Date:

agriculture

আল-কোরআনের আলোকে ধান চাষের নতুন পদ্ধতি আবিস্কার ।

এমনি এক চাঞ্চল্যকর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যা সম্পূর্ণ পবিত্র আল-কোরআনের আলোকে কিভাবে ধান চাষ করলে সহজে লাভবান হওয়া যায়।
মুহাম্মাদ মমিনুল ইসলাম। প্রভাষক,এক্সিম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের জমি যেমন উর্বর এদেশের মানুষের মনও তেমন উর্বর। অর্থাৎ ধর্মের জন্য নরম।সুতরাং ইসলাম ধর্মের আলোকে সোনার বাংলার কৃষকদেরকে অধিকতর নরম করে ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করার সম্ভাবনা অনেক। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাস্তবে হাতে কলমে বিষয়গুলো কৃষকদের দেখিয়ে ও শিখিয়ে দেয়ার অভাব । 
আল-কোরআনের ধান চাষ বিষয়ে আমি গবেষণা করে আসছি ২০১৫ সাল থেকে।যদিও ধারণাটি পেয়েছিলাম ২০১৩ সালের শেষের দিকে কোন এক বিকেল বেলা। 'সুইডিস ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচারাল সাইন্স' - এর লাইব্রেরীতে । পড়াশুনা ভাল না লাগলে কোরআন তিলাওয়াত করতাম।আইফনে একটি আপসের সাহায্যে হঠাৎ করে মহা গ্রন্থ আল-কোরআনের সূরা বাকারার ২৬১ নং আয়াত এবং সূরা ইউসুফের  ৪৭ নং আয়াত দুটিতে চোখ আটকে গেলো।উক্ত দুটি আয়াত আমাকে ধান চাষের ক্ষেত্রে ভাবিয়ে তুলছিল বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মেইল দূরে সুইডেনের উপসালা শহরে। 
উল্লেখ্য, সুইডেনে ধান চাষ হয়না বিধায় সেখানে এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ ছিল না। সেখানে পড়াশুনা শেষ করে  ২,৫০,০০০/- টাকা বেতনের চাকরী ছেড়ে দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে চলে আসলাম দেশে।
সবাই আমাকে বোকা বলছিল।কারণ ইউরোপের নাগরিকত্ব আর চাকচিক্যময় জীবন ছেড়ে আশাটাকে কেউ ভালোভাবে নেয়নি।তবে আমি বুঝেছিলাম আল্লাহ্‌ আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবেন এবং আমি আমার মেধাকে দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারব।
                                                  কৃষিতে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ।     

