Date:

Showing posts with label marketplace. Show all posts
Showing posts with label marketplace. Show all posts

উন্নয়নে বাংলাদেশের কিছু অভাবনীয় পরিবর্তন ।

বাংলাদেশের অনেক সমস্যা।বিভিন্ন সূচকে আমরা অন্যান্য দেশের তুলনায় নিচের দিকে।এখানেই রয়েছে অনেকের সততা আর স্বদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ।হয়ত আপনারও অনেক প্রশ্ন আছে বলতে ইচ্ছে করে কিন্তু করতে পারেন না।এত সবের মধ্যে কিন্তু দেশ থেমে নেই।
কিন্তু এর মাঝেও আমাদের দেশে গর্ব করার মত অনেক ঘটনা ঘটেছে কয়েক বছরে।আমি একজন আশবাদি বাংলাদেশী এমনি কিছু গল্প তুলে ধরবো আপনাদের কাছে। বছর দশেক আগেও আমাদের জেডিপি ছিল ৫.৭৫% শতাংশ বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৭.২৫% শতাংশ ।যা পৃথিবীর খুব কন দেশে এমন ভাবে জেডিপি গ্রোথ প্রত্যক্ষ করেছে।
আমাদের মাথা পিছু আয় বছর দশেক আগে ছিল ৭১০ ডলার যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে  ১৬১০ ডলার যা প্রমান করে দেয় দেশে কর্মঠ মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।কিছু দিন আগে আমাদের ফরেন রিজার্ভ ছিল এক বিলিয়ন ও তার কাছাকাছি এখন আমাদের ফরেন রিজার্ভ কারেন্সি রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।আমরা গার্মেন্টস বানাচ্ছি, জাহাজ বানাচ্ছি জেই জাহাজ পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোতে যাচ্ছে এমনকি ডেনমার্ক নরওয়ে তেও আমাদের দেশে নানান জাহাজ যায়।আইসিটি সেক্টরে আমাদের আয় প্রায় বিলিয়ন ডলার ছুই ছুই করছে।যা কিছু দিনের মধ্যে তা ক্রস করবে।এমনকি সামনে কিছু দিনের মধ্যে বাংলাদেশের অনেক বড় আয়ের উৎস হয়ে দাড়াবে আইসিটি।একটা দেশ কতটা উন্নত হচ্ছে সেটা বুঝার একটা বড় উপায় হচ্ছে তার পাওয়ার জেনারেশন ক্যাপস।তার বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ক্ষমতা।বছর কয়েক আগে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ছিল মাত্র ২৭ টি যা বর্তমানে ১১৫ টি।যা দিয়ে আগে মাত্র ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হত এখন ১৬ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হয়।যা দিয়ে আগে মানুষ সেবা পেত ৪৭% শতাংশ বর্তমানে সেবা পায় ৮৩% শতাংশ অর্থাৎ এখন প্রতি ১০০ জনে ৮৩ জন বিদ্যুৎ সেবা পায়।দশ বছর আগে বাংলাদেশে ৩৪% শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিছে বাস করত বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২২% শতাংশতে।প্রবাসীদের আয় ১৪-১৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার।চরম দারিদ্রসীমার নিছে বাস করত ১৯% শতাংশ মানুষ বর্তমানে তা কমে ১২% শতাংশ হয়েছে।আপনি জানলে অবাক হবেন যে আমাদের গড় বেড়ে হয়েছে ৭২ বছর।কৃষিতে বাংলাদেশ বিপ্লব ঘটিয়েছে । আমাদের আবাদি জমি কমছে কিন্তু শস্য উৎপাদন কমেনি বরং বেড়েছে।সারা পৃথিবী জুড়ে শান্তিরক্ষা কমিশনে যে কাজ করে সেখানে বাংলাদেশে সামরিক বাহিনী থেকে বাহিনী যায় সবচেয়ে বেশি।এটা আমাদের একটা বড় গরবের বিষয়।পৃথিবীতে ৫৭ তম দেশ হিসেবে আমরা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছি যা নাম বঙ্গবন্ধু-১ ।এমন আরো অনেক উদাহরন আছে যা বাংলাদেশকে উন্নত মর্যাদায় নিয়ে গেছে।বাংলাদেশ আরো উন্নত হোক ।এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।
Share:

