখাটা পড়ছেন তখন বিশ্বের ৪ হাজার মানুষ সেক্সে ব্যস্ত।
৫) ২০০৫ সালে এক প্রেমিক যুগল দীর্ঘতম চুম্বনে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। তারা ৩১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ৩০ সেকেন্ড ধরে একে অপরকে চুম্বন করেন।
৬) অবাক হলেও সত্যি বিশ্বের ২৫ শতাংশ দম্পতি যাদের বয়স ৭৫-এর উপরে তারা এখনও সেক্স করেন।

৭) মহান আল্লাহর অনেক সৃষ্টি আছে যেমন, মানুষ ছাড়া ডলফিন আর বোনোবো শিম্পাঞ্জিরা তৃপ্তি বা সুখের জন্য সেক্স করেন।এগুলো আনকমন এছাড়া বাকি আর অনেক প্রাণীর সেক্স সম্পর্কে আমরা জানি।
৮) সেক্সটাইম এমন একটা সময় যখন কোন মিথ্যে কথা বলা প্রায় অসম্ভব।
৯) মানুষ  ও অন্যান্য প্রাণী......... ছাড়াও শুশুক আর মাছেরা Oral sex করে।
১০) এক সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয় যে, বিশ্বের ৫০ শতাংশ পুরুষ মনে করে তাদের যৌনাঙ্গ ছোট, অথচ ৮৫ শতাংশ মহিলা বলছেন, তাদের সঙ্গির যৌনাঙ্গের আকারে তারা খুশি।

১১) একজন মানুষ তার সারাজীবনে গড়ে ২০ হাজার ১৬০ মিনিট সময় খরচ করে চুম্বন করে।মানে জীবনের প্রায় দু সপ্তাহ বা ৩৩৬ ঘণ্টা সময় যায় চুমুর জন্য। 
১২) নিয়মিত সেক্স করলে শরীর ভাল থাকে। অনেক শারীরিক সমস্যা দূর হয়।বিশেষ করে মাথাব্যথা খুব তাড়াতাড়ি সেরে যায়। 
১৩) প্রতিদিন একটা আপেল  খেলে মানুষের যৌন আয়ু বাড়তে সাহায্য করে। 
১৪) কোন এক অজানা তথ্য থেকে জানা যায় যে, আধুনিক সময়ে ৫ জনের মধ্যে ১জন সেক্সের জন্য ফোনের ব্যবহার করে।

Share:

জেনে নিন সপ্তাহে কতবার সেক্স শরীরের জন্য ভালো।

সপ্তাহে কতবার স্বামী স্ত্রী মিলন করলে নিজেকে ফিট রাখা যাবে বা কতটা উপকার হবে আপনার জন্য তার এক সংক্ষিপ্ত ডকুমেন্টারি তুলে ধরা হল। 
স্বামী স্ত্রীর মিলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তবে সপ্তাহে কতবার সেক্স করা উচিত? রোজ, একদিন অন্তর নাকি শুধুমাত্র সপ্তাহ শেষে? সম্প্রতি আমেরিকান জার্নাল অফ কার্ডিওলজি তে প্রকাশ হয়েছে একটি আর্টিকেল । সেখান থেকে জানা যায়, যে সব পুরুষেরা সপ্তাহে দুবার সেক্স করেছেন তাঁদের হার্ট আর যারা একবারও সেক্স করেন নি তাদের থেকে যারা দুবার মিলন করেছে তাদের হার্ট অনেকটা ভালো । তাই কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ রুখতে পুরুষদের সক্রিয় সেক্স লাইফ থাকা উচিত ।তবে এক্ষেত্রে অবশ্যয় সেক্সুয়াল বিষয়টা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে হতে হবে।কারণ, পবিত্রভাবে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মেলামেশা আল্লাহর পক্ষ থেকে এক ধরণের বড় নেয়ামত। আল্লাহ্‌ নিজে পবিত্র তাই মহান আল্লাহ্‌ পবিত্রতা ভালোবাসেন।এজন্য অবৈধভাবে এই বিষয় থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

পবিত্রভাবে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মিলনের সময় বা অর্গাজমের সময় অক্সিটোসিন হরমোন উদ্দীপীত হয় । এর ফলে আপনার রক্তচাপ কম থাকে । আর আমরা সবাই জানি উচ্চ রক্তচাপ হার্টের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর । এছাড়াও স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা অনেকটা বেড়ে যায় । আর আমরা সবাই জানি সেক্সের থেকে ভালো স্ট্রেসবাস্টার আর কিছুই হতে পারে না । এছাড়াও নিয়মিত যৌন সম্ভোগ করলে আপনার ওজনও কমবে । এছাড়াও সেক্সের পর ঘুমও ভালো হয় । ফলে আপনার হার্ট ভালো থাকবে ।আ স্টাডি ইন বায়োলজিকাল সাইকোলজি থেকে জানা গেছে যাঁরা নিয়মিত মিলিত হন তাদের ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে থাকে । ফলে এই ব্যক্তিদের হৃদয় সংক্রান্ত রোগের সম্ভবনা অনেকটা কম থাকে । তাই সপ্তাহে অন্তত দু‘বার করে অবশ্যই আপনার পার্টনারের সঙ্গে মিলিত হন।
Share:

ক্ষমা তো আমার চাওয়ার কথা না-নৌপরিবহণ মন্ত্রী সাজাহান খান


 
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি ।অযৌক্তিক কিছুই দাবি করে নাই - আমার , আপনার সবার জন্য উত্তম প্রস্তাব। নাকি আবার বিচার আর দাবি মানতে হলে ৩৩ জন লাশ লাগবে। ১. বেপোরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে। ২. নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ৩. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে। ৫. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। ৬. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে। ৭. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবে না। ৯. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না। দাবিগুলোর সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত, আর আপনি?
Share:

তিন সিটিতে ভোটের অনিয়ম।

সিলেটে চলছে জাল ভোটের মহড়া ।এ যেন ভোটাভোটি নয় ,যেন জোর যার মুলুক তার। 
সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রে গোলযোগের ঘটনা ঘটছে। নগরের ১৮নং ওয়ার্ডের ঝর্ণারপাড় এলাকার কাজী জালাল উদ্দিন বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনায় ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। একই সময়ে নগরের মদিনা মার্কেট এলাকায় শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আরো কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়ম, হামলা করে জাল ভোট বাক্সে ভরার অভিযোগ উঠেছে। বেলা ১১টার দিকে নগরের মদিনা মার্কেট এলাকার শাহজালাল জামিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন বুথে কয়েকজন যুবক ব্যালট পেপারে সিল মারছে। এক পর্যায়ে সরকার দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বাকবিতণ্ডা শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ এবং জামায়াত সমর্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৫ মিনিট ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। এ অবস্থায় কেন্দ্র অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়ে। জাল ভোট দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে কোন উত্তর দিতে চাননি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। এছাড়া সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ১৮ নং ওয়ার্ডের মডেল স্কুল কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এক যুবক। সমর্থকদের ধাওয়ায় সে ব্যালট নিয়ে যেতে পারেনি। এ কারণে ওই কেন্দ্রে আধঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। 
সিলেটে জাল ভোটের অভিযোগ 

একই ভাবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটে অনিয়ম সৃষ্টি করে আওয়ামী পন্থীরা ব্যালট পেপারে একজন একের অধিক সিল মারা সহ বিভিন্ন অনিয়ম সৃষ্টি করেন তারা।এসময় সাংবাদিকের হাতে ক্যামেরা বন্দি হয় বেশ কিছু লোকজন।এমন একজন হাতে নাতে ভোট দেয়ার সময় দেখা যায়।

