তখন সময় দুপুর ১১ টা ৪৪ মিনিট। রাজশাহী থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা গঞ্জেরাজ ( ঢাকা মেট্টো-গ-১৪-০১৭৭) নামের একটি বাস কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ে এসে থামে। ঠিক সে সময় থেমে থাকা বাসের সামনে দিয়ে এক বছরের শিশু কন্যা আকিফা কে কোলে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন মা রিনা বেগম। হঠাৎ কোন হর্ণ ছাড়াই উম্মাদ চালক বাসটি চালিয়ে এসে মা রিনা বেগম কে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মায়ের কোল থেকে রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে গুরুত্বর আহত হয় শিশু আকিফা। এরই মধ্যে বাসটি দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত মা মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে স্থানন্তর করা হয়েছে। আহত শিশু আকিফা কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকার সবজি ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদের মেয়ে।
ঘটনাটি স্থানীয় এক সোনার দোকানের সিসি টিভি ফুটেজে ধরা পড়লে তা নিমিসেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে ফুঁসে উঠেছে সচেতন মহল। এরই প্রেক্ষিতে ঘাতক ড্রাইভারের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও ক্ষতিপুরনের দাবিতে অাগামীকাল(বুধবার) ১১টায় চৌড়হাস মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।
ঘটনাটি স্থানীয় এক সোনার দোকানের সিসি টিভি ফুটেজে ধরা পড়লে তা নিমিসেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে ফুঁসে উঠেছে সচেতন মহল। এরই প্রেক্ষিতে ঘাতক ড্রাইভারের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও ক্ষতিপুরনের দাবিতে অাগামীকাল(বুধবার) ১১টায় চৌড়হাস মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।
শিশুটিকে উদ্ধারকারী শ্রমিক নেতা রাসেল জানান,বাসটি মা-মেয়েকে ধাক্কা দেয়ার সময় বাসের যাত্রীরাই চিৎকার দিয়ে উঠেন। এ সময় কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে সজোরে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত চলে যায় বাসটি । এ সময় অন্যান্যরা বাস টিকে ধাওয়া করেও আটকাতে ব্যর্থ হয়। তিনি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে জানান,শিশুটির বাবা অার্থিকভাবে সচ্ছল নয়। অামি শ্রমিক ইউনিয়ন করি তাই বলে অপরাধকে প্রশ্রয় দিবো না। অাপনারা শিশুটির বাবাকে সহায়তা করুন।
অাহত অাকিফার বাবা হারুন উর রশিদ মুঠোফোনে জানান,ভাই অামার মেয়ের জন্য দোয়া করেন। ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছি অাম্বুলেন্সযোগে। মেডিকেলে ভর্তি করবো। এখন রাস্তায় অাছি।
অাহত অাকিফার বাবা হারুন উর রশিদ মুঠোফোনে জানান,ভাই অামার মেয়ের জন্য দোয়া করেন। ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছি অাম্বুলেন্সযোগে। মেডিকেলে ভর্তি করবো। এখন রাস্তায় অাছি।
পরে খবর আসে মেয়েটি মারা গেছে(ইন্নালিল্লাহি অইন্নাইলাহি রাজিউন)।
তবে এ ব্যাপারে ঘাতক বাসটির সুপারভাইজার মাষ্টারের ব্যবহুত নম্বরের যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
তবে এ ব্যাপারে ঘাতক বাসটির সুপারভাইজার মাষ্টারের ব্যবহুত নম্বরের যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
No comments:
Post a Comment