Date:

দুর্ঘটনার জেরে বুলগেরিয়ায় তিন মন্ত্রীর পদত্যাগ।


এক সড়ক দুর্ঘটনার জেরে বুলগেরিয়ার তিন মন্ত্রীকে পদতাগে বাধ্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভ।
এই দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত ও ২০ জনেরও বেশী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।দুর্ঘটনাটি ঘটে দেশটির রাজধানি সোফিয়া থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তরে সভজে শহরে।
পদত্যাগ করেছেন দেশটির পরিবহনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র এবং আঞ্চলিক উন্নয়নবিষয়ক তিন মন্ত্রী।
গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভ বলেছেন,সড়ক দুর্ঘটনার জন্য রাজনীতিবিদরাই দায়ী। এর দায়দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে। এ দায় নিয়ে পরিবহনমন্ত্রী ইভালো মস্কোস্কি, আঞ্চলিক উন্নয়নমন্ত্রী নিকোলায় নানকভ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্যালেন্টিন রাডভের পদত্যাগের দাবি জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর এই দাবিতে সাড়া দিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিন মন্ত্রী তাদের পদত্যাগের কথা জানান।তাঁরা বলেন এ ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা উদ্যোগ নিতে পারিনি।এই বলে তাঁরা তাদের দোষ স্বীকার করে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্বাহতি নেন।
এই নিহতের ঘটনার পর থেকে শহরটিতে শতশত মানুষ আন্দোলন করে আসছিলেন। তারা দাবি করেন, দেশের সড়ক বিভাগকে ঢেলে সাজাতে হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী দেশটির তিন মন্ত্রী(পরিবহনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র এবং আঞ্চলিক উন্নয়নবিষয়ক) পদ থেকে বরখাস্ত করেছেন।বরখাস্ত হওয়া তিন মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারিনি তাই আমরা এই বরখাস্ত মেনে নিলাম।
Share:

দেশের প্রতিটি অর্জনে ছাত্রলীগের অবদান -প্রধানমন্ত্রী।


গতকাল এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগ দেশের মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। দেশের যেকোনো অর্জনে ছাত্রলীগের অবদান সবচেয়ে বেশী একথা বলেন তিনি।

গতকাল ৩১ আগস্ট, শুক্রবার গণভবনে ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত শোক দিবসে এ কথা বলেন দেশরত্ন।

রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, রাজনীতিবিদরা কোন কিছু পাওয়ার আশা করে না।তিনি বলেন কোন কিছু পাওয়ার আশা রাজনিতির উদ্দেশ্যকে নষ্ট করে।জনগনকে কি দিলাম , কতটুকু দিলাম এটাই রাজনীতিবিদদের মুল লক্ষ।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেসার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমার মা মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, তিনি রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ছিল। তিনার কোন অহংকার ছিলনা । তিনি রাষ্ট্রীয় ভবনে বাস করেননি। তিনি শান-শওকত চাননি।

আমার মা সব সময় দেশের উন্নতির লক্ষে আমার বাবাকে পরামর্শ দিতেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে আদর্শিক দল বলে আখ্যায়িত করে বলেন,ছাত্রলীগকে আদর্শিক দল হয়ে দেশের উন্নয়নের কাজ করতে হবে।

নীতির প্রশ্নে আপসহীন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইয়ুব খানের বিষয়ে স্কুলজীবনে আমাদের ২০ নম্বর ছিল। পরীক্ষায় আমি সেই ২০ নম্বর বাদ দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে এসেছি। ওই ২০ নম্বরের জন্য আমি ফেলও করতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার নীতিকে বিসর্জন দেইনি।

শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক সড়ক আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট ছোট ছাত্রদের ঘাড়ে পা রেখে অনেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিল, এদের অনেকে নাকি আবার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। কিন্তু দেশের স্বার্থে কোনো ছাড় নেই। আমার বাবা, আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি, নীতির প্রশ্নে আপস নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। সেই ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানারকম উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিল। ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে ভিন্নপথে চালনার চেষ্টা করেছিল। এগুলোর মাধ্যমে তারা ঘৃণ্য মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে।
Share:

আহত আকিফা আর জীবিত নেই।

আহত আকিফা। ছবিঃফেইজবুক 

তখন সময় দুপুর ১১ টা ৪৪ মিনিট। রাজশাহী থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা গঞ্জেরাজ ( ঢাকা মেট্টো-গ-১৪-০১৭৭) নামের একটি বাস কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ে এসে থামে। ঠিক সে সময় থেমে থাকা বাসের সামনে দিয়ে এক বছরের শিশু কন্যা আকিফা কে কোলে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন মা রিনা বেগম। হঠাৎ কোন হর্ণ ছাড়াই উম্মাদ চালক বাসটি চালিয়ে এসে মা রিনা বেগম কে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মায়ের কোল থেকে রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে গুরুত্বর আহত হয় শিশু আকিফা। এরই মধ্যে বাসটি দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত মা মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে স্থানন্তর করা হয়েছে। আহত শিশু আকিফা কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকার সবজি ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদের মেয়ে।
ঘটনা‌টি স্থানীয় এক সোনার দোকা‌নের ‌সি‌সি টি‌ভি ফু‌টে‌জে ধরা পড়‌লে তা নি‌মি‌সেই সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্য‌মে ভাইরাল হ‌য়ে যায়। এ‌তে ফুঁ‌সে উ‌ঠে‌ছে স‌চেতন মহল। এরই প্রে‌ক্ষি‌তে ঘাতক ড্রাইভা‌রের দৃষ্টান্তমুলক শা‌স্তি ও ক্ষ‌তিপুর‌নের দা‌বি‌তে অাগামীকাল(বুধবার) ১১টায় চৌড়হাস মো‌ড়ে মানববন্ধন কর্মসূচীর ডাক দি‌য়ে‌ছে স্থানীয় স‌চেতন মহল।
শিশু‌টি‌কে উদ্ধারকারী শ্র‌মিক নেতা রা‌সেল জানান,বাসটি মা-মেয়েকে ধাক্কা দেয়ার সময় বাসের যাত্রীরাই চিৎকার দিয়ে উঠেন। এ সময় কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে সজোরে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত চলে যায় বাসটি । এ সময় অন্যান্যরা বাস টিকে ধাওয়া করেও আটকাতে ব্যর্থ হয়। তি‌নি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শা‌স্তি দা‌বি ক‌রে জানান,‌শিশু‌টির বাবা অা‌র্থিকভা‌বে সচ্ছল নয়। অা‌মি শ্র‌মিক ইউ‌নিয়ন ক‌রি তাই ব‌লে অপরাধ‌কে প্রশ্রয় দি‌বো না। অাপনারা শিশু‌টির বাবা‌কে সহায়তা করুন।
‌অাহত অা‌কিফার বাবা হারুন উর র‌শিদ মু‌ঠো‌ফো‌নে জানান,ভাই অামার মে‌য়ের জন্য দোয়া ক‌রেন। ঢাকার উ‌দ্দেশ্য রওনা দি‌য়ে‌ছি অাম্বু‌লেন্স‌যো‌গে। মে‌ডি‌কে‌লে ভ‌র্তি কর‌বো। এখন রাস্তায় অ‌া‌ছি। 
পরে খবর আসে মেয়েটি মারা গেছে(ইন্নালিল্লাহি অইন্নাইলাহি রাজিউন)।
ত‌বে এ ব্যাপা‌রে ঘাতক বাস‌টির সুপারভাইজার মাষ্টা‌রের ব্যবহুত নম্ব‌রের যোগা‌যোগ করার চেষ্টা করা হ‌লে তি‌নি ফোন ধ‌রেন‌নি।
Share:

একটি গরুর দাম ২৮ লাখ টাকা।

'বাহাদুর' কি ভাবছেন কোন মানুষের কথা বলছি? না এটা কোন বীর পালোয়ান কিংবা রাজার বংশধরের নাম নয়।বিশাল আকৃতির এক গরুর নাম।
এবারের বাজারের সবচেয়ে বড় গরু। 
ট্রাক কিংবা ট্রলার নয় আমেরিকার টেক্সাস থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট যোগে আনা হয় গরুটি।যার ওজন প্রায় এক হাজার পাঁচশত বায়ান্ন কেজি অর্থাৎ ১৫৫৫ কেজি। ১১ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘বাহাদুর’।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রো লিমিটেডের কর্ণধার মো: ইমরান হোসেন এ বছর কোরবানির বাজারের জন্য আমেরিকার টেক্সাস থেকে নিয়ে আসেন ব্রাংগাস প্রজাতির বাহাদুরকে। তবে হাটে নেয়ার আগেই বিক্রি হয়ে যায় বাহাদুর। শিল্পপতি শাকের আহমেদ ২৮ লাখ টাকায় কিনে নেন বাহাদুরকে।
গতকাল মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ ভাঙা মসজিদের কাছে সাদিক এগ্রোতে গিয়ে দেখা যায় বাহাদুরের জন্য আলাদা করে ঘর তৈরি করা হয়েছে। যার চারপাশে শা শা করে ঘুরছে একাধিক সিলিং ও স্ট্যান্ড ফ্যান। পরিষ্কার মেঝেতে দাঁড়িয়ে পছন্দের খাবার খাচ্ছে বাহাদুর।
সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন জানান, বাহাদুরের প্রতিদিনের তালিকায় থাকছে প্রায় ৫৫ কেজি খাবার। যার মধ্যে থাকে ২০ কেজি কাঁচা ঘাস। এ ছাড়া কাঁচা ছোলা, মসুর-খেসাড়ির ডাল, চাল ও গম খেয়ে থাকে বাহাদুর। ফলের মধ্যে আপেল তার প্রিয় খাবার। তবে আপেলের সাথে প্রতিদিন তাকে গাজর ও মিষ্টি কুমড়া খাওয়ানো হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন দানাদার জাতীয় খাবার তো রয়েছেই। তিনি আরো বলেন, আমেরিকার টেক্সাসের একটি খামার থেকে প্রায় এক মাস আগে ক্রয় করেন বাহাদুরকে। এরপর কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফাইটে করে ঢাকায় আনায় হয় তাকে। বিমানে উঠানোর জন্য ৩০০ ডলার খরচ করে একটি বিশেষ আকৃতির খাঁচা তৈরি করা হয় বাহাদুরের জন্য। যাতে করে বিমানের মধ্যে সে কোনো ধরনের অসুবিধার সৃষ্টি করতে না পারে।
ইমরান বলেন, বাহাদুরকে আমেরিকা থেকে আনতে বিমান ভাড়া ও অনুসঙ্গিক খরচ পড়েছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। এ বছর কোরবানির বাজারে তিনি বাহাদুরের দাম হাঁকিয়ে ছিলেন ৪০ লাখ টাকা। শেষ পর্যন্ত শিল্পপতি শাকের আহমেদ ২৮ লাখ টাকায় কিনে নেন গরুটি। এর আগে গত বছর কোরবানির আগে ইমরান হোসেন আমেরিকা থেকে সুলতান নামে আরো একটি গরু এনেছিলেন। তবে বাহাদুরের চাইতে ছোট ছিল সুলতান।
Share:

বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানে,স্কুলছাত্রীসহ নিহত ৩ ।

রাজশাহীতে বাস চাপায় স্কুল ছাত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত চারজন। দুপুরে নওদাপাড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।তবে পরিবহণ ও চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অ্যারো বেঙ্গল পরিবহনের বাসটি শিরোইল বাসট্যান্ড থেকে নওদাপাড়ায় আসার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়। অটোরিক্সা ও একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে ফুটপাতের একটি দোকানে ঢুকে পড়ে বাসটি। ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের আরোহী টিংকু, সবুজ ও স্কুলছাত্রী অনিকা নিহত হয়(ইন্নালিল্লাহহি অইন্নাইলাহি রাজিউন)। 
আহত চারজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে আসমত নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসকসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের জানান, দুর্ঘটনার সময় বাসটির চালকের আসনে ছিল হেলপার।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন প্রশাসনের কর্তব্যরত ব্যক্তিরা।
খবর সুত্রঃ যমুনা নিউজ।

Share:

যেসব বদাভ্যাস পুরুষের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

একবার মিলনের ফলে একজন পুরুষের ২০-৩০ কোটি শুক্রাণু নির্গত হয়।কিন্তু মহান আল্লাহ্‌র বিশেষ কুদরতে আমি, আপনি এবং সবাই একটি মাত্র শুক্রাণু থেকে তৈরী।যায় হোক আগে কিছু কথা বলে নেই।  
সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা- টুথপেস্ট (toothpaste), সাবান, প্লাস্টিকের খেলনার রাসায়নিক উপাদান পুরুষের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। 
ডেনমার্কের হসপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নেইলস শেকাকেবার্কের পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশ পায়।গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয় ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টে। গবেষণায় দেখা গেছে, টুথপেস্ট (toothpaste), সাবান এমনকি প্লাস্টিকের খেলনার মত নিত্যপণ্যে কিছু রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা শুক্রাণুর (sperm) শক্তি হ্রাস করে।নারীর ডিম্বকোষে ঢোকার জন্য এক ধরণের এনজাইমের নিঃসরণ ঘটায় পুরুষ শুক্রাণু(sperm)। কিন্তু এভাবে আচরণ বদলে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই এ এনজাইমের নিঃসরণ ঘটায় এবং ডিম্বে ঢুকতে ব্যর্থ হয় এ সব শুক্রাণু(sperm)। এছাড়াও বেশ কিছু বদভ্যাস শুক্রাণুর(sperm) ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। আরো জেনে নিন-গরম পানিতে গোসল করা একদম উচিত নয়। গরম তাপমাত্রায় শুক্রাণুর (sperm)ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা। শরীর ক্লান্ত। চাই ঘুম। কিন্তু আপনার ঘুম কম। দিনে অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে শুক্রাণুতে (sperm)এর প্রভাব পড়ে। টাইট জিন্স পরলেও শুক্রাণুর(sperm) ক্ষমতা কমতে পারে। তাই ক্যাজুয়াল পরাই বাঞ্ছনীয়। ‌‌কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস অর্থাৎ ঠাণ্ডা পানীয় কিংবা অত্যধিক বিয়ার পান আপনার শুক্রাণুর ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কসে অত্যধিক চিনির পরিমাণই যার কারণ। এর ফলে রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়।মোবাইল ফোন প্যান্টের পকেটে রাখাও ক্ষতিকর। রেডিয়েশনের প্রভাবে শুক্রাণুর (sperm)ক্ষমতা কমে যেতে পারে।অনেকেই চুরি যাওয়ার ভয়ে ফোন জামার পকেটে রাখেন না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্যান্টের পকেটে ফোন রাখা আরও ক্ষতিকর।অনেকেই গাড়িতে যেতে যেতে কোলের উপর ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন। যা মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে মহিলাদের পেটে থাকা বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে ক্ষতি হবে পারে শুক্রাণুর। কমে যেতে পারে তার ক্ষমতা।
নারীদের গোপনাঙ্গ দুর্গন্ধের(bad smell) ১৪টি কারণ!
গোপনাঙ্গে দুর্গন্ধ (bad smell)অত্যন্ত সাধারণ বিষয়। সব মেয়েকেই জীবনে কখনও না কখনও এই সমস্যার (problem) সম্মুখীন হতে হয়। শুধুমাত্র কোনও রোগ নয়, আরও বহু কারণে এই দুর্গন্ধ হতে পারে।
গোপনাঙ্গ দুর্গন্ধ (bad smell)অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা(problem) । নীচে রইল যে ১৪টি কারণে এই সমস্যা (problem) হয়ে থাকে—
গোপনাঙ্গ দুর্গন্ধ মূলত হয় এক ধরনের রোগের ফলে যার নাম ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস। এর ফলে গোপনাঙ্গ থেকে এক বিশেষ ধরনের দুর্গন্ধযুক্ত (bad smell)ডিসচার্জ হয়।

