Date:

Showing posts with label bangladesh. Show all posts
Showing posts with label bangladesh. Show all posts

হামলায় ফখরুলরা জড়িত -ওবাইদুল কাদের।


ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার দল জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ওবায়দুল কাদের।সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও ছিলেন।
ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও লীগ সম্পাদক। 
রোববার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, আমীর খসরু মাহমুদের ফোনালাপে মির্জা ফখরুলের সমর্থন দেয়ায় বিএনপির ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গেছে। এর ফলে প্রমাণ হলো একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি জড়িত।
তিনি বলেন, বিএনপি ও তার দলের দোসররা শিক্ষার্থীদের এ অরাজনৈতিক আন্দোলনের ওপর ভর করে সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করছে।সত্যিই কি এসব ষড়যন্ত্র গুজব?পরিসংখ্যানে কিন্তু চলমান সরকারের পতন পরিলক্ষিত স্পষ্ট।  শনিবার ও রোববারের হামলায় প্রমাণিত যে মির্জা ফখরুল ও তার দল জড়িত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী দলীয় সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের সতর্ক ও সংযত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
Share:

জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের উপর আবার হামলা।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে ও গতকাল জিগাতলায় হামলায় প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ থেকে জিগাতলার উদ্দেশে যাওয়া কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাঁদানে গ্যাসও নিক্ষেপ করেছে। এ সময় একদল হেলমেটধারীও সশস্ত্র হামলায় অংশ নেয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী  ও তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। অন্তত ৩২ জন শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা একটার দিকে শাহবাগ থেকে জিগাতলার দিকে মিছিলটি যায়। ওই সময় আগে থেকে অবস্থান নেয়া পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। একইসঙ্গে শুরু হয় লাঠিচার্জ। কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ থেকে শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ এ সময় লেকের পানিতে ঝাপিয়ে পড়েন। তাদেরকে উপরে তুলে এনে পেটাতে দেখা গেছে। ধানমন্ডি থানাতেও বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
জিগাতলায় আহত শিক্ষার্থীর এক অংশ।

এছাড়া জিগাতলায় সীমান্ত স্কয়ারের দিকে পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে তারা আশপাশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে। অনেকে নির্মাণাধীন ভবনগুলোয় আশ্রয় নেয়। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এখন সীমান্ত স্কয়ারের দিকে অবস্থান করছে।
মিছিলের সুনির্দিষ্ট নেতা না থাকলেও বেশিরভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী। বুয়েট, জগন্নাথের শিক্ষার্থীরাও সেখানে ছিলেন।
মিছিলে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল করিম জানান, আমাদের সেখানে অবস্থানের কোনো পরিকল্পনা ছিল না।  জিগাতলা থেকেই মিছিল ঘুরিয়ে নেয়ার কথা ছিল। পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই অতর্কিত আক্রমণ করে শিক্ষার্থীদের ওপর।
শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বুয়েট শিক্ষার্থী জানান, ধানমন্ডি ৩ নং রোডের আশপাশে যেসব শিক্ষার্থী পুলিশের লাঠিচার্জ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছিল, তাদের ওপর লাঠি হাতে হামলা করতে দেখা যায় একদল হেলমেটধারীকে। তবে দুপুর তিনটে নাগাদ এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
হামলায় অন্তত তিন সাংবাদিক আহত হয়েছে। এর মধ্যে এপির ফটোসাংবাদিক এ এম আহাদের অবস্থা গুরুতর। শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই আশপাশের হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেলে কলেজে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকেরই মাথায় আঘাত গুরুতর।
এ বিষয়ে পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, শিক্ষার্থীরা ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। বেশ কয়েকবার অনুরোধ করলেও তারা শোনেনি। পুলিশ বাধ্য হয়েই একশনে গেছে। 

উৎসঃআরটিভি নিউজ
Share:

আন্দোলনে উত্তাল ছাত্র জনতা -দুষ্কৃতিকারীদের প্রতি নিন্দা।

সারা দেশের লাখো ছাত্রছাত্রী ও সর্বস্তরের জনতার একটাই শ্লোগান নিরাপদ সড়ক চাই।নিরাপদ সড়ক চেয়ে আন্দোলনরত স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর জিগাতলায় হামলা করে পুলিশ ও সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের  ক্যাডাররা  ।ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ন্যায্য দাবী করতে গিয়ে তাদেরকে গুলি ছোড়া হয়েছে ছাত্রীদেরকে ধর্ষণ করেছে।এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।তারা বিশাল একটি মিছিল নিয়ে ঝিগাতলায় অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশ টিয়ারশেল মেরে তাদের সেখান থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 
আন্দোলনরত উত্তাল ছাত্র জনতা শাহবাগ চত্তর।ছবিঃ ফেইজবুক
রোববার (০৫ আগস্ট ২০১৮) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। 
ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শাহবাগে যায় শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা (We Want Justice) ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর পদত্যাগ’(Shipping Minister resigns) চেয়ে স্লোগান দেয়।ধীরে ধীরে বেলা বেড়ে দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগে নিরাপদ সড়ক চেয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে অংশ নেয়। মুহূর্তেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা সহস্রাধিক হয়ে যায়। পরে তারা মিছিল সহকারে সাইন্সল্যাবে যান। এরপর সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে জিগাতলায় অবস্থান নেন।
ছাত্রছাত্রীরা ন্যায়ের পক্ষে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন এটা কি তাদের অপরাধ?তবুও তাদের উপর হামলা করা হাচ্ছে। কোমলমতি ছাত্রছাত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এর আয়োজন করা হয়। এসময় মিরপুরে এক হামলায় ব্যাংকিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের রুহিন মারাত্মক আহত হওয়ার বিচার দাবি করা হয়। মানববন্ধনে সংহতি জানান বিজনেস অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও।
আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা শাহবাগ চত্তর ঢাকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা জানাই। এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করছি।

এদিকে, তারা চলে যাওয়ার পরে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল এসে শাহবাগে অবস্থান নেয়।
অপরদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান করছেন।
বিদিবিএস 
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Share:

বাঁচতে হলে জানতে হবে এইচআইভি-এইডস কি?

বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ এক নাম এইচআইভি। এইচআইভি কোন রোগের নাম নয়।শরীরে এক সাথে অনেক গুলো রোগের সমষ্টি হয়ে বডিকে যখন রোগপ্রতিরধে অচল করে দেয় সেই ধাপকেই মূলত  এইচআইভি বলা হয়ে থাকে।এটা মূলত অবাধ যৌনমিলনের কারণে হয়ে থাকে।আবার যার শরীরে এই ভাইরাস আছে তার শরীর থেকে রক্ত নিলে ,  এই ভাইরাসে আক্রান্ত মায়ের শরীরের দুধ পান করলে।

এ যাবৎ কাল পর্যন্ত এর কোন প্রপার ওষুধ আবিষ্কার হয়নি।তবে সাম্প্রতি এ বিষয়ে গবেষণালব্ধ একদল গবেষক জানিয়েছেন,তাঁরা  এইচআইভি ভাইরাসের কার্যকর প্রতিষেধক তৈরির সম্ভাবনা দেখছেন।মানবদেহে এইচআইভি প্রতিরোধ তৈরি করা সম্ভব এমন একটি চিকিৎসাপদ্ধতি সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা।
সাম্প্রতি এমনি এক চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন রিপোর্ট করেছেন বিবিসি।যুক্তরাষ্ট্র, রুয়ান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডা আর থাইল্যান্ডের প্রায় ৪০০ অধিবাসীকে চার মাসে চারটি প্রতিষেধক দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষা চালানোর পর তাদের দেহে এইচআইভি প্রতিরোধকারী ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, এমন তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। এইচআইভি সদৃশ্য একটি ভাইরাসে আক্রান্ত কয়েকটি বানরও ওই চিকিৎসায় নিরাময় লাভ করেছে।
তবে এই চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করা যায় কিনা তা নির্ণয় করতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।সমস্ত পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ১৮ লাখ নতুন মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।
তবে এই গবেষণার শীর্ষ গবেষক ও হার্ভার্ড মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যান বারোখ বলেন, এ গবেষণার ফল সতর্কতার সঙ্গে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
তিনি আরো জানান, প্রতিষেধকের মাধ্যমে সবার দেহে এইচআইভি প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হলেও এই ভাইরাসের আক্রমণ ও সংক্রমণ রোধে এ প্রতিষেধক যথেষ্ট কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয় গবেষকরা। 
কিন্তু এইচআইভির চিকিৎসায় নানাবিধ অগ্রগতি হলেও এই ভাইরাসের নিশ্চিত প্রতিষেধক এখনও মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে।
‘প্রেপ’ বা ‘প্রি এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস’ নামের এই ওষুধ, যেটি এইচআইভি সংক্রমণ রোধে কার্যকর, নিয়মিত সেবন করতে হয়। আক্রান্ত হওয়ার আগে নিয়মিত এই ওষুধ গ্রহণ করলে এইচআইভি সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে না।সবচেয়ে বড় কথা হল আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।বাঁচতে হলে জানতে হবে এইছআইভি এইডস কি?
এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করার পর দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেহ নামের এই অদ্ভুত রাজ্যের রাজার মত বসবাস করে।দেহকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
তাই আমরা নিজে সচেতন হই অন্যকে সচেতন করি।