সেখানে সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে সকাল ১১ টার মধ্যে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়।কারণ সেখানে আগে থেকেই নৌকা মার্কায় আগে থেকে সিল মারা সিলো।
বরিশালে হাতে নাতে জাল ভোটদানকারী ক্যামেরা বন্দী। 
অপর দিকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনেরও বিভিন্ন কেন্দে ভোট গ্রহণের অনিয়ম দেখা যায়।সারা দেশ যেন ক্ষমতাসিনদের হাতে বন্দী।তারা জেভাবে চাইবে সেভাবে চলবে এই দেশ।তাদের কার্যকলাপে এমনই ভাবমূর্তি প্রকাশ পাচ্ছে। রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ছুরিকাঘাতে এক ছাত্রলীগ নেতা আহত হন সর্বশেষ খবর।
রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে এক ছাত্রলীগ নেতা আহত। 

Share:

অশিক্ষিত নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ দাবি;

রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় বিমানবন্দর সড়কে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের(পরে আর তিন শিক্ষার্থী মারা যায় হসপিটালে খবর বিভিন্ন গণমাধ্যম) ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেয়ার সময় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের হাসিমাখা মুখের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই সঙ্গে দূর্ঘটনা প্রসঙ্গে দেওয়া তার বক্তব্য তুমুল সমালোচনা তৈরি করেছ।এর প্রতিবাদে দেশের অজস্র শিক্ষার্থী তার পদত্যাগ দাবি করেছে।তারা বলেছে,   নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের যদি ন্যূনতম লজ্জাবোধ বলতে কিছু থেকে থাকে তাহলে তিনি মন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে দিবেন।শুধু ছাত্রছাত্রীরা নয় দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তার দিকে একই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে।এখন শুধু সময়ের দাবি তিনি মন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে বিবেন কিনা।

বিমানবন্দর সড়কের হোটেল রেডিসনের বিপরীত দিকে অপেক্ষারত একদল কলেজ শিক্ষার্থীর ওপর যাত্রীবাহী জাবালে নূর বাস উঠিয়ে দেয়ায় ওই দুই শিক্ষার্থী প্রাণ হারান। জাবালে নুর পরিবহনের মালিক নৌপরিবহন মন্ত্রীর শ্যালক নান্নু মিয়া। এদিকে দেশের পুলিশ বাহিনীর জন্যও লজ্জাকর বিষয় যে , যেখানে এমন একটা দুর্ঘটনাকারীদের খুঁজে বের করতে এক ঘন্টার বেশী সময় লাগার কথা নয় সেখানে ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ এক দিন গড়িয়েছে তবুও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।এটা বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনের জন্য ধিক্কার জনক একটা কথা।কিংবা কেন অপরাধীরা এভাবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় বার বার এর জন্য আসলে কারা দায়ী? শাজাহান খানের মত লোকেরা নাকি অন্য কেউ । এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।কে দিবে এর জবাব নাকি এভাবেই লাগামহীন অপরাধীরা চালিয়ে যাবে তাদের অপরাধ?
রোববার দূর্ঘটানর পর ভিন্ন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্বে থাকা শাজাহান খানকে দূর্ঘটনায় দুই ছাত্র নিহত হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মারা যায় কিন্তু সেখানো কোন আলোচনা হয় না। আলোচনাটা শুধু বাংলাদেশেই হয়।আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতি ঘণ্টায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন মারা যায়। কিন্তু সেখানে এতো আলোচনা হতে দেখি না। দুর্ঘটনায় আলোচনাটা শুধু বাংলাদেশেই হচ্ছে।’ শাস্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যে যতটুকু অপরাধ করবে, তার শাস্তি ততটুকুই হবে। সেই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতা করার সুযোগ নেই।এ সময় তিনি যেন মহা খুশীর অট্টহাসিতে ফেটে পরেন।একজন মন্ত্রী হয়ে কিভাবে এমন পরিস্থিতিতে হাসতে পারে তা কারো জানা নাই।তবে এটুকু বলা যায়, যে এমন পরিস্থিতিতে হাসতে পারে আর এটাকে কোন বিষয়ই মনে করেনা তার আর যাই থাকুক এটলিস্ট মন্ত্রিত্ব  যোগ্যতা রাখে না।
সড়ক দুর্ঘটনার পর সাংবাদিকরা রোববার সচিবালয়ে নৌমন্ত্রীর কাছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের শীর্ষনেতা হিসেবে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চান। গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, ‘আপনার নিয়ন্ত্রিত পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের বাসগুলোর প্রতিযোগিতায় রাজধানীতে দুর্ঘটনার হার আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে। প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাচ্ছেন, আহত হচ্ছেন কিংবা পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। এসব ঘটনার দায় শ্রমিক সংগঠনগুলো এড়াবে কিভাবে?’