বহু মেয়েদের কিছু বিশেষ ধরনের কন্ডোমে অ্যালার্জি থাকে। পার্টনারের কন্ডোম থেকে যোনি ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয় এবং দুর্গন্ধ (bad smell)ছড়ায়।
ভ্যাজাইনাতে ভাল এবং খারাপ দু’ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। বাজারের ভ্যাজাইনাল ওয়াশ অতিরিক্তি পরিমাণে ব্যবহারের ফলে ভাল ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে গিয়ে খারাপ ব্যাকটেরিয়া যদি থেকে যায় তবে তা থেকে দুর্গন্ধ (bad smell)ছড়ায়।
অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে ঘাম জমেও গোপনাঙ্গ ও তার চারপাশে দুর্গন্ধ (bad smell) হতে পারে।
খুব বেশি টাইট অন্তর্বাস যেমন স্প্যানডেক্স-এর বডি শেপার ইত্যাদি দীর্ঘক্ষণ পরে থাকলে তা থেকে ঘাম, স্কিন র‌্যাশ এবং ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয় গোপনাঙ্গ। যথারীতি দুর্গন্ধ হয়।
সারারাত প্যান্টি পরে ঘুমোলেও দুর্গন্ধ হতে পারে, বিশেষ করে গরমকালে।
ক্ষতিকারক কেমিক্যাল দেওয়া বডিওয়াশ বা সাবান থেকেও দুর্গন্ধ(bad smell) করে।
অন্তর্বাস কাচার সময়ে যদি সাবান ভাল করে না ধোয়া হয় তার থেকেও স্কিন র‌্যাশ এবং দুর্গন্ধ (bad smell)হতে পারে।
গোপনাঙ্গকেশ খুব ঘন হলে নানা ধরনের ত্বকের রোগ (skin diseases) হতে পারে এবং ঘাম বসে দুর্গন্ধ (bad smell)হতে পারে।
সুতির অন্তর্বাস না পরে দীর্ঘ সময় কমদামি সিন্থেটিক ফেব্রিকের অন্তর্বাস পরলেও তা থেকে দুর্গন্ধ (bad smell)হতে পারে।
খুব বেশি ঝালমশলা দেওয়া খাবার খেলে যোনি থেকে আকস্মিক ডিসচার্জ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা থেকে দুর্গন্ধ হয়।
যৌনতার পরে গোপনাঙ্গ ভাল করে না ধোয়া হলে সিমেনের অবশেষ থেকেও যোনিতে দুর্গন্ধ হয়।
রসুন, পেঁয়াজ, অ্যাসপ্যারাগাস, কফি, মদ ইত্যাদি অতিরিক্ত খেলেও গোপনাঙ্গে দুর্গন্ধ (bad smell)হতে পারে।
এছাড়া যৌনরোগ থেকেও গোপনাঙ্গে দুর্গন্ধ হতে পারে।

মেয়েদের (girls)গোপনাঙ্গে কি করলে তারা চরম মজা পাবে? লজ্জা নয় ছেলেরা পড়ুন…
যোনি (ভ্যাজাইনা; মূলতঃ লাতিন: উয়াগিনা) হলো স্ত্রী যৌনাঙ্গ, যা জরায়ু থেকে স্ত্রীদেহের বাইরের অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ফাইব্রোমাসকুলার নলাকার part। মানুষ ছাড়াও অমরাবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী ও মারসুপিয়াল প্রাণীতে, যেমনঃ ক্যাঙ্গারু অথবা স্ত্রী পাখি (female bird), মনোট্রিম ও কিছু সরীসৃপের ক্লোকাতে যোনি পরিদৃষ্ট হয়। স্ত্রী কীটপ্রত্যঙ্গ এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীরও যোনি আছে, যা মূলতঃ ওভিডাক্টের শেষ প্রান্ত। লাতিন বহুবচনে যোনিকে বলা হয় vaginae – উয়াগিনাই (ইংরেজি উচ্চারণে ভ্যাজাইনি)
মেয়েদের (girls) যোনীর প্রতিটি অংশই বেশ সংবেদনশীল। তাই যেখানেই স্পর্শ করুন না কেন তাতেই মেয়েদের (girls)আনন্দ (enjoy) হবে। তবে বিশেষভাবে সংবেদনশীল অংশ হল ক্লিটোরিস। ক্লিটোরিস মেয়েদের (girls)যৌনাঙ্গের উপরের দিকে যেখানে যোনির ঠোট (lip) বা পাপড়ি (ক্ষুদ্রোষ্ঠ) দুটি মিলিত হয় সেখানে অবস্থিত। এটি
ঘোমটার মত একটু ত্বক দ্বারা আবৃত থাকে। ক্লিটোরিসে হালকা ভাবে আদর করলে মেয়েদের (girls)চরম আনন্দ হয় এবং দ্রুত অর্গ্যাজম হতে পারে।এছাড়াও যোনির ভেতরে সামনের দেওয়ালে G-spot বলে একটি স্থান থাকে। যোনির মধ্যে আঙুল প্রবেশ করিয়ে যোনির সামনের দেওয়ালে ওই বিশেষ স্থানটি খুঁজে বের করে সেখানে আলতো করে আঙুল দিয়ে আদর করলেও মেয়েদের (girls) বেশ আনন্দ হয়। যৌনাঙ্গে (বৃহদোষ্ঠ, ক্ষুদ্রোষ্ঠ, ক্লিটোরিস)
জিহ্বা দিয়ে চাটলে বা হালকা করে কামড়ে দিলেও অনেক মেয়েদের (girls) আনন্দ হয়। তবে মনে রাখবেন যৌন আনন্দের রকম এবং মাত্রা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম। তাই ঠিক কি করলে আপনার সঙ্গিনীর সবথেকে বেশি ভাল লাগবে সেটা আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে। নিজের কল্পনাশক্তি ব্যবহার করুন। তবে কখনোই একবারে বেশি শক্তি প্রয়োগ করবেন না। ধীরে ধীরে হালকা চাপ দিয়ে শুরু করুন। ক্লিটোরিস সম্মন্ধে বিশদে জানতে নিচের
প্রশ্ন ২ঃ আমার বয়স ২০ এবং আমার উচ্চতা ৬ ফুট। কিন্তু আমার পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য ৬.৫ ইঞ্চি (inch) এবং প্রস্থ প্রায় ৫ ইঞ্চি। এটা কী আমার সঙ্গীনীর জন্য বেদনাদায়ক হতে পারে এবং একারণে কী আমরা যৌন সুখ থেকে বঞ্চিত হতে পারি? একজন সাধারণ বাঙালি নারী কেমন পুরুষাঙ্গ আশা করে?
উঃ আপনার পুরুষাঙ্গের প্রস্থ ৫ ইঞ্চি(inch) , না পরিধি (circumference) ৫ ইঞ্চি(inch) ? প্রস্থ ৫ ইঞ্চি একটি অস্বাভাবিক সাইজ। কিন্তু সেটা যদি পরিধি হয় তাহলে কোন অসুবিধা নেই। সেটা স্বাভাবিক সীমার মধ্যেই পড়ে। আপনার পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যও স্বাভাবিক। ৬.৫ ইঞ্চি (inch) দৈর্ঘ্য ও ৫ ইঞ্চি পরিধি বিশিষ্ট পুরুষাঙ্গ থেকে মেয়েদের (girls) কোন অসুবিধা হবার কথা নয়। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। যৌন উত্তেজনার সময় সাধারণত যোনির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বৃদ্ধি পায়, তবে সেটা কতটা বৃদ্ধি পাবে তা একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়। তাই সহবাসের (physical relation) সময় একটু ধীরে ধীরে start করুন এবং নিজের সঙ্গিনীর সাথে কথা বলে জানার চেষ্টা করুন তার কোন অসুবিধা হচ্ছে কি না। মনে রাখবেন সহবাসের(physical relation) সময় পুরুষাঙ্গ যদি যোনির শেষপ্রান্তে অবস্থিত সারভিক্সে ধাক্কা লাগে তবে তা স্ত্রীর পক্ষে বেদনাদায়ক হতে পারে জেনে নিন মেয়েদের (girls)যোনির ভিতরে মোট কয়টি ফুটো থাকে?। কোন নারী কেমন পুরুষাঙ্গ আশা করবে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের (girls)যৌনতৃপ্তি নির্ভর করে আদর করার পদ্ধতির উপর, পুরুষাঙ্গের আকার-আয়তনের উপর নয়। এছাড়াও মেয়েদের যৌনতৃপ্তির জন্য সম্পর্কে ভালবাসা থাকাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। [বিঃ দ্রঃ – অনেক মেয়েদেরই (girls)প্রথম প্রথম সহবাসে(physical relation) সময় একটু ব্যাথা লাগতে পারে। তাই সহবাস (physical relation)শুরু করার পূর্বে ভাল করে ফোর-প্লে (fore play) করুন।]
Share:

বীর্য পাতের পর কি করতে হয়?

বীর্যপাতের(Semen) পর কি করতে হয়- অনেক পুরুষই লক্ষ করেছেন, হস্তমৈথু‌ন বা সঙ্গমের শেষে বীর্যপাত(Semen)ঘটার পর প্রস্রাব করতে গেলে অসুবিধা হচ্ছে, প্রস্রাব হতে চাইছে না, অথবা পুরুষাঙ্গে জ্বালা অনুভূত হচ্ছে। তাঁদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, বিষয়টা কি স্বাভাবিক?

এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ যৌন বিশেষজ্ঞরা বলেন, বীর্যপাত (Semen) হওয়ার পরে প্রস্রাবে অসুবিধা অনুভব করা অত্যন্ত স্বাভাবিক। আসলে যৌন উত্তেজনার সময়ে পুরুষ শরীরের প্রোস্টেট গ্রন্থিটি স্ফীত হয়ে ওঠে। এই প্রস্টেটের অবস্থান অণ্ডকোষ ও পায়ুর মাঝামাঝি অংশে থাকে।বীর্যকে ঠিক পথে চালিত করা এই গ্রন্থির প্রধাণ কাজ। বীর্যপাতের(Semen) পূর্বে এই অংশে যে সংকোচন-প্রসারণ ঘটে তার ফলেই প্রোস্টেটটি ফুলে যায়। এই স্ফীতির ফলে প্রস্রাব মূত্রথলি থেকে বাধাহীন ভাবে নির্গত হতে পারে না। সেই কারণে সাময়িক ভাবে অসুবিধা ঘটে প্রস্রাবে।অনেক পুরুষই লক্ষ করেছেন, হস্তমৈথু‌ন বা সঙ্গমের শেষে বীর্যপাত (Semen)ঘটার পর প্রস্রাব করতে গেলে অসুবিধা হচ্ছে, প্রস্রাব হতে চাইছে না, অথবা পুরুষাঙ্গে জ্বালা অনুভূত হচ্ছে। তাঁদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, বিষয়টা কি স্বাভাবিক? ডাক্তারেরা বলছেন, বীর্যপাত (Semen) হওয়ার পরে প্রস্রাবে অসুবিধা অনুভব করা অত্যন্ত স্বাভাবিক। আসলে যৌন উত্তেজনার সময়ে পুরুষ শরীরের প্রোস্টেট  গ্রন্থিটি স্ফীত হয়ে ওঠে। এই প্রোস্টেটের অবস্থান অণ্ডকোষ ও পায়ুর মাঝামাঝি অংশে।বীর্যকে ঠিক পথে চালিত করা এই গ্রন্থির কাজ। বীর্যপাতের(Semen) পূর্বে এই অংশে যে সংকোচন-প্রসারণ ঘটে তার ফলেই প্রোস্টেটটি ফুলে যায়। এতে ভয় পাবার বিশেষ কোন কারণ নেই।
বীর্য পাতের পর ইসলামিক নিয়মানুসারে যত দ্রুত সম্ভব গোসল করে পবিত্র হওয়াটায় সবচেয়ে নিরাপদ ও উত্তম।এতে নানা অনিষ্ঠ থেকে মুক্ত থাকা যায়। 
Share:

গ্যাস্ট্রিক কি জেনে নিন।

একটা অ্যাড ছিল বেশকিছু দিন আগে। এক ভদ্রলোক শিঙাড়া খেল আর পেট ফুলে শার্টের বোতাম খুলে গেল! ব্যাপারটা কিন্তু কিছুটা বাস্তব। সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশে এই পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যাকে সাধারণ মানুষ গ্যাস্ট্রিক বলে।আসলে এই গ্যাস্ট্রিক শুধু পেট ফোলাতেই সীমাবদ্ধ নয়। ের কারণে বর্তমানে নানা জটিল থেকে জটিলতর রোগ ব্যাধি শরীরে বাসা বাধে। 
সাধারণত গ্যাস্ট্রিকের কিছু লক্ষণঃ
গ্যাস্ট্রাইটিস কিংবা গ্যাস্টিক আলসার কি?
সাধারণত নাভির ওপরে পেটে ব্যথা হবে।
খালি পেটে কিনবা ভোররাতের দিকে ব্যথা তীব্র হয়।
গলা-বুক-পেট জ্বলে, টক ঢেকুর ওঠে।
ঝাল-তেল-মসলাজাতীয় খাবারে ঝামেলা বেশি করে।
বর্তমানে গ্যাস্ট্রিক এমন আকার ধারন করেছে যে, মানুষ মনে করে পেটে ব্যথা মানেই গ্যাস্ট্রিক। তাই যে কোনো কারণেই পেটের সমস্যা হোক না কেন Seclo,Loscetil,Maxpro,Sergel,Pantonix,Esotid,PPI,Nuprazol,Probitor ইত্যাদি ওষুধ খাও। 
খাবার আগে ওষুধ খাবার পরে ওষুধ।তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেশী ওষুধ সেবন করে থাকে।

