Date:

Showing posts with label agriculture. Show all posts
Showing posts with label agriculture. Show all posts

উন্নয়নে বাংলাদেশের কিছু অভাবনীয় পরিবর্তন ।

বাংলাদেশের অনেক সমস্যা।বিভিন্ন সূচকে আমরা অন্যান্য দেশের তুলনায় নিচের দিকে।এখানেই রয়েছে অনেকের সততা আর স্বদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ।হয়ত আপনারও অনেক প্রশ্ন আছে বলতে ইচ্ছে করে কিন্তু করতে পারেন না।এত সবের মধ্যে কিন্তু দেশ থেমে নেই।
কিন্তু এর মাঝেও আমাদের দেশে গর্ব করার মত অনেক ঘটনা ঘটেছে কয়েক বছরে।আমি একজন আশবাদি বাংলাদেশী এমনি কিছু গল্প তুলে ধরবো আপনাদের কাছে। বছর দশেক আগেও আমাদের জেডিপি ছিল ৫.৭৫% শতাংশ বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৭.২৫% শতাংশ ।যা পৃথিবীর খুব কন দেশে এমন ভাবে জেডিপি গ্রোথ প্রত্যক্ষ করেছে।
আমাদের মাথা পিছু আয় বছর দশেক আগে ছিল ৭১০ ডলার যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে  ১৬১০ ডলার যা প্রমান করে দেয় দেশে কর্মঠ মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।কিছু দিন আগে আমাদের ফরেন রিজার্ভ ছিল এক বিলিয়ন ও তার কাছাকাছি এখন আমাদের ফরেন রিজার্ভ কারেন্সি রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।আমরা গার্মেন্টস বানাচ্ছি, জাহাজ বানাচ্ছি জেই জাহাজ পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোতে যাচ্ছে এমনকি ডেনমার্ক নরওয়ে তেও আমাদের দেশে নানান জাহাজ যায়।আইসিটি সেক্টরে আমাদের আয় প্রায় বিলিয়ন ডলার ছুই ছুই করছে।যা কিছু দিনের মধ্যে তা ক্রস করবে।এমনকি সামনে কিছু দিনের মধ্যে বাংলাদেশের অনেক বড় আয়ের উৎস হয়ে দাড়াবে আইসিটি।একটা দেশ কতটা উন্নত হচ্ছে সেটা বুঝার একটা বড় উপায় হচ্ছে তার পাওয়ার জেনারেশন ক্যাপস।তার বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ক্ষমতা।বছর কয়েক আগে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ছিল মাত্র ২৭ টি যা বর্তমানে ১১৫ টি।যা দিয়ে আগে মাত্র ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হত এখন ১৬ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হয়।যা দিয়ে আগে মানুষ সেবা পেত ৪৭% শতাংশ বর্তমানে সেবা পায় ৮৩% শতাংশ অর্থাৎ এখন প্রতি ১০০ জনে ৮৩ জন বিদ্যুৎ সেবা পায়।দশ বছর আগে বাংলাদেশে ৩৪% শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিছে বাস করত বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২২% শতাংশতে।প্রবাসীদের আয় ১৪-১৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার।চরম দারিদ্রসীমার নিছে বাস করত ১৯% শতাংশ মানুষ বর্তমানে তা কমে ১২% শতাংশ হয়েছে।আপনি জানলে অবাক হবেন যে আমাদের গড় বেড়ে হয়েছে ৭২ বছর।কৃষিতে বাংলাদেশ বিপ্লব ঘটিয়েছে । আমাদের আবাদি জমি কমছে কিন্তু শস্য উৎপাদন কমেনি বরং বেড়েছে।সারা পৃথিবী জুড়ে শান্তিরক্ষা কমিশনে যে কাজ করে সেখানে বাংলাদেশে সামরিক বাহিনী থেকে বাহিনী যায় সবচেয়ে বেশি।এটা আমাদের একটা বড় গরবের বিষয়।পৃথিবীতে ৫৭ তম দেশ হিসেবে আমরা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছি যা নাম বঙ্গবন্ধু-১ ।এমন আরো অনেক উদাহরন আছে যা বাংলাদেশকে উন্নত মর্যাদায় নিয়ে গেছে।বাংলাদেশ আরো উন্নত হোক ।এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।
Share:

একটি গরুর দাম ২৮ লাখ টাকা।

'বাহাদুর' কি ভাবছেন কোন মানুষের কথা বলছি? না এটা কোন বীর পালোয়ান কিংবা রাজার বংশধরের নাম নয়।বিশাল আকৃতির এক গরুর নাম।
এবারের বাজারের সবচেয়ে বড় গরু। 
ট্রাক কিংবা ট্রলার নয় আমেরিকার টেক্সাস থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট যোগে আনা হয় গরুটি।যার ওজন প্রায় এক হাজার পাঁচশত বায়ান্ন কেজি অর্থাৎ ১৫৫৫ কেজি। ১১ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘বাহাদুর’।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রো লিমিটেডের কর্ণধার মো: ইমরান হোসেন এ বছর কোরবানির বাজারের জন্য আমেরিকার টেক্সাস থেকে নিয়ে আসেন ব্রাংগাস প্রজাতির বাহাদুরকে। তবে হাটে নেয়ার আগেই বিক্রি হয়ে যায় বাহাদুর। শিল্পপতি শাকের আহমেদ ২৮ লাখ টাকায় কিনে নেন বাহাদুরকে।
গতকাল মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ ভাঙা মসজিদের কাছে সাদিক এগ্রোতে গিয়ে দেখা যায় বাহাদুরের জন্য আলাদা করে ঘর তৈরি করা হয়েছে। যার চারপাশে শা শা করে ঘুরছে একাধিক সিলিং ও স্ট্যান্ড ফ্যান। পরিষ্কার মেঝেতে দাঁড়িয়ে পছন্দের খাবার খাচ্ছে বাহাদুর।
সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন জানান, বাহাদুরের প্রতিদিনের তালিকায় থাকছে প্রায় ৫৫ কেজি খাবার। যার মধ্যে থাকে ২০ কেজি কাঁচা ঘাস। এ ছাড়া কাঁচা ছোলা, মসুর-খেসাড়ির ডাল, চাল ও গম খেয়ে থাকে বাহাদুর। ফলের মধ্যে আপেল তার প্রিয় খাবার। তবে আপেলের সাথে প্রতিদিন তাকে গাজর ও মিষ্টি কুমড়া খাওয়ানো হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন দানাদার জাতীয় খাবার তো রয়েছেই। তিনি আরো বলেন, আমেরিকার টেক্সাসের একটি খামার থেকে প্রায় এক মাস আগে ক্রয় করেন বাহাদুরকে। এরপর কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফাইটে করে ঢাকায় আনায় হয় তাকে। বিমানে উঠানোর জন্য ৩০০ ডলার খরচ করে একটি বিশেষ আকৃতির খাঁচা তৈরি করা হয় বাহাদুরের জন্য। যাতে করে বিমানের মধ্যে সে কোনো ধরনের অসুবিধার সৃষ্টি করতে না পারে।
ইমরান বলেন, বাহাদুরকে আমেরিকা থেকে আনতে বিমান ভাড়া ও অনুসঙ্গিক খরচ পড়েছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। এ বছর কোরবানির বাজারে তিনি বাহাদুরের দাম হাঁকিয়ে ছিলেন ৪০ লাখ টাকা। শেষ পর্যন্ত শিল্পপতি শাকের আহমেদ ২৮ লাখ টাকায় কিনে নেন গরুটি। এর আগে গত বছর কোরবানির আগে ইমরান হোসেন আমেরিকা থেকে সুলতান নামে আরো একটি গরু এনেছিলেন। তবে বাহাদুরের চাইতে ছোট ছিল সুলতান।
Share:

রাতে যে খাবারগুলো খেলে বিপদ।

আমরা বাংলালি খেতে ভালোবাসি।আর প্রিয় খাবার হলেতো কোন কথাই নাই , ইচ্ছে মতো খাই হোক সেটা সকাল, দুপুর কিংবা রাত।আমরা একেকজন একেক ধরণের খাবার খেতে পছন্দ করি।তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার অজান্তেই কোন এক খাবার নিরবে আপনাকে ভিতরে ভিতরে শেষ করে দিচ্ছে? কেউ কি কখনো ভেবে দেখেছেন, রাতে আমরা যা খাচ্ছি তা স্বাস্থ্যসম্মত কিনা? রাতে কারো ভাত, কারো দুধ না খেলে ঘুম আসে না। অনেকের আবার রাতে ঘুমের আগে দুধ খাওয়া চাই-ই-চাই।

অতিরিক্ত রাত জাগার কারণে অনেকেরই আবার রাতে ভাজাভুজি, চকোলেট কিংবা নানা ধরণের মুখরুচক খাবার খাওয়ার বদভ্যাস থাকে। এই সব বদভ্যাস থেকে ওজন যেমন বাড়ে তেমনই শারীরিক সমস্যাও বাড়তে থাকে।
এমনি ১০টি খাবার, যা রাতে খেলে আপনার জন্য বিপদ হতে পারে।
মিষ্টিঃ
খাবারের পর হালকা মিষ্টি খাওয়া সুন্নাত। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীরে শিথিলতা যেমন আসে, তেমনই ওজনও বাড়ে তরতর করে।
দুধঃ
রাতে শোয়ার আগে অনেকেই গরম দুধ খান।দুধের ২ থেকে ৪ শতাংশ শর্করা হল  ল্যাকটোজ । ল্যাকটোজ শরীরে সহজে হজম হয় না।পরে শরীর বিভিন্ন অসুবিধায় ভোগে।গ্যাসের সমস্যা থাকলে তো এক্ষুনি রাতে দুধ খাওয়া বন্ধ করুণ।
ভাতঃ
বাঙালির প্রধান খাবার ভাত।সারাদিন কাজ  সেরে ক্লান্ত শরীরে রাতে বাড়ি ফিরে জমিয়ে ভাত না খেলে অনেকেরই ঘুম আসে না। তবে পেশি সচল রাখতে রাতে ভাত না খাওয়াই ভাল।
পিজাঃ
রাতে আলস্য লাগলে পিজা অর্জার দেওয়া খুবই কমন ব্যাপার। জানেন কি খারাপ কার্বোহাইড্রেট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর পিজা আপনার হজমের গণ্ডগোল ঘটাতে বাধ্য।সো,এই খাবারটি থেকে দূরে থাকুন।
ফুডঃ
তেল, চর্বি ও কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার একে বারেই পরিহার করা উচিত।আর রাতে বেশি তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া কোন ভাবেই উচিৎ নয় আমরা সকলেই জানি। তাই এই খাবার গুলো থেকেও নিজেকে সংযত রাখুন।
আলু ভাজাঃ
রাতে ঘুম না এলেই মুচমুচে আলু ভাজা ওয়াও। পড়েই অনেকের জিভে জল আসছে। এর স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়াম শরীরের প্রচুর ক্ষতি করে।
ব্রকোলিঃ
আমরা সবাই জানি এই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে রাতের জন্য নয়। এর প্রচুর পরিমাণ ফাইবার হজম হতে সময় নেবে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।
অরেঞ্জ জুসঃ
অনেকেই রাতে ঘুমনোর তেষ্টা মেটাতে, আবার মিষ্টি স্বাদ পেতে গলায় ঢালেন অরেঞ্জ জুস। এর অ্যাসিডিক প্রকৃতি হজমের সমস্যা বাড়ায়।এর ফলে ও হতে পারে নানা সমস্যা। 
চকোলেটঃ
বিশেষ করে ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেন। যা স্নায়ুর উদ্দীপনা বাড়িয়ে তোলে। ঘুমের সময় প্রয়োজন ঠিক উল্টটা। আর সবচেয়ে বড় কথা হল বাংলাদেশী তৈরী চকলেট নানা রকমের ভেজাল দ্রব্য দিয়ে বানানো হয়।যা শরীরের জন্য মারাক্তক ক্ষতিকর।
আইস ক্রিমঃ
আমাদের দেশে আইসক্রিম সুগারের পরিবর্তে ঘনচিনি দিয়ে বানানো হয়।এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে মেটবলিজমে ব্যাঘাত ঘটায়। যা পরবর্তীতে ক্যান্সার সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
তাই, খাবার গ্রহণে সচেতন হন। সুস্থ থাকুন।

Share:

কি খাচ্ছেন একবারও ভেবে দেখেছেন?