Share:

রাতে যে খাবারগুলো খেলে বিপদ।

আমরা বাংলালি খেতে ভালোবাসি।আর প্রিয় খাবার হলেতো কোন কথাই নাই , ইচ্ছে মতো খাই হোক সেটা সকাল, দুপুর কিংবা রাত।আমরা একেকজন একেক ধরণের খাবার খেতে পছন্দ করি।তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার অজান্তেই কোন এক খাবার নিরবে আপনাকে ভিতরে ভিতরে শেষ করে দিচ্ছে? কেউ কি কখনো ভেবে দেখেছেন, রাতে আমরা যা খাচ্ছি তা স্বাস্থ্যসম্মত কিনা? রাতে কারো ভাত, কারো দুধ না খেলে ঘুম আসে না। অনেকের আবার রাতে ঘুমের আগে দুধ খাওয়া চাই-ই-চাই।

অতিরিক্ত রাত জাগার কারণে অনেকেরই আবার রাতে ভাজাভুজি, চকোলেট কিংবা নানা ধরণের মুখরুচক খাবার খাওয়ার বদভ্যাস থাকে। এই সব বদভ্যাস থেকে ওজন যেমন বাড়ে তেমনই শারীরিক সমস্যাও বাড়তে থাকে।
এমনি ১০টি খাবার, যা রাতে খেলে আপনার জন্য বিপদ হতে পারে।
মিষ্টিঃ
খাবারের পর হালকা মিষ্টি খাওয়া সুন্নাত। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীরে শিথিলতা যেমন আসে, তেমনই ওজনও বাড়ে তরতর করে।
দুধঃ
রাতে শোয়ার আগে অনেকেই গরম দুধ খান।দুধের ২ থেকে ৪ শতাংশ শর্করা হল  ল্যাকটোজ । ল্যাকটোজ শরীরে সহজে হজম হয় না।পরে শরীর বিভিন্ন অসুবিধায় ভোগে।গ্যাসের সমস্যা থাকলে তো এক্ষুনি রাতে দুধ খাওয়া বন্ধ করুণ।
ভাতঃ
বাঙালির প্রধান খাবার ভাত।সারাদিন কাজ  সেরে ক্লান্ত শরীরে রাতে বাড়ি ফিরে জমিয়ে ভাত না খেলে অনেকেরই ঘুম আসে না। তবে পেশি সচল রাখতে রাতে ভাত না খাওয়াই ভাল।
পিজাঃ
রাতে আলস্য লাগলে পিজা অর্জার দেওয়া খুবই কমন ব্যাপার। জানেন কি খারাপ কার্বোহাইড্রেট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর পিজা আপনার হজমের গণ্ডগোল ঘটাতে বাধ্য।সো,এই খাবারটি থেকে দূরে থাকুন।
ফুডঃ
তেল, চর্বি ও কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার একে বারেই পরিহার করা উচিত।আর রাতে বেশি তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া কোন ভাবেই উচিৎ নয় আমরা সকলেই জানি। তাই এই খাবার গুলো থেকেও নিজেকে সংযত রাখুন।
আলু ভাজাঃ
রাতে ঘুম না এলেই মুচমুচে আলু ভাজা ওয়াও। পড়েই অনেকের জিভে জল আসছে। এর স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়াম শরীরের প্রচুর ক্ষতি করে।
ব্রকোলিঃ
আমরা সবাই জানি এই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে রাতের জন্য নয়। এর প্রচুর পরিমাণ ফাইবার হজম হতে সময় নেবে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।
অরেঞ্জ জুসঃ
অনেকেই রাতে ঘুমনোর তেষ্টা মেটাতে, আবার মিষ্টি স্বাদ পেতে গলায় ঢালেন অরেঞ্জ জুস। এর অ্যাসিডিক প্রকৃতি হজমের সমস্যা বাড়ায়।এর ফলে ও হতে পারে নানা সমস্যা। 
চকোলেটঃ
বিশেষ করে ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেন। যা স্নায়ুর উদ্দীপনা বাড়িয়ে তোলে। ঘুমের সময় প্রয়োজন ঠিক উল্টটা। আর সবচেয়ে বড় কথা হল বাংলাদেশী তৈরী চকলেট নানা রকমের ভেজাল দ্রব্য দিয়ে বানানো হয়।যা শরীরের জন্য মারাক্তক ক্ষতিকর।
আইস ক্রিমঃ
আমাদের দেশে আইসক্রিম সুগারের পরিবর্তে ঘনচিনি দিয়ে বানানো হয়।এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে মেটবলিজমে ব্যাঘাত ঘটায়। যা পরবর্তীতে ক্যান্সার সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
তাই, খাবার গ্রহণে সচেতন হন। সুস্থ থাকুন।

