'বাহাদুর' কি ভাবছেন কোন মানুষের কথা বলছি? না এটা কোন বীর পালোয়ান কিংবা রাজার বংশধরের নাম নয়।বিশাল আকৃতির এক গরুর নাম।
এবারের বাজারের সবচেয়ে বড় গরু। |
ট্রাক কিংবা ট্রলার নয় আমেরিকার টেক্সাস থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট যোগে আনা হয় গরুটি।যার ওজন প্রায় এক হাজার পাঁচশত বায়ান্ন কেজি অর্থাৎ ১৫৫৫ কেজি। ১১ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘বাহাদুর’।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রো লিমিটেডের কর্ণধার মো: ইমরান হোসেন এ বছর কোরবানির বাজারের জন্য আমেরিকার টেক্সাস থেকে নিয়ে আসেন ব্রাংগাস প্রজাতির বাহাদুরকে। তবে হাটে নেয়ার আগেই বিক্রি হয়ে যায় বাহাদুর। শিল্পপতি শাকের আহমেদ ২৮ লাখ টাকায় কিনে নেন বাহাদুরকে।
গতকাল মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ ভাঙা মসজিদের কাছে সাদিক এগ্রোতে গিয়ে দেখা যায় বাহাদুরের জন্য আলাদা করে ঘর তৈরি করা হয়েছে। যার চারপাশে শা শা করে ঘুরছে একাধিক সিলিং ও স্ট্যান্ড ফ্যান। পরিষ্কার মেঝেতে দাঁড়িয়ে পছন্দের খাবার খাচ্ছে বাহাদুর।
সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন জানান, বাহাদুরের প্রতিদিনের তালিকায় থাকছে প্রায় ৫৫ কেজি খাবার। যার মধ্যে থাকে ২০ কেজি কাঁচা ঘাস। এ ছাড়া কাঁচা ছোলা, মসুর-খেসাড়ির ডাল, চাল ও গম খেয়ে থাকে বাহাদুর। ফলের মধ্যে আপেল তার প্রিয় খাবার। তবে আপেলের সাথে প্রতিদিন তাকে গাজর ও মিষ্টি কুমড়া খাওয়ানো হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন দানাদার জাতীয় খাবার তো রয়েছেই। তিনি আরো বলেন, আমেরিকার টেক্সাসের একটি খামার থেকে প্রায় এক মাস আগে ক্রয় করেন বাহাদুরকে। এরপর কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফাইটে করে ঢাকায় আনায় হয় তাকে। বিমানে উঠানোর জন্য ৩০০ ডলার খরচ করে একটি বিশেষ আকৃতির খাঁচা তৈরি করা হয় বাহাদুরের জন্য। যাতে করে বিমানের মধ্যে সে কোনো ধরনের অসুবিধার সৃষ্টি করতে না পারে।
ইমরান বলেন, বাহাদুরকে আমেরিকা থেকে আনতে বিমান ভাড়া ও অনুসঙ্গিক খরচ পড়েছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। এ বছর কোরবানির বাজারে তিনি বাহাদুরের দাম হাঁকিয়ে ছিলেন ৪০ লাখ টাকা। শেষ পর্যন্ত শিল্পপতি শাকের আহমেদ ২৮ লাখ টাকায় কিনে নেন গরুটি। এর আগে গত বছর কোরবানির আগে ইমরান হোসেন আমেরিকা থেকে সুলতান নামে আরো একটি গরু এনেছিলেন। তবে বাহাদুরের চাইতে ছোট ছিল সুলতান।
No comments:
Post a Comment