Date:

কি খাচ্ছেন একবারও ভেবে দেখেছেন?

বর্তমান আতঙ্কের আরেক নাম ফরমালিন। কি খাচ্ছেন একবারও ভেবে দেখেছেন? এটা পুরাতন কোন কথা বা ঘটনা কোনটাই নয়।তবুও মানুষের মুখে মুখে কোথায় যাবো?কি খাবো ? অ্যাট লিস্ট  বাঁচার জন্য তো খেতে হবে । ফরমালিনের দেশ বিষের দেশ বাংলাদেশ।এসব যেন প্রতিবেলার খাবারের সঙ্গি।আর সেই সঙ্গি আমাদেরকে প্রতি মহুরতে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।বড় বড় প্রাণ নাশকারী অসুখ ক্যান্সার সৃষ্টি করে শরীরে। তাই আজ একটি কোথায় বলতে চাই নিজে সচেতন হন অন্যকে সচেতনতার কথা বলুন।ডকুমেন্টারিটা পড়ুন। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের  অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন । সম্প্রীতি তিনি মানুষের প্রাণীজ আমিষ জাতীয় খাবারের উপর এক গবেষণায় ল্যাব-টেস্ট মোতাবেক ব্রয়লার মুরগির মাংসে- ২০০০ মাক্রোগ্রাম, কলিজায়- ৬১২ মাইক্রোগ্রাম এবং মগজে- ৪০০০ মাইক্রোগ্রাম  ক্যান্সার সৃষ্টকারী বিষাক্ত  ক্রোমিয়াম পান।যা মানুষের শরীরে সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
বিষাক্ত খাবার পরিহার করুণ সুস্থ থাকুন। 

World Health Organization(WHO) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা - এর গাইড লাইন অনুসারে মানুষের শরীরে ক্রোমিয়ামের সহনশীল মাত্রা ২৬-৩৫ মাইক্রোগ্রাম।অথচ এই ফার্মের মুরগির ডিমেও আছে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ৬-৭ গুণ বেশি ক্রোমিয়াম। এর কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে মুরগী ও মাছের ফিড তৈরিতে ক্রোমিয়াম মিশ্রিত টেনারির বর্জ্য ব্যবহার হয়। যা পুরান ঢাকার টেনারিগুলো থেকে আসে।
যদিও হাইকোর্টের একটি নিষেধাজ্ঞা আছে এই ক্রোমিয়াম মেশানো নিয়ে।তবুও আইনের চোখকে আঙুল দেখিয়ে তাদের রমরমা কারবারি ঠিকি চালাচ্ছে।আর প্রতিনিয়ত ধুকে ধুকে জীবন যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।

আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী ,না আমরা ফরমালিন আর বিষে ভাতে বাঙ্গালী।কারণ, আপনি যে মাছ গুলো খাচ্ছেন ওগুলোতেও আছে উচ্চমাত্রার নাইট্রোফোরন ও আর্সেনিক।আর এই ক্রোমিয়াম, নাইট্রোফোরন ও আর্সেনিক প্রথম সারির ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিষাক্ত ক্যামিক্যাল।
আর্সেনিক দিয়ে তো ইঁদুর মারার বিষও বানানো হয়।তাহলে আমরা কি ইঁদুর মারা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করছি?

এখন বলুন, সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন যোগান দেবে কোন খাবারটি?

বিষাক্ত খাবার গ্রহনে নিজেকে বিরত রাখুন। 

বাজারে মলা-ঢেলা মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। নদী ও সামুদ্রিক মাছের দাম আকাশচুম্বী। সহজলভ্য তেলাপিয়া, পাংগাস ও অন্যান্য মাছের শরীর নাইট্রোফোরন, ক্রোমিয়াম ও আর্সেনিকে ঠাসা কারণ এই মাছগুলো ক্ষতিকর মাত্রার আর্সেনিকযুক্ত সেচের পানিতে চাষ করা হয় এবং চাষে টেনারির বর্জ্য দিয়ে প্রস্তুত ফিড ব্যবহার করা হয়।যার পুরু শরীর জুড়ে বিষ, যে বিষ আগুনে নষ্ট হবার আগেই আমাদের সুস্বাদু খাবার রেডি হয়ে যায়।

আবার, কোরবানির পশুর চামড়ার পশম পুড়তে ব্যবহৃত হয় ক্রোমিয়াম ও নাইট্রোফোরনযুক্ত ক্যামিক্যাল। চামড়া প্রসেজের পর উপজাত হিসেবে প্রাপ্ত হাজার-হাজার টন বর্জ্য পোল্ট্রি ও মাছের ফিড বানাতে ব্যবহার করা হয়।
কার্বোহাইড্রেটের পরেই শরীরের জন্য বেশি দরকার আমিষ। সাধারণ মানুষ কোথা থেকে পাবে নির্মল আমিষ? যার বেশীর ভাগই আসে মাছ,মাংস ও ডিম  থেকে। এসব খাবার বর্জন কতটা টেকসই সমাধান হতেপারে আমাদের জন্য?কেবল বোবা কান্নায় বুকটা ভার হয়ে থাকে।
এদেশের ঘরে ঘরে এখন ক্যান্সার ও কিডনি রোগী। হঠাৎ করেই মারা যাচ্ছে অল্পবয়সী তরুণ-তরুণী।জানিনা,রোগীর কাতারে আমি আপনি আছি কিনা।তাই খাবারে সচেতন হন অন্যকেও সচেতন করুণ।
কেউ কি বলতে পারেন, বিশ্বে আমাদের দেশের মতো আর কোথায় এমন ধরনের নৈরাজ্য হয়?
আচ্ছা! আমরা কবে মানুষ হব?
 
Share:

ADD CODE

Hello

No comments:

Post a Comment

add code

জেনে নিন আমাদের সমাজের ২৪৪ টি কুসংস্কার ।

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে ...

Categories

Add Code