Date:

marketplace

মেধ ভুঁড়ি কমিয়ে ফিটনেস হবার টিপস।

ওজন! অতিরিক্ত ওজন বা মেধ বিভিন্ন কারণে বাড়তে পারে। এর পিছনে আবহাওয়ারও প্রভাব হয়েছে।তবে মনে রাখতে হবে যে,কোন কিছুই মহান আল্লাহ্‌র ক্ষমতার  উপরে নয়।যায় হোক, নিজের একটু সতর্কতাও পারে নিজেকে ফিটনেস রাখতে। সামান্য অনিয়মেই ওজন বেড়ে যায়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ভুঁড়িও। পেটের বাড়তি চর্বি কিন্তু কেবল চেহারার আকর্ষণই কমায় না, ঘা নিজের আত্মবিশ্বাসও কমে দেয়।ডেকে আনে নানা অসুখ। জিমে গিয়ে ওয়ার্ক আউট কিন্তু ভুঁড়ির একমাত্র সমাধান নয়। তাহলে এর আসল সমাধান কি?হুম এর  ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক সমাধান আছে টা হলো-আমাদের খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি যদি রাখতে পারেন  তাহলেই জব্দ হবে ভুঁড়ি। দেখে নিন কী কী খাবার আপনাকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে।

শাক: বিভিন্ন শাক ও সবুজ পাতায় রয়েছে ভুঁড়িকে কবজা করার অব্যর্থ সব গুনাগুন। চিকিৎসকদের মতে, যেসব খাবারে পেটের চর্বি কমে, শাক-সবজি তাদের মধ্যে অন্যতম। ব্রেকফাস্ট বা দুপুরে খাবারের পাতে শাক রাখুন।কম ক্যালোরির এই খাবার অনেকের হজমের সমস্যা করে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিমাণ বুঝে শাক খান।মনে রাখুন বর্তমানে ফরমালিন যুক্ত প্রাণীজ আমিষের চেয়ে শাক-সাব্জির পুষ্টিগুণ আপনাকে শতগুণ ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
ব্রকোলি: এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, বিভিন্ন খনিজ লবণ ও ভিটামিন তো আছে।এছাড়াও এতে রয়েছে ফটোকেমিক্যাল।ফটোকেমিক্যাল চর্বি জমতে দেয় না শরীরে। তাই নিয়মিত ব্রকোলি খেয়ে কমিয়ে ফেলুন ভুঁড়ি।শীতকালের একটা অসাধারণ ফসল ফুলকপি।এই ফুলকপিতে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ।তাই মেধ বা ভুঁড়ি কমাতে চুটিয়ে খান ফুলকপি। 
মরিচ:মারিচ ছাড়া তরকারী হয়না ।আবার অনেকেই ঝাল খান না। কিন্তু ফ্যাট কমাতে হলে লঙ্কা খাবারের পাতে রোজই  খাওয়ার অভ্যাস করুণ । ডায়েটেশিয়ান বিমোচন সরকারের মতে, মরিচ ক্যালোরি পুড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শরীরে জমতে থাকা চর্বি অক্সিডাইজ করে। ফলে শরীরে চর্বি জমতে পারে না । মরিচে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকায় তা শরীরের ভিটামিন সি'এর অভাবও পুরন করে থাকে।
মাশরুম:বর্তমানে দেশ-বিদেশে আরেক জনপ্রিয় খাবারের নাম মাশরুম।সোজা বাংলায় ব্যাঙের ছাতা বলে আমরা অনেকেই জানি।এটি আঁশ জাতীয় খাবার যা ডায়াবেটিক রোগসহ মেধ কমাতে সাহায্য করে। মাশরুম রক্তে গ্লুকোজ বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া এটিতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি জমা রোধ করতে সাহায্য করে মাশরুম।
গাজর:বিভিন্ন সবজির মধ্যে গাজর অতি পরিচিত সবজি।এতে ক্যালোরির খুবই কম থাকে।এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকায় এটি শরীরের মেধ কমাতে সাহায্য করে।ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে চেহারাকে অনেক তাড়তাড়ি সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে পারে এই খাবার।তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গাজর রাখতে পারেন।এটি কাঁচা বা রান্না দুভাবেই খাওয়া যায়। 
কুমড়ো:কুমড়াতেও প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আর একেবারে কম  পরিমাণ ক্যালোরী আছে।মেধ ভুঁড়ি কমাতে রোজ ডায়েটে কুমড়ো রাখার উপদেশ দেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও কুমড়োর রয়েছে অন্যতম পুষ্টিগুণ বৈশিষ্ট্য, এটি ক্যানসার নামক মারাক্তক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।তাই খাদ্য তালিকায় কুমড়ার ভুমিকা অপরিসীম। 
শশা:মেধ ভুঁড়ি কমাতে বা ডায়েট কন্ট্রোল করতে শশা খুবই কার্যকরী।শশার পুরটাই ফাইবার আর জলে ভর্তি ।ডিটক্সিফিকেশনের বিশেষ গুণ রয়েছে শশায়।এছাড়া ফাইবারের আধিক্য ক্ষুধা কমায়। শরীরের ফ্যাট নিয়ন্ত্রণের মেনুতে রোজ শশা রাখুন।এটি কাঁচা বা তরকারী রান্না করেও খাওয়া যায়। সঙ্গে যদি টক দই রাখতে রাখেন তা হলে আরও ভাল।



বিভিন্ন ভেজাল খাবার পরিহার করুণ সুস্থ থাকুন।  

No comments:

Post a Comment

Hello

add code

জেনে নিন আমাদের সমাজের ২৪৪ টি কুসংস্কার ।

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে ...

Categories

Add Code