একটি গরুর দাম ২৮ লাখ টাকা।

'বাহাদুর' কি ভাবছেন কোন মানুষের কথা বলছি? না এটা কোন বীর পালোয়ান কিংবা রাজার বংশধরের নাম নয়।বিশাল আকৃতির এক গরুর নাম।
এবারের বাজারের সবচেয়ে বড় গরু। 
ট্রাক কিংবা ট্রলার নয় আমেরিকার টেক্সাস থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট যোগে আনা হয় গরুটি।যার ওজন প্রায় এক হাজার পাঁচশত বায়ান্ন কেজি অর্থাৎ ১৫৫৫ কেজি। ১১ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘বাহাদুর’।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রো লিমিটেডের কর্ণধার মো: ইমরান হোসেন এ বছর কোরবানির বাজারের জন্য আমেরিকার টেক্সাস থেকে নিয়ে আসেন ব্রাংগাস প্রজাতির বাহাদুরকে। তবে হাটে নেয়ার আগেই বিক্রি হয়ে যায় বাহাদুর। শিল্পপতি শাকের আহমেদ ২৮ লাখ টাকায় কিনে নেন বাহাদুরকে।
গতকাল মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ ভাঙা মসজিদের কাছে সাদিক এগ্রোতে গিয়ে দেখা যায় বাহাদুরের জন্য আলাদা করে ঘর তৈরি করা হয়েছে। যার চারপাশে শা শা করে ঘুরছে একাধিক সিলিং ও স্ট্যান্ড ফ্যান। পরিষ্কার মেঝেতে দাঁড়িয়ে পছন্দের খাবার খাচ্ছে বাহাদুর।
সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন জানান, বাহাদুরের প্রতিদিনের তালিকায় থাকছে প্রায় ৫৫ কেজি খাবার। যার মধ্যে থাকে ২০ কেজি কাঁচা ঘাস। এ ছাড়া কাঁচা ছোলা, মসুর-খেসাড়ির ডাল, চাল ও গম খেয়ে থাকে বাহাদুর। ফলের মধ্যে আপেল তার প্রিয় খাবার। তবে আপেলের সাথে প্রতিদিন তাকে গাজর ও মিষ্টি কুমড়া খাওয়ানো হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন দানাদার জাতীয় খাবার তো রয়েছেই। তিনি আরো বলেন, আমেরিকার টেক্সাসের একটি খামার থেকে প্রায় এক মাস আগে ক্রয় করেন বাহাদুরকে। এরপর কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফাইটে করে ঢাকায় আনায় হয় তাকে। বিমানে উঠানোর জন্য ৩০০ ডলার খরচ করে একটি বিশেষ আকৃতির খাঁচা তৈরি করা হয় বাহাদুরের জন্য। যাতে করে বিমানের মধ্যে সে কোনো ধরনের অসুবিধার সৃষ্টি করতে না পারে।
ইমরান বলেন, বাহাদুরকে আমেরিকা থেকে আনতে বিমান ভাড়া ও অনুসঙ্গিক খরচ পড়েছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। এ বছর কোরবানির বাজারে তিনি বাহাদুরের দাম হাঁকিয়ে ছিলেন ৪০ লাখ টাকা। শেষ পর্যন্ত শিল্পপতি শাকের আহমেদ ২৮ লাখ টাকায় কিনে নেন গরুটি। এর আগে গত বছর কোরবানির আগে ইমরান হোসেন আমেরিকা থেকে সুলতান নামে আরো একটি গরু এনেছিলেন। তবে বাহাদুরের চাইতে ছোট ছিল সুলতান।
Share:

বাঁচতে হলে জানতে হবে এইচআইভি-এইডস কি?

বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ এক নাম এইচআইভি। এইচআইভি কোন রোগের নাম নয়।শরীরে এক সাথে অনেক গুলো রোগের সমষ্টি হয়ে বডিকে যখন রোগপ্রতিরধে অচল করে দেয় সেই ধাপকেই মূলত  এইচআইভি বলা হয়ে থাকে।এটা মূলত অবাধ যৌনমিলনের কারণে হয়ে থাকে।আবার যার শরীরে এই ভাইরাস আছে তার শরীর থেকে রক্ত নিলে ,  এই ভাইরাসে আক্রান্ত মায়ের শরীরের দুধ পান করলে।