এসময় মন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, প্রোগ্রামের সঙ্গে বিষয়টি কিন্তু সম্পর্কিত না। গতকালও ভারতের মহারাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এগুলো নিয়ে বাংলাদেশে যেভাবে কথা বলা হয়, ওখানে কেউ এভাবে বলে না। শুধু এইটুকুই বলছি, যতটুকু অপরাধ করবে, তার শাস্তি সেভাবেই পাবে। এ বিষয়ে পরে আরো আলোচনা হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রী হাসি আর ;দূর্ঘটনা প্রসঙ্গে তার বক্তব্য ও হাসি নিয়ে ফেসবুকে চলছে তুমুল সমালোচনার ঝড়।

Share:

রাজধানীতে বেপরোয়া বাস ড্রাইভিংয়ে নিহত চার ছাত্রছাত্রী।

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় ৪ জন ছাত্র/ছাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ৪ জনই শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী।
''ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন''
ঘটনা স্থলে নিহত দুজন ছাত্রছাত্রীর ছবি।
জানা গেছে, বিমানবন্দর মহাসড়কে বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এসময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস চালক তাদের ওপর উঠিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। 
দিন দিন এরা ভয়ংকর হয়ে উঠছে , এই দানবেরা কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা করেনা।এদের এমন বেপরোয়া যেন মানুষ গিলে খেতেই নেমেছে সড়কে।বাসা থেকে বের হয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরতে পারবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই । প্রতিদিনই চোখের সামনে কাউকে না কাউকে এই দানবদের হাতে শিকার হয়ে দেখছি।এদের নাকি ক্ষমতা অনেক কিছু বলা যাবে না, আইনের আওতায় আনা যাবে না, তাহলে যে পুরো শহরটাই অচল করে দিবে। 
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্নের মুখে রাখতে হচ্ছে ট্রাফিক  ব্যবস্থাকেও । পথ চলাচলকারী কন বাহনের উপরই আসলে ট্রাফিক বিভাগের কোন নিয়ন্ত্রণ নাই। রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটিও বিধিরাম সর্দার।ট্রাফিক বিভাগ ঢাকার রাস্তার জন্য পৃথক লেন বাস থামানোর জায়গা, বাসের গতি , বাস রুট, গাড়ি পার্কিং এর নিয়ম নীতি কোন কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
দুর্ঘটনা ঘটে জাবালে নূর বাসে।
প্রতিদিন মানুষ মরছে অপঘাতে , আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে জীবন যাপন করে বেঁচে থাকছে কেউ কেউ।আমরা অপঘাতে মৃত্যুটাকে খুব স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে শিখে যাচ্ছি।আহত হলে উঠে দাঁড়িয়ে বলতে শিখছি "ইস" একটুর জন্য বেঁচে গেলাম ।এভাবে আজ আমরা সব কিছুর দায়ি বানাচ্ছি ভাগ্যকে।চোখ বুঝেই ভাল থাকার চেষ্টা করে চলেছি প্রতিনিয়ত , প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে একরাশ হতাশা নিয়ে বলি 'আহা শহরজীবন' ।কখনো কি ভেবে দেখেছেন আমরা এক অপূর্ব মৃত্যুপুরীতে বাস করছি।আমাদের এই উদাসীনতা আইন ভাঙার অভ্যাস , আমাদের অবৈধ নীতিকে প্রশ্রয় দেয়ার অভ্যাস অন্যায় দেখেও না দেখার অভ্যাস গড়ে উঠছে।আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করার শক্তি কি টুকু যেন হারিয়ে ফেলেছি।আমরা যেন "স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন" এই প্রবাদের গোলোকধাদার ঘোরে সবাই।
জনতা আগুন লাগিয়ে দেয়া বাস।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে কিছু উত্তেজিত লোকজন রাস্তায় একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিলে গাড়িটি পুড়ে যায়।



