গতকাল এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগ দেশের মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। দেশের যেকোনো অর্জনে ছাত্রলীগের অবদান সবচেয়ে বেশী একথা বলেন তিনি।
গতকাল ৩১ আগস্ট, শুক্রবার গণভবনে ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত শোক দিবসে এ কথা বলেন দেশরত্ন।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, রাজনীতিবিদরা কোন কিছু পাওয়ার আশা করে না।তিনি বলেন কোন কিছু পাওয়ার আশা রাজনিতির উদ্দেশ্যকে নষ্ট করে।জনগনকে কি দিলাম , কতটুকু দিলাম এটাই রাজনীতিবিদদের মুল লক্ষ।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেসার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমার মা মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, তিনি রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ছিল। তিনার কোন অহংকার ছিলনা । তিনি রাষ্ট্রীয় ভবনে বাস করেননি। তিনি শান-শওকত চাননি।
আমার মা সব সময় দেশের উন্নতির লক্ষে আমার বাবাকে পরামর্শ দিতেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে আদর্শিক দল বলে আখ্যায়িত করে বলেন,ছাত্রলীগকে আদর্শিক দল হয়ে দেশের উন্নয়নের কাজ করতে হবে।
নীতির প্রশ্নে আপসহীন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইয়ুব খানের বিষয়ে স্কুলজীবনে আমাদের ২০ নম্বর ছিল। পরীক্ষায় আমি সেই ২০ নম্বর বাদ দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে এসেছি। ওই ২০ নম্বরের জন্য আমি ফেলও করতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার নীতিকে বিসর্জন দেইনি।
শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক সড়ক আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট ছোট ছাত্রদের ঘাড়ে পা রেখে অনেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিল, এদের অনেকে নাকি আবার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। কিন্তু দেশের স্বার্থে কোনো ছাড় নেই। আমার বাবা, আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি, নীতির প্রশ্নে আপস নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। সেই ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানারকম উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিল। ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে ভিন্নপথে চালনার চেষ্টা করেছিল। এগুলোর মাধ্যমে তারা ঘৃণ্য মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment