যা লিখবো, এর চেয়ে খাঁটি সত্য ইনশাআল্লাহ পাওয়া যাবে না। আমরা মাঝরাত পর্যন্ত নিজেরাই এই সমস্ত তথ্য জোগাড় করেছি। কোন ভাঁওতাবাজি নয়। গতকালকের ঘটনাপ্রবাহ ব্যাখা করার চেষ্টা করবো, তারপর সবাই নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিবেন। গুজব না ছড়াক, দাসত্ব নিপাত যাক।
তথ্যসূত্র - আন্দোলন পরিচালনাকারী কেউ/কয়েকজন যারা নিজের সামনে সবকিছু হতে দেখেছে ; আমি নিজে
* ছাত্রলীগ এর পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে যে সকালে তাদের পার্টি অফিসে হামলা করা হয়েছে (হায়, এমন দেশে বাস করি, জামাত-বিএনপি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় অফিসেও আজ হামলা চালায়। কত ভয়ংকর )
দুপুর পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি। ছাত্ররা নিয়ম মেনেই লাইসেন্স চেক করছিলো, সবকিছু আগের মতোই চলছিল।
তারপর ছাত্রলীগ হঠাত হামলা চালায় (পূর্ববর্তী ঘটনার রেশ টেনে ) এবং ছাত্ররা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। ছাত্রীদের বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে (স্যালুট)। ধাওয়া- পালটা ধাওয়া চলতে থাকে
ঠিক এইসময়েই ৩ জন ছাত্র হঠাত নিখোঁজ হয় (একজন ছিল রগচটা) ছাত্রদের পার্টি অফিস চেক করার অফার দেওয়া হয়েছিল। ছাত্ররা ভেবেছে হয়তো সেই তিনজন সেখানে গেছে।এভাবে চলতে চলতে একসময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সমঝোতার কথা আসে। তারপর ছাত্রদের সাথে তাদের কথা চলে।
ইতোমধ্যে সাইন্স ল্যাবের ছাত্রদের দলটি ঝিগাতলা পৌঁছায়। ফলে তারা শক্তিশালী হয়। পাশাপাশি একটা বাচ্চা এসে জানায় যে ৪ জন মেয়েকে রেপ করা হচ্ছে (দুইজনকে পরে কাপড় ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়, দুজন মেয়েকে তুলনামূলক ভালো অবস্থায় পাওয়া যায়। বর্ণনাকারীর ব্যবহৃত শব্দ ছিল " দুজনকে এনে নামিয়ে দেয়")
ফলে তাদের সন্ধানে ছাত্রছাত্রীরা পার্টি অফিসের দিকে অগ্রসর হতে থাকে(সহপাঠীদের পেতে)। এদের সংখ্যা দেখে এবার ছাত্রলীগ পুলিশকে সামনে পাঠিয়ে পিছে নিজেরা অবস্থান করে।
পুলিশ টিয়ার শেল মারে। ছাত্ররা পিছানোর সময় পিছ থেকে বিজিবিও টিয়ার শেল মেরে জায়গাটাকে ছাত্রদের পিটানোর খোঁয়াড় হিসেবে তৈরি করে
তারপর আর কী... মাইর চলে। মোটামুটি প্রায় সব অপ্রীতিকর ঘটনাই এই সময় ঘটে, ভেঙ্গে ফেলা, চোখ তুলে ফেলা
কিন্তু, কোন স্পটডেড ঘটেনি। গুজবটা উঠে সেই তিন ছাত্রকে নিয়ে। যারা অদ্যাবধি নিখোঁজ
এরপর আবার আলাপের প্রস্তাব আসে। এবার অভিনব পদ্ধতিতে। ৪ জন আইডিয়ালের ছাত্র এসে হাজির হয়। ফিটফাট আনকোরা নতুন ড্রেসে(ইভেন পরিচয় পত্র ছাড়াই) (!!!) তারা বলে যে তারা দেখে এসেছে পার্টি অফিসে কিছু নেই এবং তারা প্রেস কনফারেন্সও করে ফেলেছে
একটু পরেই রব্বানী ভাই যোগ দেন। কিন্তু এই দুইদলের কেউই ছাত্রদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়নি, যেমন, "গুলি কেন চলল, নিখোঁজ ছাত্ররা কোথায়, ছাত্রীদের উপর কেন নির্যাতন হয়েছে, ইত্যাদি ইত্যাদি "
রব্বানি ভাই চলে যাওয়ার পর পুলিশ এসে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাক আপ দেওয়ার কথা বলে ধানমন্ডি পার্টি অফিস পর্যন্ত নিয়ে যায়। কিন্তু আমাদের ভিতরে ঢুকতে না দিয়ে বসায় রাখে। ১০ মিনিটের মতো পরিকল্পনার পর আমাদের উপর লাঠিচার্জ শুরু হয়:) এবং সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। আর এক হয়ে উঠা হয়নি।