বর্তমান আতঙ্কের আরেক নাম ফরমালিন। কি খাচ্ছেন একবারও ভেবে দেখেছেন? এটা পুরাতন কোন কথা বা ঘটনা কোনটাই নয়।তবুও মানুষের মুখে মুখে কোথায় যাবো?কি খাবো ? অ্যাট লিস্ট  বাঁচার জন্য তো খেতে হবে । ফরমালিনের দেশ বিষের দেশ বাংলাদেশ।এসব যেন প্রতিবেলার খাবারের সঙ্গি।আর সেই সঙ্গি আমাদেরকে প্রতি মহুরতে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।বড় বড় প্রাণ নাশকারী অসুখ ক্যান্সার সৃষ্টি করে শরীরে। তাই আজ একটি কোথায় বলতে চাই নিজে সচেতন হন অন্যকে সচেতনতার কথা বলুন।ডকুমেন্টারিটা পড়ুন। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের  অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন । সম্প্রীতি তিনি মানুষের প্রাণীজ আমিষ জাতীয় খাবারের উপর এক গবেষণায় ল্যাব-টেস্ট মোতাবেক ব্রয়লার মুরগির মাংসে- ২০০০ মাক্রোগ্রাম, কলিজায়- ৬১২ মাইক্রোগ্রাম এবং মগজে- ৪০০০ মাইক্রোগ্রাম  ক্যান্সার সৃষ্টকারী বিষাক্ত  ক্রোমিয়াম পান।যা মানুষের শরীরে সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
বিষাক্ত খাবার পরিহার করুণ সুস্থ থাকুন। 

World Health Organization(WHO) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা - এর গাইড লাইন অনুসারে মানুষের শরীরে ক্রোমিয়ামের সহনশীল মাত্রা ২৬-৩৫ মাইক্রোগ্রাম।অথচ এই ফার্মের মুরগির ডিমেও আছে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ৬-৭ গুণ বেশি ক্রোমিয়াম। এর কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে মুরগী ও মাছের ফিড তৈরিতে ক্রোমিয়াম মিশ্রিত টেনারির বর্জ্য ব্যবহার হয়। যা পুরান ঢাকার টেনারিগুলো থেকে আসে।
যদিও হাইকোর্টের একটি নিষেধাজ্ঞা আছে এই ক্রোমিয়াম মেশানো নিয়ে।তবুও আইনের চোখকে আঙুল দেখিয়ে তাদের রমরমা কারবারি ঠিকি চালাচ্ছে।আর প্রতিনিয়ত ধুকে ধুকে জীবন যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।

আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী ,না আমরা ফরমালিন আর বিষে ভাতে বাঙ্গালী।কারণ, আপনি যে মাছ গুলো খাচ্ছেন ওগুলোতেও আছে উচ্চমাত্রার নাইট্রোফোরন ও আর্সেনিক।আর এই ক্রোমিয়াম, নাইট্রোফোরন ও আর্সেনিক প্রথম সারির ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিষাক্ত ক্যামিক্যাল।
আর্সেনিক দিয়ে তো ইঁদুর মারার বিষও বানানো হয়।তাহলে আমরা কি ইঁদুর মারা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করছি?

এখন বলুন, সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন যোগান দেবে কোন খাবারটি?

বিষাক্ত খাবার গ্রহনে নিজেকে বিরত রাখুন। 

বাজারে মলা-ঢেলা মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। নদী ও সামুদ্রিক মাছের দাম আকাশচুম্বী। সহজলভ্য তেলাপিয়া, পাংগাস ও অন্যান্য মাছের শরীর নাইট্রোফোরন, ক্রোমিয়াম ও আর্সেনিকে ঠাসা কারণ এই মাছগুলো ক্ষতিকর মাত্রার আর্সেনিকযুক্ত সেচের পানিতে চাষ করা হয় এবং চাষে টেনারির বর্জ্য দিয়ে প্রস্তুত ফিড ব্যবহার করা হয়।যার পুরু শরীর জুড়ে বিষ, যে বিষ আগুনে নষ্ট হবার আগেই আমাদের সুস্বাদু খাবার রেডি হয়ে যায়।