এ যাবৎ কাল পর্যন্ত এর কোন প্রপার ওষুধ আবিষ্কার হয়নি।তবে সাম্প্রতি এ বিষয়ে গবেষণালব্ধ একদল গবেষক জানিয়েছেন,তাঁরা  এইচআইভি ভাইরাসের কার্যকর প্রতিষেধক তৈরির সম্ভাবনা দেখছেন।মানবদেহে এইচআইভি প্রতিরোধ তৈরি করা সম্ভব এমন একটি চিকিৎসাপদ্ধতি সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা।
সাম্প্রতি এমনি এক চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন রিপোর্ট করেছেন বিবিসি।যুক্তরাষ্ট্র, রুয়ান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডা আর থাইল্যান্ডের প্রায় ৪০০ অধিবাসীকে চার মাসে চারটি প্রতিষেধক দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষা চালানোর পর তাদের দেহে এইচআইভি প্রতিরোধকারী ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, এমন তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। এইচআইভি সদৃশ্য একটি ভাইরাসে আক্রান্ত কয়েকটি বানরও ওই চিকিৎসায় নিরাময় লাভ করেছে।
তবে এই চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করা যায় কিনা তা নির্ণয় করতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।সমস্ত পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ১৮ লাখ নতুন মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।
তবে এই গবেষণার শীর্ষ গবেষক ও হার্ভার্ড মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যান বারোখ বলেন, এ গবেষণার ফল সতর্কতার সঙ্গে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
তিনি আরো জানান, প্রতিষেধকের মাধ্যমে সবার দেহে এইচআইভি প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হলেও এই ভাইরাসের আক্রমণ ও সংক্রমণ রোধে এ প্রতিষেধক যথেষ্ট কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয় গবেষকরা। 
কিন্তু এইচআইভির চিকিৎসায় নানাবিধ অগ্রগতি হলেও এই ভাইরাসের নিশ্চিত প্রতিষেধক এখনও মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে।
‘প্রেপ’ বা ‘প্রি এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস’ নামের এই ওষুধ, যেটি এইচআইভি সংক্রমণ রোধে কার্যকর, নিয়মিত সেবন করতে হয়। আক্রান্ত হওয়ার আগে নিয়মিত এই ওষুধ গ্রহণ করলে এইচআইভি সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে না।সবচেয়ে বড় কথা হল আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।বাঁচতে হলে জানতে হবে এইছআইভি এইডস কি?
এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করার পর দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেহ নামের এই অদ্ভুত রাজ্যের রাজার মত বসবাস করে।দেহকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
তাই আমরা নিজে সচেতন হই অন্যকে সচেতন করি।

Share:

রাতে যে খাবারগুলো খেলে বিপদ।

আমরা বাংলালি খেতে ভালোবাসি।আর প্রিয় খাবার হলেতো কোন কথাই নাই , ইচ্ছে মতো খাই হোক সেটা সকাল, দুপুর কিংবা রাত।আমরা একেকজন একেক ধরণের খাবার খেতে পছন্দ করি।তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার অজান্তেই কোন এক খাবার নিরবে আপনাকে ভিতরে ভিতরে শেষ করে দিচ্ছে? কেউ কি কখনো ভেবে দেখেছেন, রাতে আমরা যা খাচ্ছি তা স্বাস্থ্যসম্মত কিনা? রাতে কারো ভাত, কারো দুধ না খেলে ঘুম আসে না। অনেকের আবার রাতে ঘুমের আগে দুধ খাওয়া চাই-ই-চাই।