Share:

টাইগারদের সিরিজ জয়

টাইগারদের সিরিজ জয়ের উল্লাস ।
টাইগারদের সিরিজ জয়ের পর উল্লাসে মেতে উঠা মহুরত। 

ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ানোর কথা ছিল না। ব্যাটে বলে দুর্দান্তই ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষদিকে ম্যাচটি ঠিকই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যে উত্তেজনাকে পাশ কাটিয়ে শেষ হাসি হেসেছে টাইগাররাই। ১৮ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-১’এ হারিয়ে সিরিজ জিতেছে মাশরাফির দল।
৩০২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে সেভাবে চড়াও হয়ে খেলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে মারমুখী ছিলেন ক্রিস গেইল, করেন ৬৬ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৭৩ রান। শাই হোপ ৬৪ করলেও খরচ করেন ৯৪টি বল। শেষদিকে রভম্যান পাওয়েলের ৪১ বলে ৭৩ রানেই জয়ের সম্ভাবনা জেগেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি।
এর আগে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচের শুরুর অর্ধেকটা মন মতোই করতে পেরেছে বাংলাদেশ দল। রান বন্যার সেন্ট কিটস মাঠে রানের খোঁজে ধুঁকতে হয়নি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। আগের দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে আবারও রান করেছেন তামিম ইকবাল। শেষদিকে ঝড় তুলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এই দুইয়ের ব্যাটে ভর করেই মূলত বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে টাইগাররা। প্রায় বছর দুয়েক পর দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের মিশনে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ৩০১ রানে।



সিরিজে টানা তৃতীয়বারের মতো টসে জেতেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথম ম্যাচে করেন আগে ব্যাটিং, দ্বিতীয় ম্যাচে নেন আগে বোলিং। তৃতীয় ম্যাচে এসে আবারও আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক। জানিয়ে দেন ব্যাট করার জন্য খুবই সুবিধাজনক হবে সেন্ট কিটসের এই উইকেট।
কিন্তু তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়ের উদ্বোধনী জুটিতে মনেই হয়নি উইকেট ব্যাটিং বান্ধব। আগের দুই ম্যাচে বড় রান করতে ব্যর্থ হওয়া বিজয় এই ম্যাচেও আউট হয়েছেন অল্পতেই। ৩১ বলের ইনিংসে রান করতে পেরেছেন মাত্র ১০। উইকেটে একবারের জন্যও স্বচ্ছন্দ মনে হয়নি তাকে। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় সিরিজে তৃতীয়বারের মতো তামিমকে একা করে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
আগের দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও। বন্ধু তামিমের সঙ্গে সাকিব আল হাসান আবারও গড়েন ইনিংসের ভীত গড়ে দেয়া জুটি। তামিমের ধীরস্থির ব্যাটিংয়ের সাথে ছিল সাকিবের উইকেটের চারপাশে রান নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখা ব্যাটিং। চোখের পলকে মাত্র ১৬ ওভার ব্যাট করে এই জুটিতে যোগ হয় ৮১ রান।