লাঠিচার্জের পরেই ছাত্রলীগ পুলিশী নিরাপত্তায় মিছিল বের করে। তাদের হাতের রড, লাঠি, এসব ছিলই।
১| স্পটডেড আমাদের জানানুযায়ী নেই। কিন্তু যাদের নিয়ে গুজব, সেই তিন জন এখনো নিখোঁজ এখন,
২| ৪ মেয়ে নিখোঁজ ও ৪ মেয়ের প্রাপ্তি সংবাদ রয়েছে। অর্থাৎ বেঁচে আছে
বাকীটাতে আমি যাচ্ছি না।
৩| সন্ধ্যা থেকে অ্যাম্বুলেন্স এ করে অভিভাবক পরিচয়ে ছাত্রদের ল্যাব এইড থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাত ১০ টায় ঝিগাতলায় ছাত্রভর্তি অ্যাম্বুলেন্স (চলন্ত) আমরা নিজে দেখি।
রাত ১২ টায় শুনছি ঝিগাতলার এক বাসার নীচতলার গ্যারেজে অনেক লাশ গোসল করানো হচ্ছে। ছবিও পাওয়া গেছে পলিথিন টাঙ্গিয়ে গোসল দেওয়ানোর
আগের দুটো ঘটনার সাথে পরের ঘটনার মিল দিতে আমার ইচ্ছা নেই, ইচ্ছা নেই, ইচ্ছা নেইইইই........
৪| হামলাকারীদের একটি বড় গ্রুপ হামলার পর সাইন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেটের মাঝের রাস্তায় জড়ো হয়। তাদের হাতে রড, লোহার চাটা, লাঠি ইত্যাদি ছিল। এদের মাঝেই কেউ/কারা বুয়েট ইইই'১৪ এর একজনকে মেরে হাসপাতালে পাঠায়।
৫| বিজিবির টিয়ার শেল ছোঁড়ার পর প্রায় ২-৩শ ছাত্রছাত্রী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এই সময়ে যে কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া, ধর্ষণ করা, হত্যা করা খুবই সহজ কাজ বাকীটা কল্পনা করতে চাচ্ছি না...
যেকোনো মেরুদণ্ডী সমাজে এমন ঘটে গেলে সবাই রাস্তায় নামে আসতো। কমপক্ষে নিজেদের স্থান থেকে সাহায্য করতো।
এরপরেও কি বাংলার সুশীল সমাজ এবং আপামর জনগণ চুপ থাকবেন?
অবশ্য থাকতেও পারেন। শত বছরের দাসত্ববৃতি অভ্যাস, একদিনে যাবে কেন
সব লেখা পড়ে কি বুঝলেন?
from
ইউসুফ শরীফ
তথ্যসূত্র - আন্দোলন পরিচালনাকারী কেউ/কয়েকজন যারা নিজের সামনে সবকিছু হতে দেখেছে ; আমি নিজে
* ছাত্রলীগ এর পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে যে সকালে তাদের পার্টি অফিসে হামলা করা হয়েছে (হায়, এমন দেশে বাস করি, জামাত-বিএনপি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় অফিসেও আজ হামলা চালায়। কত ভয়ংকর )
দুপুর পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি। ছাত্ররা নিয়ম মেনেই লাইসেন্স চেক করছিলো, সবকিছু আগের মতোই চলছিল।
তারপর ছাত্রলীগ হঠাত হামলা চালায় (পূর্ববর্তী ঘটনার রেশ টেনে ) এবং ছাত্ররা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। ছাত্রীদের বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে (স্যালুট)। ধাওয়া- পালটা ধাওয়া চলতে থাকে
ঠিক এইসময়েই ৩ জন ছাত্র হঠাত নিখোঁজ হয় (একজন ছিল রগচটা) ছাত্রদের পার্টি অফিস চেক করার অফার দেওয়া হয়েছিল। ছাত্ররা ভেবেছে হয়তো সেই তিনজন সেখানে গেছে।এভাবে চলতে চলতে একসময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সমঝোতার কথা আসে। তারপর ছাত্রদের সাথে তাদের কথা চলে।
শিক্ষার্থীদেরকে পুলিশর গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ। |