অতিরিক্ত রাত জাগার কারণে অনেকেরই আবার রাতে ভাজাভুজি, চকোলেট কিংবা নানা ধরণের মুখরুচক খাবার খাওয়ার বদভ্যাস থাকে। এই সব বদভ্যাস থেকে ওজন যেমন বাড়ে তেমনই শারীরিক সমস্যাও বাড়তে থাকে।
এমনি ১০টি খাবার, যা রাতে খেলে আপনার জন্য বিপদ হতে পারে।
মিষ্টিঃ
খাবারের পর হালকা মিষ্টি খাওয়া সুন্নাত। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীরে শিথিলতা যেমন আসে, তেমনই ওজনও বাড়ে তরতর করে।
দুধঃ
রাতে শোয়ার আগে অনেকেই গরম দুধ খান।দুধের ২ থেকে ৪ শতাংশ শর্করা হল  ল্যাকটোজ । ল্যাকটোজ শরীরে সহজে হজম হয় না।পরে শরীর বিভিন্ন অসুবিধায় ভোগে।গ্যাসের সমস্যা থাকলে তো এক্ষুনি রাতে দুধ খাওয়া বন্ধ করুণ।
ভাতঃ
বাঙালির প্রধান খাবার ভাত।সারাদিন কাজ  সেরে ক্লান্ত শরীরে রাতে বাড়ি ফিরে জমিয়ে ভাত না খেলে অনেকেরই ঘুম আসে না। তবে পেশি সচল রাখতে রাতে ভাত না খাওয়াই ভাল।
পিজাঃ
রাতে আলস্য লাগলে পিজা অর্জার দেওয়া খুবই কমন ব্যাপার। জানেন কি খারাপ কার্বোহাইড্রেট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর পিজা আপনার হজমের গণ্ডগোল ঘটাতে বাধ্য।সো,এই খাবারটি থেকে দূরে থাকুন।
ফুডঃ
তেল, চর্বি ও কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার একে বারেই পরিহার করা উচিত।আর রাতে বেশি তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া কোন ভাবেই উচিৎ নয় আমরা সকলেই জানি। তাই এই খাবার গুলো থেকেও নিজেকে সংযত রাখুন।
আলু ভাজাঃ
রাতে ঘুম না এলেই মুচমুচে আলু ভাজা ওয়াও। পড়েই অনেকের জিভে জল আসছে। এর স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়াম শরীরের প্রচুর ক্ষতি করে।
ব্রকোলিঃ
আমরা সবাই জানি এই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে রাতের জন্য নয়। এর প্রচুর পরিমাণ ফাইবার হজম হতে সময় নেবে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।
অরেঞ্জ জুসঃ
অনেকেই রাতে ঘুমনোর তেষ্টা মেটাতে, আবার মিষ্টি স্বাদ পেতে গলায় ঢালেন অরেঞ্জ জুস। এর অ্যাসিডিক প্রকৃতি হজমের সমস্যা বাড়ায়।এর ফলে ও হতে পারে নানা সমস্যা। 
চকোলেটঃ
বিশেষ করে ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেন। যা স্নায়ুর উদ্দীপনা বাড়িয়ে তোলে। ঘুমের সময় প্রয়োজন ঠিক উল্টটা। আর সবচেয়ে বড় কথা হল বাংলাদেশী তৈরী চকলেট নানা রকমের ভেজাল দ্রব্য দিয়ে বানানো হয়।যা শরীরের জন্য মারাক্তক ক্ষতিকর।
আইস ক্রিমঃ
আমাদের দেশে আইসক্রিম সুগারের পরিবর্তে ঘনচিনি দিয়ে বানানো হয়।এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে মেটবলিজমে ব্যাঘাত ঘটায়। যা পরবর্তীতে ক্যান্সার সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
তাই, খাবার গ্রহণে সচেতন হন। সুস্থ থাকুন।

Share:

মেধ বা ভুঁড়ি কমিয়ে ফিটনেস হবার টিপস।

ওজন! অতিরিক্ত ওজন বা মেধ বিভিন্ন কারণে বাড়তে পারে। এর পিছনে আবহাওয়ারও প্রভাব হয়েছে।তবে মনে রাখতে হবে যে,কোন কিছুই মহান আল্লাহ্‌র ক্ষমতার  উপরে নয়।যায় হোক, নিজের একটু সতর্কতাও পারে নিজেকে ফিটনেস রাখতে। সামান্য অনিয়মেই ওজন বেড়ে যায়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ভুঁড়িও। পেটের বাড়তি চর্বি কিন্তু কেবল চেহারার আকর্ষণই কমায় না, ঘা নিজের আত্মবিশ্বাসও কমে দেয়।ডেকে আনে নানা অসুখ। জিমে গিয়ে ওয়ার্ক আউট কিন্তু ভুঁড়ির একমাত্র সমাধান নয়। তাহলে এর আসল সমাধান কি?হুম এর  ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক সমাধান আছে টা হলো-আমাদের খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি যদি রাখতে পারেন  তাহলেই জব্দ হবে ভুঁড়ি। দেখে নিন কী কী খাবার আপনাকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে।