আবার, কোরবানির পশুর চামড়ার পশম পুড়তে ব্যবহৃত হয় ক্রোমিয়াম ও নাইট্রোফোরনযুক্ত ক্যামিক্যাল। চামড়া প্রসেজের পর উপজাত হিসেবে প্রাপ্ত হাজার-হাজার টন বর্জ্য পোল্ট্রি ও মাছের ফিড বানাতে ব্যবহার করা হয়।
কার্বোহাইড্রেটের পরেই শরীরের জন্য বেশি দরকার আমিষ। সাধারণ মানুষ কোথা থেকে পাবে নির্মল আমিষ? যার বেশীর ভাগই আসে মাছ,মাংস ও ডিম  থেকে। এসব খাবার বর্জন কতটা টেকসই সমাধান হতেপারে আমাদের জন্য?কেবল বোবা কান্নায় বুকটা ভার হয়ে থাকে।
এদেশের ঘরে ঘরে এখন ক্যান্সার ও কিডনি রোগী। হঠাৎ করেই মারা যাচ্ছে অল্পবয়সী তরুণ-তরুণী।জানিনা,রোগীর কাতারে আমি আপনি আছি কিনা।তাই খাবারে সচেতন হন অন্যকেও সচেতন করুণ।
কেউ কি বলতে পারেন, বিশ্বে আমাদের দেশের মতো আর কোথায় এমন ধরনের নৈরাজ্য হয়?
আচ্ছা! আমরা কবে মানুষ হব?
 
Share:

আল-কোরআনের আলোকে ধান চাষের নতুন পদ্ধতি আবিস্কার ।


এমনি এক চাঞ্চল্যকর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যা সম্পূর্ণ পবিত্র আল-কোরআনের আলোকে কিভাবে ধান চাষ করলে সহজে লাভবান হওয়া যায়।
মুহাম্মাদ মমিনুল ইসলাম। প্রভাষক,এক্সিম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের জমি যেমন উর্বর এদেশের মানুষের মনও তেমন উর্বর। অর্থাৎ ধর্মের জন্য নরম।সুতরাং ইসলাম ধর্মের আলোকে সোনার বাংলার কৃষকদেরকে অধিকতর নরম করে ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করার সম্ভাবনা অনেক। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাস্তবে হাতে কলমে বিষয়গুলো কৃষকদের দেখিয়ে ও শিখিয়ে দেয়ার অভাব । 
আল-কোরআনের ধান চাষ বিষয়ে আমি গবেষণা করে আসছি ২০১৫ সাল থেকে।যদিও ধারণাটি পেয়েছিলাম ২০১৩ সালের শেষের দিকে কোন এক বিকেল বেলা। 'সুইডিস ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচারাল সাইন্স' - এর লাইব্রেরীতে । পড়াশুনা ভাল না লাগলে কোরআন তিলাওয়াত করতাম।আইফনে একটি আপসের সাহায্যে হঠাৎ করে মহা গ্রন্থ আল-কোরআনের সূরা বাকারার ২৬১ নং আয়াত এবং সূরা ইউসুফের  ৪৭ নং আয়াত দুটিতে চোখ আটকে গেলো।উক্ত দুটি আয়াত আমাকে ধান চাষের ক্ষেত্রে ভাবিয়ে তুলছিল বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মেইল দূরে সুইডেনের উপসালা শহরে। 
উল্লেখ্য, সুইডেনে ধান চাষ হয়না বিধায় সেখানে এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ ছিল না। সেখানে পড়াশুনা শেষ করে  ২,৫০,০০০/- টাকা বেতনের চাকরী ছেড়ে দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে চলে আসলাম দেশে।
সবাই আমাকে বোকা বলছিল।কারণ ইউরোপের নাগরিকত্ব আর চাকচিক্যময় জীবন ছেড়ে আশাটাকে কেউ ভালোভাবে নেয়নি।তবে আমি বুঝেছিলাম আল্লাহ্‌ আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবেন এবং আমি আমার মেধাকে দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারব।
কৃষিতে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ । 