Share:

মগবাজারে বাসের ধাক্কায় মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু।

শক্রবার (৩ আগস্ট) জুমার নামাজের পর মগবাজারের ওয়ারলেস গেট সংলগ্ন সড়কে বাস চাপায় জীবন গেলো এক মোটরবাইকারের। নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম সাইফুল ইসলাম রানা (২৩)। তিনি পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার শেরেবাংলা বাজার গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে। থাকতেন খিলগাঁওয়ের গোড়ানের হাড়ভাঙা এলাকায়। 
মগবাজারে বাসের ধাক্কায় মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিবুল্লাহ  বলেন, এসপি গোল্ডেন লাইন নামে একটি পরিবহনের ওই বাস মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার দিয়ে নেমে মালিবাগের দিকে যাচ্ছিল। তখন সেটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেল আরোহী রানা ছিটকে পড়ে গুরুতর জখম হন।
এমন সময় স্থানীয় লোকজন কেবল জুমার নামাজ শেষ করেছিলেন। ঘটনাস্থলেই স্থানীয় চালককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। আর আহত রানাকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে নিকটস্থ সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু বেলা সোয়া ২টার দিকে চিকিৎসক রানাকে মৃত ঘোষণা করেন।একটার পর একটা খুন নামের এক্সিডেন্টের ঘটনা ঘটেই চলেছে।কবে থামবে চালকদের বেপরোয়া বাস ড্রাইভিং? কবেই বা থামবে এই অকাল মৃত্যু তা কারো জানা নেই ?  
এদিকে উপস্থিত জনগণ বাসটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়।পরে ,ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের ডিউটি অপারেটর জীবন মিয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে দু’টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে।
অগ্নিসংযুক্ত বাসটি।
খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ( ঢামেক) হাসপাতালে ছুটে এসেছেন দুর্ঘটনা কবলিত রানার স্বজনরা। তার খালা রোকসানা বেগম বলেন, রানা মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে চাকরিরত ছিলেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড় ছিলেন রানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪ঃ২১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৮ 
এজেডএস/এইচএ/
Share:

১১'শ বাস ও ট্রাক কিনছে বিআরটিসি -ওবাইদুল কাদের।

ভারত থেকে ১১শ' বাস ও ট্রাক কিনবে সরকার। আর এটি কেনা হবে ভারতীয় ঋণে। এর মধ্যে তিনশ ডাবল ডেকার বাস কেনা হচ্ছে ভারতীয় অশোক লেল্যান্ডের কাছ থেকে। একইসাথে ভারতের সাথে সড়ক যোগাযোগ উন্নত করতে আখাউড়া- আগরতলা এবং ময়নামতি থেকে সরাইল পর্যন্ত সড়ক চার লেন করা হবে ঋণের টাকায়।
বিজনেস রিপোর্ট অনুষ্ঠানে ওবাইদুল কাদের।
রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি ।শতাধিক রুটে সেবা দেয়ার জন্য সংস্থার বহলে বাসের সংখ্যা ১৪৩০ টি এর মধ্যে চলতি বছরে নতুন যুক্ত হয়েছে ২০ টি রুট। এতে কোন কোন রুট চলছে নাম মাত্র একটি বাস দিয়েই।এমন অবস্থা পরিবর্তনে ৬০০ নতুন বাস যুক্তের পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থাটি।এর মধ্যে ২০০ নন-এসি , ১০০ এসি আর  ৩০০ ডাবল ডেকার কেনা হবে। এর মধ্যে  ভারতীয় কোম্পানি অশোক লেল্যান্ডের কাছ থেকে কিছু ডাবল ডেকার কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাকি বাসও ভারত থেকে কেনার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহান ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের।  
বিজনেস রিপোর্ট অনুষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের বলেন, ভারত থেকে আসার কথা ৩০০ ডাবল ডেকার , ৫০০ ট্রাক , কিছু ছোট সার্ভে , তবে এই মহুরতে ফাইনাল হয়নি ১০০ এসি বাস ও ২০০ নন-এসি গাড়ি আছে সব মিলিয়ে ১১০০ এর মত। তিনি জানান এই মহুরতে ৩০০ ডাবল ডেকার অল রেডি পারচেস করা আছে। 
তিনি আরো বলেন, ভারতের দেয়া ২০০ ডলার ঋণে ৫ কোটি ৮৫ লাখ খরচ করা হবে বাস কেনায়।এর বাইরে ৫০০ পণ্য পরিবহণ সংযোগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিআরটিসি। একইসাথে ভারতের সাথে সড়ক যোগাযোগ উন্নত করতে আখাউড়া- আগরতলা এবং ময়নামতি থেকে সরাইল পর্যন্ত সড়ক দুটি চার লেন করা হবে । যা নিয়ে  বৈঠক হয়েছে ভারতীয় হাই-কমিশনার ও বাংলাদেশের সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের মধ্যে।
সচিবালয়ে ওবাইদুল কাদেরের সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার বৈঠক ।ছবি ঃ বাসস 
এতে আখাউরা থেকে আগরতলা পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার এবং ময়নামতি থেকে সরাইল পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার রাস্থা দুটি চার লেনে উন্নিত হবে বলে জানিয়েছেন।
-প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় ০২.০৮.২০১৮ তারিখের বিজনেস রিপোর্ট অনুষ্ঠানে।