ফলে তাদের সন্ধানে ছাত্রছাত্রীরা পার্টি অফিসের দিকে অগ্রসর হতে থাকে(সহপাঠীদের পেতে)। এদের সংখ্যা দেখে এবার ছাত্রলীগ পুলিশকে সামনে পাঠিয়ে পিছে নিজেরা অবস্থান করে।
পুলিশ টিয়ার শেল মারে। ছাত্ররা পিছানোর সময় পিছ থেকে বিজিবিও টিয়ার শেল মেরে জায়গাটাকে ছাত্রদের পিটানোর খোঁয়াড় হিসেবে তৈরি করে
তারপর আর কী... মাইর চলে। মোটামুটি প্রায় সব অপ্রীতিকর ঘটনাই এই সময় ঘটে, ভেঙ্গে ফেলা, চোখ তুলে ফেলা
ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের নৃশংসতা। |
এরপর আবার আলাপের প্রস্তাব আসে। এবার অভিনব পদ্ধতিতে। ৪ জন আইডিয়ালের ছাত্র এসে হাজির হয়। ফিটফাট আনকোরা নতুন ড্রেসে(ইভেন পরিচয় পত্র ছাড়াই) (!!!) তারা বলে যে তারা দেখে এসেছে পার্টি অফিসে কিছু নেই এবং তারা প্রেস কনফারেন্সও করে ফেলেছে
একটু পরেই রব্বানী ভাই যোগ দেন। কিন্তু এই দুইদলের কেউই ছাত্রদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়নি, যেমন, "গুলি কেন চলল, নিখোঁজ ছাত্ররা কোথায়, ছাত্রীদের উপর কেন নির্যাতন হয়েছে, ইত্যাদি ইত্যাদি "
রব্বানি ভাই চলে যাওয়ার পর পুলিশ এসে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাক আপ দেওয়ার কথা বলে ধানমন্ডি পার্টি অফিস পর্যন্ত নিয়ে যায়। কিন্তু আমাদের ভিতরে ঢুকতে না দিয়ে বসায় রাখে। ১০ মিনিটের মতো পরিকল্পনার পর আমাদের উপর লাঠিচার্জ শুরু হয়:) এবং সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। আর এক হয়ে উঠা হয়নি।
লাঠিচার্জের পরেই ছাত্রলীগ পুলিশী নিরাপত্তায় মিছিল বের করে। তাদের হাতের রড, লাঠি, এসব ছিলই।
১| স্পটডেড আমাদের জানানুযায়ী নেই। কিন্তু যাদের নিয়ে গুজব, সেই তিন জন এখনো নিখোঁজ এখন,
শিক্ষার্থীদের ন্যায়ের দাবীতে সমর্থন জনগণের আন্দোলন শাহাবাগ চত্বরে সমাবেশ। |
বাকীটাতে আমি যাচ্ছি না।
৩| সন্ধ্যা থেকে অ্যাম্বুলেন্স এ করে অভিভাবক পরিচয়ে ছাত্রদের ল্যাব এইড থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাত ১০ টায় ঝিগাতলায় ছাত্রভর্তি অ্যাম্বুলেন্স (চলন্ত) আমরা নিজে দেখি।
রাত ১২ টায় শুনছি ঝিগাতলার এক বাসার নীচতলার গ্যারেজে অনেক লাশ গোসল করানো হচ্ছে। ছবিও পাওয়া গেছে পলিথিন টাঙ্গিয়ে গোসল দেওয়ানোর
আগের দুটো ঘটনার সাথে পরের ঘটনার মিল দিতে আমার ইচ্ছা নেই, ইচ্ছা নেই, ইচ্ছা নেইইইই........
৪| হামলাকারীদের একটি বড় গ্রুপ হামলার পর সাইন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেটের মাঝের রাস্তায় জড়ো হয়। তাদের হাতে রড, লোহার চাটা, লাঠি ইত্যাদি ছিল। এদের মাঝেই কেউ/কারা বুয়েট ইইই'১৪ এর একজনকে মেরে হাসপাতালে পাঠায়।
৫| বিজিবির টিয়ার শেল ছোঁড়ার পর প্রায় ২-৩শ ছাত্রছাত্রী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এই সময়ে যে কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া, ধর্ষণ করা, হত্যা করা খুবই সহজ কাজ বাকীটা কল্পনা করতে চাচ্ছি না...
যেকোনো মেরুদণ্ডী সমাজে এমন ঘটে গেলে সবাই রাস্তায় নামে আসতো। কমপক্ষে নিজেদের স্থান থেকে সাহায্য করতো।
এরপরেও কি বাংলার সুশীল সমাজ এবং আপামর জনগণ চুপ থাকবেন?
অবশ্য থাকতেও পারেন। শত বছরের দাসত্ববৃতি অভ্যাস, একদিনে যাবে কেন
সব লেখা পড়ে কি বুঝলেন?
from
ইউসুফ শরীফ
No comments:
Post a Comment