দেশে এসে জমি থেকে ধানের শীষ সংগ্রহ করে শীষসহ রেখে দিলাম সূরা ইউসুফের ৪৭ নং আয়াত অনুসারে।পরের বছর নিজের রেখে দেয়া শীষকে বীজ হিসেবে ব্যাবহার করা হল। যেখানে বীজ গজানোর হার ছিল ৯৫% এর অধিক। ভ্রূণগুলো এতো মোটা ও শক্ত ছিল যে অন্যান্য কৃষকদের বীজগুলো চোখেই ধরছিল না।নিজের বীজ দিয়ে সূরা বাকারার ২১৬ নং আয়াতের আলোকে বারি-২৮ এর চারা একটি করে রোপণ করা হয়েছিল।যদিও আমাদের কৃষকগণ হাইব্রিডের ক্ষেত্রে ১-২ টি করে চারা রোপণ করে।এতে চারার অপচয় হয় বহুগুণ।
আমার জমিতে  সরবচ্চ একটি চারা বীজ থেকে ৩৭টি চারা উৎপাদিত হয় এবং গড়ে ১৫-২২টি করে চারা জন্মায়। যেখানে সরবচ্চ শীষের দীর্ঘ ১২ ইঞ্চি হয়েছিল , আলহামদুলিল্লাহ্‌।সাংবাদিকগন একটি শীষের ধান মেপে হিসাব করে শতাংশে প্রায় এক মনের হিসাব পান।এ বিষয়টি সংবাদপত্রে ও টিভি চ্যানেল গুলোতে প্রচারিত হলেও আল-কোরআনের আলোকে ধান চাষের বিষয়টি সবাই এড়িয়ে যায় কাকতালীয়ভাবে।
চলতি বছর চলনবিলে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আমার তত্ত্বাবধানে ২৬ বিঘা জমিতে একটি করে চারা রোপণ পদ্ধতি পরীক্ষা করা হয়।১৫ই জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে বারি-২৯ এর চারা রোপণ করা হয় এবং ১৮ই মে ধান কাটা হয়।যেখানে প্রতি শতাংশে ৩৯ কেজি ৫০০ গ্রাম ধান উৎপাদিত হয়।অর্থাৎ শতাংশে প্রায় ১ মণ।এবার একটি চারা থেকে ধান গাছ উৎপাদিত হয়েছে সরবচ্চ ৪৩ টি এবং ৪২ টি লম্বা শীষ জন্মেছে।
ধান গাছের গোড়াগুলো  এতই সবল ছিল যে বাতাসে হেলে ধানের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি যা অন্যান্য জমিতে হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে কৃষকের বীজের খরচ বহুগুণে কমেছে যা প্রায় ৬-৮ গুণ। এবং সার ব্যাবহার করতে হয়েছে যে কোন বছরের তুলনায় কম।অন্যদিকে বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহের খরচও কমে গেছে ব্যাপকভাবে। যে কৃষক আল-কোরআনের আলোকে একটি চারা রোপণ পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন,তিনি তার কৃষি জীবনে সবচেয়ে বেশী ফলন পেয়েছেন এবছর।অতএব এটাকে একটি সফল ঘটনা বা " সাকসেস স্টোরি" বলা যেতে পারে।
কিন্তু শুরুটা সন্তসজনক ছিলনা।২৬ বিঘা জমিতে একটি করে দেশী ধানের চারা রোপণকে অন্যান্য কৃষকগণ তামাসা হিসেবে নিয়েছিল।এক পর্যায়ে যে কৃষক একটি চারা পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন,তিনি ও তার পরিবারকে কাঁদতে হয়েছিল এই ভেবে যে , এবার মান-সন্মান ও ফসল সবই গেলো।একইভাবে ২০১৫-১৬ আমাকে আমার গ্রামবাসী পাগল বলেছিল এটা মনে করে যেবিদেশ থেকে পড়াশুনা করে এসে আমি পাগল হয়ে গেছি। শেষ হাসি আমরা হেসেছিলাম যখন ফলন ভাল হয়েছিল।

একটি করে চারা রোপণ পদ্ধতির মুল সমস্যা হল আস্থার সংকট।যেহেতু বিষয়টি একাধিক ভাবে জমিতে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত এখনই একটি চারা পদ্ধতির প্রয়োগ সম্ভাবনাকে প্রান্তিক পর্যায়ে কাজে লাগানোর।কারণ একটি চারা রোপণ পদ্ধতিতে খরচ ও শ্রম কম কিন্তু উৎপাদন বেশী।

তাই বলছি কৃষক ভাইকদেরকে জানাতে নিউজটি সংকলনটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।সব শেষে , অপার সম্ভাবনাময়য় বাংলাদেশকে কৃষিতে ধান চাষে কোরআনিক পদ্ধতি একটি চারা রোপণ পদ্ধতি দেশের মাটি পেরিয়ে সারা বিশ্বে প্রয়োগ হবে এবং মহান আল্লাহর কালিমা জমিনে প্রতিষ্ঠিত হবে এটাই আমাদের একান্ত কাম্য।

                                                                                                                                                                      সঙ্কলিত।

Share:

Hello

add code

জেনে নিন আমাদের সমাজের ২৪৪ টি কুসংস্কার ।

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে ...

Categories

Add Code