টানা তৃতীয় অর্ধসেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সাকিব ফিরে যান টপ এজ হয়ে স্কয়ার লেগে ধরা পড়ে। আউট হওয়ার আগে সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৩ চারের মারে করেন ৩৭ রানে। খেলেন মাত্র ৪৪টি বল। সাকিব ফিরে গেলেও ক্যারিয়ারের ৪৩তম অর্ধশত তুলে নিতে কোন ভুল করেননি তামিম।
অর্ধশত পেরিয়ে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে নতুন করে ইনিংস গড়ার কাজে মন দেন তামিম। কিন্তু দারুণ শুরু করা মুশফিক অদ্ভুত এক শট খেলতে গিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মাত্র ১২ রান করে। তার ব্যাট থেকেই আসে ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি। দলীয় সংগ্রহ দেড়শ পার করিয়েই সাজঘরে ফিরে যান। অন্যপ্রান্তে অবিচল থেকে যান আস্থার আরেক নাম হয়ে ওঠা তামিম।
চতুর্থ উইকেট জুটি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে পেয়ে যেন খানিক নির্ভার হন তামিম। খেলতে শুরু করেন হাত খুলে। জোড়া বাউন্ডারিতে পৌঁছে যান ৮০’র ঘরে। জাগিয়ে তোলেন সিরিজে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। পরে নব্বইয়ের ঘরে ঢুকে ৯২ থেকে এক ছক্কায় চলে যান ৯৮ রানে।
বাকি দুই রান নেন সাবধানী ব্যাটিংয়ে এক-এক করে। তুলে নেন ক্যারিয়ারের একাদশ ও চলতি সিরিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তবে সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। ব্যক্তিগত ১০৩ রানের মাথায় দেবেন্দ্র বিশুর ওভারে মিড উইকেটে ধরা পড়েন তামিম।
তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে ২৮৭ রান করে তামিম গড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিন ম্যাচ সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ভেঙে দেন ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষেই গড়া দীনেশ রামদিনের ২৭৭ রানের রেকর্ড।

তামিম ফিরে যাওয়ার পরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সাব্বির-মোসাদ্দেকের আগেই ব্যাট হাতে নেমে যান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজের বলা ‘এই উইকেটে ব্যাটিং সহজ হবে’ কথাটার বাস্তব প্রমাণ দিতেই নেমে যান মাশরাফি। ব্যাটিংয়ে নেমে সময় নেননি খুব বেশি।
অপর প্রান্তে নির্ভরতার প্রতীক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থাকায় নির্ভয়ে খেলতে পারছিলেন মাশরাফি। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের এক ওভারে হাঁকান পরপর তিন বাউন্ডারি। হোল্ডারের পরের ওভারেই লংঅনের উপর দিয়ে মারেন এক ছক্কা। রিয়াদ-মাশরাফির জুটিতে চোখের পলকে ২৫০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশের সংগ্রহ।
পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৪২ বলে ৫৩ রান পায় বাংলাদেশ। ২৫ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কার মারে ৩৬ রান করে ফেরেন মাশরাফি। অপর প্রান্তে বাংলাদেশ দলের ফিনিশিংয়ের দায়িত্ব নিয়ে অবিচল ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। স্লগ ওভারে ব্যাটিংয়ে আসেন হার্ডহিটার হিসেবে পরিচিত সাব্বির রহমান।
কিন্তু সাব্বিরের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক খেলছিলেন মাহমুদউল্লাহই। এতোক্ষণ ধরে উইকেটে থেকে বিশাল এক ছক্কার মারে রিয়াদ তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৯তম অর্ধশতক। শুরুতে ব্যাটে-বলে এক করতে পারছিলেন না সাব্বির। ৪৯তম ওভারে পরপর দুই বলে দুটি ৪ মেরে পরের বলেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

তবে অপরাজিতই থেকে যান মাহমুদউল্লাহ। শেষপর্যন্ত তার দুর্দান্ত ফিফটিতেই ৩০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষের দশ ওভারে আসে ৯৬ রান। মাত্র ৪৯ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৬৭ রান করেন রিয়াদ। ৫ বলে এক চারের মারে ১১ রানের ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ছয় উইকেটে ৩০১ রানে। স্বাগতিকদের পক্ষে দুইটি করে উইকেট নেন অ্যাশলে নার্স ও জেসন হোল্ডার।

Share:

ইসলামী শাসনের একটি নমুনা


মুহাম্মাদ বিন ওবায়দুল্লাহ হ’তে থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা দ্বিতীয় খলীফা হযরত ওমর (রাঃ)-এর নিকটে কিছু কাপড় আসলে তিনি সেগুলি হকদারগণের মাঝে বন্টন করে দেন। এতে আমাদের প্রত্যেকে একটি করে কাপড় পেল। কিন্তু তিনি নিজে দু’টি কাপড় দিয়ে তৈরী একটি পোষাক পরিধান করে খুৎবা দিতে মিম্বরে আরোহণ করলেন। অতঃপর বললেন, হে লোকসকল! তোমরা কি আমার কথা শ্রবণ করছ না? এমতাবস্থায় বিখ্যাত ছাহাবী সালমান ফারেসী (রাঃ) উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, জি না, আমরা শ্রবণ করব না। ওমর (রাঃ) বললেন, কেন হে আবু আব্দুল্লাহ? তিনি বললেন, আপনি আমাদেরকে একটি করে কাপড় দিয়েছেন। অথচ আপনি পরিধান করেছেন (দুই কাপড়ের) বড় পোষাক! ওমর (রাঃ) বললেন, ব্যস্ত হয়ো না হে আবু আব্দুল্লাহ! অতঃপর তিনি ছেলে আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ)-কে ডাকলে তিনি উঠে দাঁড়ালেন। অতঃপর ওমর (রাঃ) বললেন, আমি আল্লাহ্র কসম করে জিজ্ঞেস করছি, আমার পোষাকে যে অতিরিক্ত কাপড় রয়েছে, সেটা কি তোমার নয়? আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বললেন, জি, এটি আমার। অতঃপর সালমান ফারেসী (রাঃ) বললেন, এখন আপনি বক্তব্য শুরু করুন, আমরা শ্রবণ করব(ইবনুল ক্বাইয়িম, ই‘লামুল মুওয়াক্কেঈন ২/১২৩; ছিফাতুছ ছাফওয়াহ ১/২০৩)
আবুবকর (রাঃ)-এর গোপন আমল.

প্রথম খলীফা আবুবকর (রাঃ) ফজরের ছালাত আদায় করে মরুভূমির দিকে গমন করতেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান  করে শহরে ফিরে আসতেন। ওমর (রাঃ) তার প্রত্যহ এরূপ গমনের দৃশ্য দেখে আশ্চর্যান্বিত হ’লেন। তাই একদিন ফজরের ছালাতের পর আবুবকর (রাঃ) যখন বের হ’লেন, তখন তিনি গোপনে তাঁকে অনুসরণ করতে লাগলেন। অতঃপর তিনি একটি টিলার পিছনে লুকিয়ে থাকলেন ও আবুবকর (রাঃ)-কে একটি পুরাতন তাঁবুতে প্রবেশ করতে দেখলেন। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর বের হয়ে গেলেন। অতঃপর ওমর (রাঃ) টিলার আড়াল থেকে বের হয়ে উক্ত তাবুতে প্রবেশ করলেন। সেখানে তিনি এক অন্ধ দুর্বল মহিলাকে দেখতে পেলেন, যার কয়েকটি শিশু রয়েছে। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নিকটে কে আসে? মহিলা বলল, আমি তাকে চিনি না। তিনি একজন মুসলিম। প্রতিদিন সকালে তিনি আমাদের কাছে আসেন। অতঃপর আমাদের গৃহ পরিষ্কার করেন, আটা পিষে দেন এবং গৃহপালিত পশুগুলির দুগ্ধ দোহন করেন, তারপর তিনি চলে যান। বিস্ময়াভিভূত ওমর বেরিয়ে আসলেন এবং বললেন,قَدْ أَتْعَبْتَ الْخُلَفَاءَ مِنْ بَعْدِك- يَا أَبَا بَكَر হে আবুবকর! পরবর্তী খলীফাদের উপর তুমি কত কষ্টই না চাপিয়ে দিলে! (তারীখু দিমাশক ৩০/৩২২)
ইমাম মাওয়ার্দী (রহঃ)-এর গোপন আমল
ইমাম মাওয়ার্দীর গোপন আমল সম্পর্কে একটি কাহিনী প্রসিদ্ধ রয়েছে। তিনি তাফসীর, ফিক্বহসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনেক গ্রন্থ রচনা করেন। কিন্তু জীবদ্দশায় সেসব গ্রন্থ কোনটিই প্রকাশিত হয়নি। পরে তাঁর মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে তিনি তার একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে ডেকে এনে বললেন, ‘অমুক স্থানে যে বইগুলি রয়েছে সবগুলিই আমার রচিত। যখন আমার মৃত্যুযন্ত্রণা উপস্থিত হবে, তখন তুমি তোমার হাতকে আমার হাতের মধ্যে রাখবে। এসময় যদি আমি আমার হাত টেনে নেই, তাহ’লে তুমি বুঝবে যে, আমার কিছুই আল্লাহ্র নিকটে কবুল হয়নি। এমতাবস্থায় তুমি রাতের অাঁধারে আমার সকল লেখনী দজলা নদীতে নিক্ষেপ করবে। আর যদি আমি আমার হাত প্রসারিত করি, তাহ’লে বুঝবে যে, আমার লেখাগুলো আল্লাহ্র নিকটে কবুল হয়েছে। আর আমি আমার খালেছ নিয়তে কৃতকার্য হয়েছি’। অতঃপর মৃত্যুকালে তিনি স্বীয় হাত প্রসারিত করে দিলেন। ফলে পরবর্তীতে তাঁর সকল লেখনী প্রকাশিত হ’ল। (অফিয়াতুল আ‘ইয়ান ৩/২৮৩; তারীখু বাগদাদ ১/৫৪; তাবাকাতুশ শাফেঈয়াহ ৫/২৬৮)
আলী বিন হুসায়েন (রহঃ)-এর গোপন আমল

আলী (রাঃ)-এর পৌত্র আলী বিন হুসায়েন (রহঃ) বলতেন, ‘রাতের অন্ধকারে কৃত ছাদাক্বা আল্লাহ্র ক্রোধ দূরীভূত করে’। তাই রাতের অাঁধারে তিনি ছাদাক্বার খাদ্যসমূহ পিঠে বহন করে শহরের ফকীর-মিসকীন ও বিধবাদের গৃহে পৌঁছে দিতেন; অথচ তারা জানতে পারতো না কে তাদেরকে এ খাদ্যসামগ্রী দিয়ে গেল। আর সবার অজান্তে যাতে এ কাজ করতে পারেন, সেজন্য তিনি কোন খাদেম, দাস কিংবা অন্য কারোরই সহযোগিতা নিতেন না। এভাবে অনেক বছর যাবৎ তিনি গোপনে এ কাজ করে যান। কিন্তু ফকীর ও বিধবারা জানতেই পারেনি যে, কিভাবে তাদের নিকটে এ খাদ্য আসে। অতঃপর যখন তিনি মৃত্যুবরণ করলেন এবং তারা তার পৃষ্ঠদেশে কালো দাগ দেখতে পেল। তারা বুঝতে পারল যে, তিনি তাঁর পিঠে কিছু বহন করার ফলে এই দাগের সৃষ্টি হয়েছে। অতঃপর তাঁর মৃত্যুতে শহরে উক্ত গোপন দান বন্ধ হয়ে গেল। রাবী ইবনে আয়েশা বলেন, তাঁর মৃত্যুর পর শহরবাসী বলতে লাগল, আলী বিন হুসায়েন মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা গোপন দান থেকে বঞ্চিত হইনি। (হিলইয়াতুল আওলিয়া ৩/১৩৬; ছিফাতুছ ছাফওয়াহ ২/৯৬; আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ ৯/১১৪; তাহযীবুল কামাল ১৩/২৪২, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৪/৩৯৩)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,نِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَكُونَ لَهُ خَبِيءٌ مِنْ عَمَلٍ صَالِحٍ فَلْيَفْعَلْ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সৎ আমলসমূহ গোপনে করতে পারে, সে যেন তাই করে (ছহীহুল জামে‘ হা/৬০১৮; ছহীহাহ হা/২৩১৩)
*সংকলনে : আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব
Share:

Hello

add code

জেনে নিন আমাদের সমাজের ২৪৪ টি কুসংস্কার ।

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে ...

Categories

Add Code