Date:

হিজাবের আটটি শর্ত ।

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
ইসলাম  এক পবিত্র ধর্মের নাম।ইসলাম ধর্মে মানব রচিত কোন আইন বা বিধান নাই।যুগে যুগে প্রেরিত মহান আল্লাহ্‌র নবী ও রাসুল গণ মাটির মানুষ হলেও তারা কখনো নিজের কোন আইন বাস্তবায়ন করেননি।তারা যা কিছু করেছেন সবই মহান আল্লাহ্‌র ইচ্ছায়।তেমনি মেয়েদের ব্যাপারেও রয়েছে বিধান। যেখানেই কোনো বেগানা পুরুষ থাকবে সেখানে শরয়ী হিজাবের ব্যাপারে ইসলামের বিধান রয়েছে।একজন মুসলিমা মেয়ের জন্য নিম্নের আটটি শর্তের যেকোনো একটি  লঙ্ঘন করা হারাম। কেননা অনেক মহিলা ঘরের বাইরে হিজাব পরেন ঠিকই কিন্তু তারা নিজেদের নিকটাত্মীয় গাইরে মাহরামের সামনে কোনো কোনো শর্ত লঙ্ঘন করেন। যেমন চাচাতো বা মামাতো ভাইদের সামনে মাথা ঢাকেন ঠিক কিন্তু তাদের সামনে অন্যদের মতো পুরোপুরি পর্দা করেন না। এতে করে তারা সুস্পষ্ট গুনাহ ও হারামে লিপ্ত হন।
একজন মুসলিমা মেয়ের পূর্ণ পর্দার শর্তগুলো নিম্নরূপ :
প্রথম শর্ত : অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মতে পুরো শরীর ঢাকা। ফিতনার আশংকা থাকলে সর্বসম্মতিক্রমে মুখ ও হাতের তালুদ্বয় ঢাকাও পর্দার অন্তর্ভুক্ত।তবে এক্ষেত্রে মুখ ও হাতের তালুদয় খোলা রাখতে পারে।

 
দ্বিতীয় শর্ত : হিজাবে নিজেকে সৌন্দর্যবর্ধক না করা। যেমন, আকর্ষণীয় রঙের হওয়া যা সবার দৃষ্টি কাড়ে এমন পোশাক পরা যাবেনা।

 
তৃতীয় শর্ত : মোটা ও পুরু হওয়া যাতে সৌন্দর্য দৃশ্যমান না হয় এমন পোশাক পরা। কেননা, হিজাবের উদ্দেশ্য নারীর মুগ্ধ করা সৌন্দর্য পরপুরুষের আড়াল করা। অতএব পোশাক যদি আড়ালকারী না হয় তবে তাকে হিজাব আখ্যায়িত করা যায় না। 
 
চতুর্থ : পোশাক প্রশস্ত ও ঢিলেঢালা হওয়া এবং সংকুচিত ও অন্তর্শোভা পরিদৃশ্যকারী না হওয়া। যাতে অঙ্গের আকার বা অবয়ব দৃশ্যমান না হয় এবং দেহের প্রলুব্ধকর অঙ্গ প্রস্ফুটিত না করে। এটিও পূর্বে বর্ণিত হাদীসের নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এই বিষয়টা বিশেষভাবে গুরুত্ব সহকারে মেনে চলা বাঞ্ছনীয়। 
 
পঞ্চম শর্ত : কাপড় সুগন্ধিযুক্ত না হওয়া।নারীর জন্য দেখা যায় এমন কিছু(মেহেদী । হাত ০ পায়ে দিতে পারে)  কিন্তু  গন্ধ পাওয়া যায় এমন কিছু গায়ে মাখা নিষেধ আছে।  কারণ এতে করে তা পুরুষকে আরও বেশি প্রলুব্ধ করে। নারীর আতর ব্যবহারকে ব্যভিচারের পর্যায়ে গণ্য করা হয়েছে।তবে নারী সহবাসের পরে লজ্জাস্থানে আতর  ব্যবহার করতে পারে। 
 
ষষ্ঠ শর্ত :খেয়েল রাখতে হবে যেন কোন ভাবেই একজন নারীর পোশাক পুরুষের পোশাকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ না হায়।
 
সপ্তম শর্ত :ইহুদী-খ্রিস্টান বা বিধর্মীর পোশাকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ না হওয়া। কেননা ইসলামী শরীয়ত কাফেরদের সাদৃশ্য অবলম্বন করতে কড়া নিষেধ করেছে।এতাতে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা কড়া হয় এবং পাপও হয় ।
 
অষ্টম : প্রসিদ্ধি লাভের পোশাক না হওয়া।তবে একজন মেয়ে বা মহিলা কেবল মাত্র তার স্বামীকে খুশী করার জন্য  ইচ্ছে মত ইসলামী শরিয়াত অনুসারে  সাঁজতে পারে।
 
পর্দাও একটি ইবাদত। আল্লাহ আমাদের সঠিক ভাবে পর্দা করার তৈফিক দিন।
আমিন।

Share:

ADD CODE

Hello

No comments:

Post a Comment

add code

জেনে নিন আমাদের সমাজের ২৪৪ টি কুসংস্কার ।

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে ...

Categories

Add Code