আমি দেখেছি, প্রস্রাবের ইনফেকশনের জন্য তলপেটে ব্যথা তার জন্য আন্টি আলসারেন্ট খাচ্ছে!কিংবা, ডিসপেনসারিতে গেলে এক গাদা ওষুধ ধরে দেয়া হয়।এটা আমাদের দেশের নিয়ম।
যাই হোক শুরু করেছিলাম পেট ফোলা নিয়ে। আমাদের দেশে ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ যে কারণে অপ্রয়োজনীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খায় সেই সম্যসা হচ্ছে।
একটু খাবার খেলে পেট ভরা ভরা লাগে, অস্বস্তি লাগে , ক্ষুদা লাগে না। এক বেলা খেলেই মনে হয় ১ সপ্তাহের খাওয়া খেয়ে ফেলেছে। পেট ফুলে যায়। অনেকের তো ঢোল হয়ে যায়।
শব্দ করে ডেকুর হয়। গ্যাস বের হয় মুখ দিয়ে ও পায়ুপথ দিয়ে। অনেকের গ্যাস ওপরের দিকে চাপ দেয়; বুক ধড়ফড় করে ওঠে! এমনকি অনেকের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়!
দুধ কিনবা দুধের তৈরি খাবার (সেমাই, কাস্টার্ড, আইসক্রিম ইত্যাদি), আটা দিয়ে তৈরি খাবার (পরোটা, কেক, শিঙাড়া, পাউরুটি ইত্যাদি) আর মশুরের ডাল ইত্যাদি ভাল ভাল খাবার খেলে সমস্যা বাড়ে। দারুন সমস্যা।
আসলে ওপরের কোনো লক্ষণই আমাদের ভাষায় প্রচলিত গ্যাস্ট্রিক না। এখানে পেটে গ্যাস তৈরি হয় বেশি। এসব ক্ষেত্রে Omeprazole , Esomeprazole , lansoprazole , Rabeprazole এর কোনো ভূমিকা নেই।
অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের কুফল?
যারা প্রয়োজন ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন তাদের ভবিষ্যতে আয়রন, ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়ামের অভাব দেখা দেবে। এমনকি হাড় ক্ষয়, অল্প আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা সেই সঙ্গে শরীরে কিছু রোগজীবাণু প্রবেশের সক্ষমতা বেড়ে যাবে। এমনকি কিডনিতে মারাত্মক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নিজের রোগ সম্পর্কে জানুন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। প্রয়োজন ছাড়া ওষুধ খাওয়া পরিহার করুন।খাবারে নিয়মিত ও সচেতন হন তাহলে এমন সমসসার হাত থেকে সহজেই মুক্তি লাভ করা সম্ভব।সুস্থ থাকুন।
লেখক: ডা. কামরুজ্জামান চৌধুরী, লেকচারার, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ

Share:

আরোও দুই দিনের রিমান্ড বাড়লো নওশাবা আহমেদের।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের দুই দিনের রিমান্ড বাড়িয়েছে।
শুক্রবার (১০ আগস্ট) চার দিনের রিমান্ড শেষে নওশাবাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরী দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাবের তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী নওশাবাকে চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে র‌্যাব তার বিরুদ্ধে এ মামলা করে।
উল্লেখ্য, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে ধানমন্ডিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্বৃত্তের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ফেসবুক লাইভে হাজির হন ঢাকা অ্যাটাক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী কাজী নওশাবা। সে সময় ফেসবুক লাইভে ওই ঘটনায় চারজন নিহত ও চারজন ধর্ষণের ঘটনার কথা তুলে ধরে সেখানে যারা আটকে আছেন তাদের বাঁচানোর অনুরোধ করেন তিনি।
তবে ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায় মৃত্যুর খবরটি গুজব। নওশাবার লাইভ দেখে অনেকেই মনে করেন এ অভিনেত্রী ঘটনা স্থলের আশপাশে থেকেই লাইভে এসেছেন। তার লাইভে আসার ভিডিওটি অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।

Share:

ছেলেটির নাম বাংলাদেশ।

ছেলেটার নাম জানা যায় নি আজ অবধি।খুঁজে পাওয়া যাইনি কোন পরিচয়। ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানের মিছিল চলছে। হঠাৎ একটা মিছিলের সামনে চলে আসে ও। পরে ওকে সামনে রেখেই মিছিল যায়। এক সাংবাদিক এই ছবি তোলার পরে রিল টানতে গিয়ে হঠাৎ বিকট গুলির শব্দ হয়। চেয়ে দেখে ছেলেটার বুক ঝাঁজরা করে দিয়েছে মিলিটারি। ওর ২য় ছবি আর তোলা হয় নি। বাঙলার ইতিহাসে এমনি কিছু ঘটনা আছে যা পড়লে বা শুনলে চোখ জলে ভিজে যায়।  
সুত্রঃ রাসিদ তালুকদার, তৎকালীন ফটোসাংবাদিক
৩০ লক্ষ গল্পের একটি মাত্র গল্প এটি!এসব বীরদের বীরত্ত্বের কথা আমরা কেউ মনে রাখিনা,আমরা শুধু মনে রাখি নিজের স্বার্থের কথা,নিজের প্রতিপত্তের কথা, দেশের স্বার্থ আমাদের কাছে কিছুই নয়।দেশ রসাতলে যাক,আমি বাঁচলেই বড় কথা।কিন্তু এই বীরসেনা কখনো তা ভাবেনি।
স্যালুট আর শ্রদ্ধা শুধু তার জন্য। আজ থেকে তার নাম বাংলাদেশ।
Share:

সুবর্ণ আইজ্যাক বারী প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সাথে মিটিং বাতিল করলেন!

শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে বাঁধা হওয়ায়, সুবর্ণ আইজ্যাক বারী প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সাথে মিটিং বাতিল করলেন!
প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আপনার দুইজন প্রতিনিধি, সচিব ড. সামিয়া ইসরাত রনি এবং সচিব আল মামুন আমার সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন বৈঠক করার জন্য! আমি সাধারণত মানুষের সাথে দেখা করি না কারণ একটি গণিত সমস্যার সমাধান করা মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ! কিন্তু আমি আপনার উভয় সচিবকে আমার বাড়িতে আসার অনুমতি দিয়েছিলাম! আমি তাদের শর্ত দিলাম: তাদেরকে আমার সাথে গণিত সমাধান করতে হবে। তারা মেনে নিলেন! অবশেষে, আমি তাদের বলেছিলাম, হ্যাঁ, আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করব।

কেন আমি "হ্যাঁ" বলেছি?
আমি গণিত পছন্দ করি কারণ এটি বিজ্ঞানের ভাষা।
আপনি গণিতের প্রেমে পড়া মানে পুরা জাতি,অর্থাৎ ১৬০ মিলিয়ন বাঙালি, গণিতের সাথে প্রেমে পড়া! এই কারণে, আমি আপনার দুই সচিবকে বলেছিলাম যে আমি আপনার সাথে দেখা করব! দুর্ভাগ্যবশত, আমি আর আপনার সাথে দেখা করতে চাই না।
সুবর্ণ আইজ্যাক বারী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠিতে তার কথা লিখেন।
সুবর্ণর চিঠি শেখ হাসিনার প্রতি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ান ওয়ালা বাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে নাইটহুড গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। সড়ক নিরাপত্তা প্রতিবাদের বিরুদ্ধে পুলিশের আর ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেওয়ার কারনে আমি আপনার সাথে আমার মিটিং বাতিল করলাম!
সুবর্ণ আইজ্যাক
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি
আগস্ট ৭, ২০১৮

Share:

যুক্তরাষ্ট্রে থেকেই যাবেন মাশরাফি ।

টি টুয়েন্টি ক্রিকেটে বড় কিংবা ছোট দল বলে কিছু নেই। এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে যেকোনো মুহূর্তেই যে ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে সেটি অনেকবারই প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব ক্রিকেট।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের টি টুয়েন্টি সিরিজে হারিয়ে আরো একবার যেন সেটাই প্রমাণ করলো এই ফরম্যাটের ‘ছোট’ দল বাংলাদেশ।

ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর এর ধারাবাহিকতা ক্রিকেটের আধুনিক সংস্করণেও বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে টাইগাররা।

সফল একটি সিরিজ শেষে এবার দেশে ফেরার প্রতীক্ষায় আছে টিম টাইগার্স। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৯ই অগাস্ট সকাল সাড়ে আটটায় দেশের পথে যাত্রা করবে বাংলাদেশ দল।

তবে দলের বেশিরভাগ সদস্য এদিন রওয়ানা দিলেও যুক্তরাষ্ট্রেই থেকে যাবেন ওয়ানডে দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। মূলত পারিবারিক কারণেই ১৪ তারিখ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন তিনি বলে জানা গেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমান ধরার সম্ভাবনা আছে টাইগার অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের।

কেননা আগামী ৮ই আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (সিপিএল) আসরে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিওটসের হয়ে খেলার কথা রয়েছে তাঁর।

এবারের সিপিএলে খেলার কথা ছিল টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানেরও। কিন্তু এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি।

জ্যামাইকা তালাওয়াসের হয়ে গত দুই আসরে খেলা সাকিবকে এবার দলে নিয়েছিলো বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস।

Share:

রাষ্ট্র বাঁচাবো , নাকি ফেইজবুক বাঁচাবো -মস্তোফা জব্বার।

রাষ্ট্রের স্বার্থে ফেসবুক নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। বলেন, মানুষের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনে প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার। এক্ষেত্রে কোনো আপোষ করার সুযোগ নেই।
সোমবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে, এশিয়া-প্যাসিফিক রেগুলেটরি কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদকিদের এসব কথা বলেন।
মোস্তফা জব্বার বলেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করলে প্রযুক্তির দিকে তাকিয়ে থাকার সুযোগ নেই। ফেসবুক রাষ্ট্রকে বিপন্ন করে ফেললে রাষ্ট্র বাঁচাবো না ফেসবুক বাঁচাবো? তখন বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ করতে হবে।
ফেসবুকে নানা ধরনের গুজব প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাইলেও ফেসবুকের কোনো কন্টেন্ট ফিল্টারিং করতে পারি না। এ বিষয়ে আমাদের ফেসবুকের কাছে অনুরোধ করতে হয়। তারা আমাদের কিছু অনুরোধ রাখেন। কেননা, ফেসবুক তাদের আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড এবং সে দেশের আইন অনুযায়ী চলে। তবে, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়ন করছে। এটা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে ফেসবুকের অনাকাঙ্ক্ষিত কন্টেন্টগুলো বন্ধ করা যাবে।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Share:

হামলায় ছাত্রলীগ জড়িত ছিল প্রমাণ দিন,আমি বিচার করব -ওবাইদুল কাদের।

সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন হামলায় ছাত্রলীগের জড়িত থাকার প্রমাণ দিন, আমি বিচার করবো বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একটি পেপার কাটিং দেখিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানকার দুই যুবকের একজন হলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সাংবাদিকদের ওপর হামলায় এই লোকগুলোও তো জড়িত থাকতে পারে।
এই আন্দোলনে অনুপ্রবেশ ঘটেছে দাবি করে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কোনও আন্দোলনকারী নেই। যখনই আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর উসকানিমূলক বক্তব্যকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন, তখনই এটি দিবালোকের মতো সত্য হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্রছাত্রীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে বিএনপি নোংরা রাজনীতি করেছে। বিএনপি সরকার হটানোর আন্দোলন করছে, এটি এখন পরিষ্কার।
তিনি বলেন, গতকালের যে আন্দোলন, তা ছাত্রছাত্রীদের ছিল না। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আহ্বানে সারাদেশ থেকে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা ঢাকায় আসে। শিবির-ছাত্রদলের ক্যাডাররা অস্ত্র নিয়ে শাহবাগ থেকে সাইন্সল্যাব পর্যন্ত পরে সেখান থেকে বিজিবি গেটে আসে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগ কার্যালয় হামলা করা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি না যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা করারও কোনও এজেন্ডা নেই তাদের।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনটি সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত হবে, সেখান থেকে যাচাই-বাছাই শেষে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হবে। সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে আইনটি জাতীয় সংসদে পাশ করা হবে। এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তির যে কথা বলা হয়েছে, সেটি অপরাধের মাত্রার ওপর নির্ভর করবে।
তিনি আরও বলেন, পেনাল কোডের ৩০২ ধারা মোতাবেক, মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকবে। কেউ যদি হত্যার উদ্দেশে দুর্ঘটনা ঘটায় এবং তা তদন্তে প্রমাণিত হয়, তাহলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর হবে। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ৩০২ ধারার বিধান প্রযোজ্য হতে পারে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন আগামী শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশের বিআরটিএ’র প্রতিষ্ঠানগুলোয় লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, গাড়ির ফিটনেস প্রদান ও নবায়ন কার্যক্রম প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চালু থাকবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
Share:

জনগণ এখন বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি খুঁজছে -হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ।

দেশের এমন পরিস্থিতিতে মানুষ সরকারের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
এমনি মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, দেশের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। জনগণ এখন রাষ্ট্র ক্ষমতার বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি প্রত্যাশা করছে। তাই জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের সামনে সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।
সোমবার জাপার বনানী কার্যালয়ে সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরিক ইসলামী মহাজোটের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এসব কথা বলেন।
সোমবার জাপার বনানী কার্যালয়ে সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরিক ইসলামী মহাজোটের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। তবেই আমরা জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাতে পারবো।সত্যিই জাতি এই অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে চায়।বর্তমান দেশের মানুষ অতিষ্ঠ সরকারের প্রতি।
এ সময় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক আগামী সংসদ নির্বাচনে তার জোটের আগ্রহী প্রার্থীদের একটি তালিকা জোট চেয়ারম্যান এরশাদের হাতে হস্তান্তর করেন।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন রাজু, এমএ রাজ্জাক খান, ইসলামী মহাজোটের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আলহাজ আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক, মহাসচিব মাওলানা আবু হাসনাত, আলহাজ মাওলানা আলতাফ চৌধুরী, মুফতি মোর্শেদ প্রমুখ।
Share:

বিশ্বের ঘৃণিত ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রকাশ।

বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে? আপনাকে এক মিনিট সময় দেওয়া হলো এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। চোখ বন্ধ করুন, আর ভাবুন গোটা বিশ্বের প্রেক্ষাপট থেকে।এক মিনিট শেষ। এবার উত্তর দিন। আপনি হয়তো এক, দুই করে অনেকের নাম বলবেন। কিন্তু আপনি কি এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নাম ভাবতে পারেন? আপনি যদি না-ও পারেন, তবে জেনে নিন জর্জ ডব্লিউ বুশ রয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষের তালিকার ৪ নম্বরে। পশ্চিমা বিশ্বের বদৌলতে যে স্ট্যালিন, মাও সে তুংকে ব্যাপক ঘৃণার কথা বলা হয়, তাঁদের চেয়েও ‘এগিয়ে’ রয়েছেন বুশ।সম্প্রতি বিশ্ব ইতিহাসের নায়ক ও খলনায়ক খুঁজতে করা এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খলনায়কের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার। এরপর রয়েছেন আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন, তাঁর পরে ইরাকে সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন।বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানুষ হিসেবে তালিকায় বুশের সঙ্গে রয়েছেন সোভিয়েত কমিউনিস্ট নেতা স্টালিন,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা, চীনের বিপ্লবি মার্কসবাদী নেতা মাও সে তুং এবং মার্কসবাদী রুশ কমিউনিস্ট নেতা লেনিনের মতো মানুষ। ডেইলি মেইল জানায়, গবেষণায় আরো দেখা যায়, মানব সেবার অনন্য প্রতীক মাদার তেরেসা, ভারতের অহিংস নেতা মহাত্মা গান্ধী, যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অহিংস আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং, আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, খ্রিস্টান ধর্মের মূল ব্যক্তিত্ব যিশু খ্রিস্টকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সেরা নায়ক বা শ্রেষ্ট মানুষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিজ্ঞানী আইনস্টাইন।আর্জেন্টিনা, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্রসহ ৩৭টি দেশের সাত হাজার শিক্ষার্থীর মতামতের ভিত্তিতে এই গবেষণা করা হয়েছে। যাঁদের গড় বয়স ২৩ বছর। মতামত গ্রহণের জন্য গবেষরা ব্যবহার করেছেন ল্যাটেন্ট প্রোফাইল এনালাইসিস (এলপিএ) পদ্ধতি। বিশ্ব ইতিহাসের ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ওপরে ভিত্তি করে নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছিল এই শিক্ষার্থীদের।

Share:

ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও ভাংচুর।

ঢাকার আফতাব নগরে  ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে।বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি খুবই থম্থমে বিরাজ করছে।
রামপুরায় ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে।
 
ভাংচুর করছে একদল যুবক। 
পুলিশের পাশাপাশি শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। আজ সোমবার রামপুরা ব্রিজের পাশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করতে চাইলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। এ সময় ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। ক্যাম্পোসে  শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।এছাড়াও রাজধানীর ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনী নানা অরাজকতার সৃষ্টি করছে।
পুলিশের টিয়ারসেল নিক্ষেপ।

তারা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে ভেতর থেকে শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। এদিকে যুবলীগের হেলমেট বাহিনী প্রথম আলো’র স্টাফ রিপোর্টার নাসরিন আক্তারকে হেনস্থা করে। সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অবস্থান কর্মসূচিরত ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজন ছাত্র ও দুইজন ছাত্রী রয়েছে। আফতাব নগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 

Share:

বাংলাদেশী অ্যামেরিকান শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রতিবাদ।

'We Want Justice' এই আন্দোলন এখন শুধু বাংলাদেশের লখো কোটি শিক্ষার্থীর শ্লোগান নয়।এই শ্লোগান দিয়ে রাস্তায় নেমে বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সমর্থন করেছে। এই আন্দোলনের বিপক্ষ স্থান কারীদের নানা সমালোচনা করেছে।কেননা এই আন্দোলন ন্যায়ের পক্ষে আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে।তাঁরা বলে এই আন্দোলন বুকে ধারন করার মত নয়,তাই আমরা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উপর যে অন্যায় ও অবিচার করা হচ্ছে তার প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছি।  
বাংলাদেশী অ্যামেরিকান শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রতিবাদ।
৫ আগস্ট ২০১৮ অ্যামেরিকার জ্যামাইকায় বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব উএসএ  এর পক্ষ থেকে প্রায় কয়েকশ শিক্ষার্থী রাস্তায় আন্দোলন করে।তাঁরা বাংলাদেশের শিক্ষার্থী আন্দোলনকে সমর্থন জানায় এবং শিক্ষার্থী আন্দোলনের বিপক্ষ অবস্থানকারীদের তীব্র নিন্দা জানায়।কারণ,এই আন্দোলন ন্যায়ের আন্দোলন , ন্যায্য দাবী আদায়ের আন্দোলন। এসময় তাঁরা বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে শ্লোগান দিতে থাকে (WE WANT JUSTICE) বলে।
বাংলাদেশী অ্যামেরিকান শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রতিবাদ।

এছাড়াও শুধু অ্যামেরিকা নয় আল-জাজিরা , সৌদি-আরব সহ আরো অনেক দেশ এই আন্দোলনের পক্ষে রাস্তায় আন্দোলন করেন।তাঁরা কেউ চায়না বাংলাদেশের কোন শিক্ষার্থী এভাবে রাস্তায় মারা যাক।সাথে তাঁরা এও বলেন যে আর কোন শিক্ষার্থীদের উপর কোন প্রকার মারধর গুলি টিয়ারসেল গ্যাস যেন নিক্ষেপ না করা হয়।তাঁরা চান শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন মেনে নেয়া হোক। 
Share:

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া সমালোচনায় যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার পরিপেক্ষিতে যা ঘটছে তা বেদনাদায়ক অমানবিক।এটা কোন সুস্থ রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না।যা দেশের মানুষের কাম্য নয়।এমনকি দেশের বাইরেও সরকার কুড়াচ্ছে না অবমাননা আর সমালচনা।যেটা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনার যের ধরে দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা সমালোচনা হচ্ছে।যেমন-

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক প্রতিবেদনে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতনে জড়িত থাকার পাশাপাশি তাদের বিচার না হওয়ার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা নাগরিকদের নির্যাতন ও হত্যা বন্ধে বাংলাদেশ ২০১৭ সালে সামান্য ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত মানবাধিকার পরিস্থিতিসংক্রান্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে এসব কথা বলা হয়।যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটির ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন জে সালিভান এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আস্থা না পাওয়ায় অনেকেই সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করেন না বা অভিযোগ জানান না।
বিচারহীনতার কারণে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও অপরাধ করেও পার পেয়ে গেছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়। এতে বলা হয়, যেসব ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে সরকারি বাহিনীর দ্বারা বিচার বহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, বেআইনি আটক ও গুম করে দেওয়া।এটা আমাদের জন্য কোন ভাবেই কাম্য নয় ।

Share:

গুজব না ছড়াক, দাসত্ব নিপাত যাক , স্বৈরাচারী নিপাত যাক।

যা লিখবো, এর চেয়ে খাঁটি সত্য ইনশাআল্লাহ পাওয়া যাবে না। আমরা মাঝরাত পর্যন্ত নিজেরাই এই সমস্ত তথ্য জোগাড় করেছি। কোন ভাঁওতাবাজি নয়। গতকালকের ঘটনাপ্রবাহ ব্যাখা করার চেষ্টা করবো, তারপর সবাই নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিবেন। গুজব না ছড়াক, দাসত্ব নিপাত যাক।
তথ্যসূত্র - আন্দোলন পরিচালনাকারী কেউ/কয়েকজন যারা নিজের সামনে সবকিছু হতে দেখেছে ; আমি নিজে
* ছাত্রলীগ এর পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে যে সকালে তাদের পার্টি অফিসে হামলা করা হয়েছে (হায়, এমন দেশে বাস করি, জামাত-বিএনপি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় অফিসেও আজ হামলা চালায়। কত ভয়ংকর )
দুপুর পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি। ছাত্ররা নিয়ম মেনেই লাইসেন্স চেক করছিলো, সবকিছু আগের মতোই চলছিল।
তারপর ছাত্রলীগ হঠাত হামলা চালায় (পূর্ববর্তী ঘটনার রেশ টেনে ) এবং ছাত্ররা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। ছাত্রীদের বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে (স্যালুট)। ধাওয়া- পালটা ধাওয়া চলতে থাকে
ঠিক এইসময়েই ৩ জন ছাত্র হঠাত নিখোঁজ হয় (একজন ছিল রগচটা) ছাত্রদের পার্টি অফিস চেক করার অফার দেওয়া হয়েছিল। ছাত্ররা ভেবেছে হয়তো সেই তিনজন সেখানে গেছে।এভাবে চলতে চলতে একসময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সমঝোতার কথা আসে। তারপর ছাত্রদের সাথে তাদের কথা চলে।
শিক্ষার্থীদেরকে পুলিশর গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ। 
ইতোমধ্যে সাইন্স ল্যাবের ছাত্রদের দলটি ঝিগাতলা পৌঁছায়। ফলে তারা শক্তিশালী হয়। পাশাপাশি একটা বাচ্চা এসে জানায় যে ৪ জন মেয়েকে রেপ করা হচ্ছে (দুইজনকে পরে কাপড় ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়, দুজন মেয়েকে তুলনামূলক ভালো অবস্থায় পাওয়া যায়। বর্ণনাকারীর ব্যবহৃত শব্দ ছিল " দুজনকে এনে নামিয়ে দেয়")
ফলে তাদের সন্ধানে ছাত্রছাত্রীরা পার্টি অফিসের দিকে অগ্রসর হতে থাকে(সহপাঠীদের পেতে)। এদের সংখ্যা দেখে এবার ছাত্রলীগ পুলিশকে সামনে পাঠিয়ে পিছে নিজেরা অবস্থান করে।
পুলিশ টিয়ার শেল মারে। ছাত্ররা পিছানোর সময় পিছ থেকে বিজিবিও টিয়ার শেল মেরে জায়গাটাকে ছাত্রদের পিটানোর খোঁয়াড় হিসেবে তৈরি করে 
তারপর আর কী... মাইর চলে। মোটামুটি প্রায় সব অপ্রীতিকর ঘটনাই এই সময় ঘটে, ভেঙ্গে ফেলা, চোখ তুলে ফেলা
ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের নৃশংসতা।
কিন্তু, কোন স্পটডেড ঘটেনি। গুজবটা উঠে সেই তিন ছাত্রকে নিয়ে। যারা অদ্যাবধি নিখোঁজ 
এরপর আবার আলাপের প্রস্তাব আসে। এবার অভিনব পদ্ধতিতে। ৪ জন আইডিয়ালের ছাত্র এসে হাজির হয়। ফিটফাট আনকোরা নতুন ড্রেসে(ইভেন পরিচয় পত্র ছাড়াই) (!!!) তারা বলে যে তারা দেখে এসেছে পার্টি অফিসে কিছু নেই এবং তারা প্রেস কনফারেন্সও করে ফেলেছে 
একটু পরেই রব্বানী ভাই যোগ দেন। কিন্তু এই দুইদলের কেউই ছাত্রদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়নি, যেমন, "গুলি কেন চলল, নিখোঁজ ছাত্ররা কোথায়, ছাত্রীদের উপর কেন নির্যাতন হয়েছে, ইত্যাদি ইত্যাদি "
রব্বানি ভাই চলে যাওয়ার পর পুলিশ এসে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাক আপ দেওয়ার কথা বলে ধানমন্ডি পার্টি অফিস পর্যন্ত নিয়ে যায়। কিন্তু আমাদের ভিতরে ঢুকতে না দিয়ে বসায় রাখে। ১০ মিনিটের মতো পরিকল্পনার পর আমাদের উপর লাঠিচার্জ শুরু হয়:) এবং সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। আর এক হয়ে উঠা হয়নি।
লাঠিচার্জের পরেই ছাত্রলীগ পুলিশী নিরাপত্তায় মিছিল বের করে। তাদের হাতের রড, লাঠি, এসব ছিলই।
১| স্পটডেড আমাদের জানানুযায়ী নেই। কিন্তু যাদের নিয়ে গুজব, সেই তিন জন এখনো নিখোঁজ  এখন,
শিক্ষার্থীদের ন্যায়ের দাবীতে সমর্থন জনগণের আন্দোলন শাহাবাগ চত্বরে সমাবেশ।
২| ৪ মেয়ে নিখোঁজ ও ৪ মেয়ের প্রাপ্তি সংবাদ রয়েছে। অর্থাৎ বেঁচে আছে 
বাকীটাতে আমি যাচ্ছি না।
৩| সন্ধ্যা থেকে অ্যাম্বুলেন্স এ করে অভিভাবক পরিচয়ে ছাত্রদের ল্যাব এইড থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাত ১০ টায় ঝিগাতলায় ছাত্রভর্তি অ্যাম্বুলেন্স (চলন্ত) আমরা নিজে দেখি।
রাত ১২ টায় শুনছি ঝিগাতলার এক বাসার নীচতলার গ্যারেজে অনেক লাশ গোসল করানো হচ্ছে। ছবিও পাওয়া গেছে পলিথিন টাঙ্গিয়ে গোসল দেওয়ানোর 
আগের দুটো ঘটনার সাথে পরের ঘটনার মিল দিতে আমার ইচ্ছা নেই, ইচ্ছা নেই, ইচ্ছা নেইইইই........
৪| হামলাকারীদের একটি বড় গ্রুপ হামলার পর সাইন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেটের মাঝের রাস্তায় জড়ো হয়। তাদের হাতে রড, লোহার চাটা, লাঠি ইত্যাদি ছিল। এদের মাঝেই কেউ/কারা বুয়েট ইইই'১৪ এর একজনকে মেরে হাসপাতালে পাঠায়।
৫| বিজিবির টিয়ার শেল ছোঁড়ার পর প্রায় ২-৩শ ছাত্রছাত্রী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এই সময়ে যে কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া, ধর্ষণ করা, হত্যা করা খুবই সহজ কাজ বাকীটা কল্পনা করতে চাচ্ছি না...
যেকোনো মেরুদণ্ডী সমাজে এমন ঘটে গেলে সবাই রাস্তায় নামে আসতো। কমপক্ষে নিজেদের স্থান থেকে সাহায্য করতো।
এরপরেও কি বাংলার সুশীল সমাজ এবং আপামর জনগণ চুপ থাকবেন?
অবশ্য থাকতেও পারেন। শত বছরের দাসত্ববৃতি অভ্যাস, একদিনে যাবে কেন 
সব লেখা পড়ে কি বুঝলেন?
from 
ইউসুফ শরীফ 
Share:

হামলায় ফখরুলরা জড়িত -ওবাইদুল কাদের।


ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার দল জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ওবায়দুল কাদের।সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও ছিলেন।
ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও লীগ সম্পাদক। 
রোববার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, আমীর খসরু মাহমুদের ফোনালাপে মির্জা ফখরুলের সমর্থন দেয়ায় বিএনপির ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গেছে। এর ফলে প্রমাণ হলো একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি জড়িত।
তিনি বলেন, বিএনপি ও তার দলের দোসররা শিক্ষার্থীদের এ অরাজনৈতিক আন্দোলনের ওপর ভর করে সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করছে।সত্যিই কি এসব ষড়যন্ত্র গুজব?পরিসংখ্যানে কিন্তু চলমান সরকারের পতন পরিলক্ষিত স্পষ্ট।  শনিবার ও রোববারের হামলায় প্রমাণিত যে মির্জা ফখরুল ও তার দল জড়িত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী দলীয় সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের সতর্ক ও সংযত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
Share:

Hello

add code

জেনে নিন আমাদের সমাজের ২৪৪ টি কুসংস্কার ।

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে ...

Categories

Add Code