শাক: বিভিন্ন শাক ও সবুজ পাতায় রয়েছে ভুঁড়িকে কবজা করার অব্যর্থ সব গুনাগুন। চিকিৎসকদের মতে, যেসব খাবারে পেটের চর্বি কমে, শাক-সবজি তাদের মধ্যে অন্যতম। ব্রেকফাস্ট বা দুপুরে খাবারের পাতে শাক রাখুন।কম ক্যালোরির এই খাবার অনেকের হজমের সমস্যা করে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিমাণ বুঝে শাক খান।মনে রাখুন বর্তমানে ফরমালিন যুক্ত প্রাণীজ আমিষের চেয়ে শাক-সাব্জির পুষ্টিগুণ আপনাকে শতগুণ ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
 
ব্রকোলি: এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, বিভিন্ন খনিজ লবণ ও ভিটামিন তো আছে।এছাড়াও এতে রয়েছে ফটোকেমিক্যাল।ফটোকেমিক্যাল চর্বি জমতে দেয় না শরীরে। তাই নিয়মিত ব্রকোলি খেয়ে কমিয়ে ফেলুন ভুঁড়ি।শীতকালের একটা অসাধারণ ফসল ফুলকপি।এই ফুলকপিতে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ।তাই মেধ বা ভুঁড়ি কমাতে চুটিয়ে খান ফুলকপি। 
 
মরিচ:মারিচ ছাড়া তরকারী হয়না ।আবার অনেকেই ঝাল খান না। কিন্তু ফ্যাট কমাতে হলে লঙ্কা খাবারের পাতে রোজই  খাওয়ার অভ্যাস করুণ । ডায়েটেশিয়ান বিমোচন সরকারের মতে, মরিচ ক্যালোরি পুড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শরীরে জমতে থাকা চর্বি অক্সিডাইজ করে। ফলে শরীরে চর্বি জমতে পারে না । মরিচে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকায় তা শরীরের ভিটামিন সি'এর অভাবও পুরন করে থাকে।
 
মাশরুম:বর্তমানে দেশ-বিদেশে আরেক জনপ্রিয় খাবারের নাম মাশরুম।সোজা বাংলায় ব্যাঙের ছাতা বলে আমরা অনেকেই জানি।এটি আঁশ জাতীয় খাবার যা ডায়াবেটিক রোগসহ মেধ কমাতে সাহায্য করে। মাশরুম রক্তে গ্লুকোজ বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া এটিতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি জমা রোধ করতে সাহায্য করে মাশরুম।
 
গাজর:বিভিন্ন সবজির মধ্যে গাজর অতি পরিচিত সবজি।এতে ক্যালোরির খুবই কম থাকে।এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকায় এটি শরীরের মেধ কমাতে সাহায্য করে।ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে চেহারাকে অনেক তাড়তাড়ি সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে পারে এই খাবার।তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গাজর রাখতে পারেন।এটি কাঁচা বা রান্না দুভাবেই খাওয়া যায়। 
 
কুমড়ো:কুমড়াতেও প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আর একেবারে কম  পরিমাণ ক্যালোরী আছে।মেধ ভুঁড়ি কমাতে রোজ ডায়েটে কুমড়ো রাখার উপদেশ দেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও কুমড়োর রয়েছে অন্যতম পুষ্টিগুণ বৈশিষ্ট্য, এটি ক্যানসার নামক মারাক্তক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।তাই খাদ্য তালিকায় কুমড়ার ভুমিকা অপরিসীম। 
শশা:মেধ ভুঁড়ি কমাতে বা ডায়েট কন্ট্রোল করতে শশা খুবই কার্যকরী।শশার পুরটাই ফাইবার আর জলে ভর্তি ।ডিটক্সিফিকেশনের বিশেষ গুণ রয়েছে শশায়।এছাড়া ফাইবারের আধিক্য ক্ষুধা কমায়। শরীরের ফ্যাট নিয়ন্ত্রণের মেনুতে রোজ শশা রাখুন।এটি কাঁচা বা তরকারী রান্না করেও খাওয়া যায়। সঙ্গে যদি টক দই রাখতে রাখেন তা হলে আরও ভাল।

বিভিন্ন ভেজাল খাবার পরিহার করুণ সুস্থ থাকুন।  

Share:

Hello

add code

জেনে নিন আমাদের সমাজের ২৪৪ টি কুসংস্কার ।

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে ...

Categories

Add Code