দেশে এসে জমি থেকে ধানের শীষ সংগ্রহ করে শীষসহ রেখে দিলাম সূরা ইউসুফের ৪৭ নং আয়াত অনুসারে।পরের বছর নিজের রেখে দেয়া শীষকে বীজ হিসেবে ব্যাবহার করা হল। যেখানে বীজ গজানোর হার ছিল ৯৫% এর অধিক। ভ্রূণগুলো এতো মোটা ও শক্ত ছিল যে অন্যান্য কৃষকদের বীজগুলো চোখেই ধরছিল না।নিজের বীজ দিয়ে সূরা বাকারার ২১৬ নং আয়াতের আলোকে বারি-২৮ এর চারা একটি করে রোপণ করা হয়েছিল।যদিও আমাদের কৃষকগণ হাইব্রিডের ক্ষেত্রে ১-২ টি করে চারা রোপণ করে।এতে চারার অপচয় হয় বহুগুণ।
আমার জমিতে  সরবচ্চ একটি চারা বীজ থেকে ৩৭টি চারা উৎপাদিত হয় এবং গড়ে ১৫-২২টি করে চারা জন্মায়। যেখানে সরবচ্চ শীষের দীর্ঘ ১২ ইঞ্চি হয়েছিল , আলহামদুলিল্লাহ্‌।সাংবাদিকগন একটি শীষের ধান মেপে হিসাব করে শতাংশে প্রায় এক মনের হিসাব পান।এ বিষয়টি সংবাদপত্রে ও টিভি চ্যানেল গুলোতে প্রচারিত হলেও আল-কোরআনের আলোকে ধান চাষের বিষয়টি সবাই এড়িয়ে যায় কাকতালীয়ভাবে।
চলতি বছর চলনবিলে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আমার তত্ত্বাবধানে ২৬ বিঘা জমিতে একটি করে চারা রোপণ পদ্ধতি পরীক্ষা করা হয়।১৫ই জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে বারি-২৯ এর চারা রোপণ করা হয় এবং ১৮ই মে ধান কাটা হয়।যেখানে প্রতি শতাংশে ৩৯ কেজি ৫০০ গ্রাম ধান উৎপাদিত হয়।অর্থাৎ শতাংশে প্রায় ১ মণ।এবার একটি চারা থেকে ধান গাছ উৎপাদিত হয়েছে সরবচ্চ ৪৩ টি এবং ৪২ টি লম্বা শীষ জন্মেছে।
ধান গাছের গোড়াগুলো  এতই সবল ছিল যে বাতাসে হেলে ধানের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি যা অন্যান্য জমিতে হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে কৃষকের বীজের খরচ বহুগুণে কমেছে যা প্রায় ৬-৮ গুণ। এবং সার ব্যাবহার করতে হয়েছে যে কোন বছরের তুলনায় কম।অন্যদিকে বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহের খরচও কমে গেছে ব্যাপকভাবে। যে কৃষক আল-কোরআনের আলোকে একটি চারা রোপণ পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন,তিনি তার কৃষি জীবনে সবচেয়ে বেশী ফলন পেয়েছেন এবছর।অতএব এটাকে একটি সফল ঘটনা বা " সাকসেস স্টোরি" বলা যেতে পারে।
কিন্তু শুরুটা সন্তসজনক ছিলনা।২৬ বিঘা জমিতে একটি করে দেশী ধানের চারা রোপণকে অন্যান্য কৃষকগণ তামাসা হিসেবে নিয়েছিল।এক পর্যায়ে যে কৃষক একটি চারা পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন,তিনি ও তার পরিবারকে কাঁদতে হয়েছিল এই ভেবে যে , এবার মান-সন্মান ও ফসল সবই গেলো।একইভাবে ২০১৫-১৬ আমাকে আমার গ্রামবাসী পাগল বলেছিল এটা মনে করে যেবিদেশ থেকে পড়াশুনা করে এসে আমি পাগল হয়ে গেছি। শেষ হাসি আমরা হেসেছিলাম যখন ফলন ভাল হয়েছিল।

একটি করে চারা রোপণ পদ্ধতির মুল সমস্যা হল আস্থার সংকট।যেহেতু বিষয়টি একাধিক ভাবে জমিতে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত এখনই একটি চারা পদ্ধতির প্রয়োগ সম্ভাবনাকে প্রান্তিক পর্যায়ে কাজে লাগানোর।কারণ একটি চারা রোপণ পদ্ধতিতে খরচ ও শ্রম কম কিন্তু উৎপাদন বেশী।

তাই বলছি কৃষক ভাইকদেরকে জানাতে নিউজটি সংকলনটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।সব শেষে , অপার সম্ভাবনাময়য় বাংলাদেশকে কৃষিতে ধান চাষে কোরআনিক পদ্ধতি একটি চারা রোপণ পদ্ধতি দেশের মাটি পেরিয়ে সারা বিশ্বে প্রয়োগ হবে এবং মহান আল্লাহর কালিমা জমিনে প্রতিষ্ঠিত হবে এটাই আমাদের একান্ত কাম্য।


                                                                                                                                                                       সংকলিত

No comments:

Post a Comment

Hello

add code

জেনে নিন আমাদের সমাজের ২৪৪ টি কুসংস্কার ।

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে ...

Categories

Add Code