Share:

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বোঝাতে ছাত্রলীগকে দায়িত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে টাকা দিয়ে পুষে কি লাভ।এতো বড় বড় দায়িত্ব দিয়ে মন্ত্রী পুষে কি লাভ। যারা ছোট ছোট বাচ্ছা ছেলে মেয়েদের বুঝতে পারে না।তাদেরকে বোঝাতে পারে না।এই কোমলমোতি মনের আকুতি সহজ অধিকারের দাবী বুঝার  সাধ্য যাদের নেই তাঁরা প্লিজ নিজ দায়িত্বে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে গদি ছেড়ে দিন।যাদেরকে মনে করেন পারবে তাদেরকে দিন।তবুও দেশের মানুষকে নিয়ে খেলবেন না।
নিরাপদ সড়ক ও দুই শিক্ষার্থীকে বাসচাপায় ‘হত্যার’ বিচারের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভরত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ‘বোঝাতে’ ছাত্রলীগকে দায়িত্ব দিয়েছেন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ছাত্রলীগের নব্যনির্বাচিত সভাপতিগণ প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা।  
আজ বেলা দুইটায় গণভবনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ দায়িত্ব দেন তাদেরকে। 

এসময় উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ২৯ জুলাই'য়ের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। কোমলমতি শিশুরা কয়েকদিন ধরে রাস্তায় অবস্থান করছে, তাদের মতো আমরাও ব্যথিত। যারা এটি ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ড্রাইভার ও হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা যায় এ জন্য তদন্ত চলছে। শাস্তি হবেই। কিন্তু যেসব কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, তারা যেন কারো প্ররোচণায় না পড়ে। তাদেরকে বোঝাতে হবে। এ দায়িত্ব ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বকে নিতে হবে।একেমন নেতৃত্ব আমাদের জানা নেই।তাহলে কি দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে তাদের গবেষণা এনালাইসিস প্রশাসনিক আইডিয়া বেশী?নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে?  
এসময় তিনি আরো বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ছাত্রলীগকে সরকারের উন্নয়ন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে নিদের্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন, এই নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে।ছাত্রলীগের দায়িত্ব সরকারের উন্নয়নগুলো জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছানো।তোমাদের কথা মানুষ শুনবে এবং বিশ্বাস করবে। 
একই সময়ে,গণভবনে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সদ্য বিদায়ী ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ছাত্রলীগের নব্যনির্বাচিত সভাপতি মো. রেজানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সঞ্চিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন। ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মো. ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. মেহেদি হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো. জোবায়ের হোসেন। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান
Share:

আমি পদত্যাগ করব না -শাজাহান খান।

নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন আমি পদত্যাগ করবো না। এটা বিএনপির দাবি। বিএনপির কথায় আমি পদত্যাগ করবো না। জনগণ আমার পদত্যাগ চায়নি, ছাত্ররাও আমার পদত্যাগ চায়নি।জনগণ শিক্ষার্থী সাধারণ মানুষ আপনি, তুমি সত্যিই কি চায়নি ? চাওনি? তবে জনগণ চাইলে আমি পদত্যাগ করবো। বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান একথা বলেন। এই প্রযুক্তির সাদা দেয়ালে আমার লিখা গুলো জনগণ ও ছাত্রছাত্রীর জন্য লিখলাম।সিদ্ধান্ত এখন আপনাদের হাতে।

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে পদত্যাগ করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বললে আমি পদত্যাগ করবো।
উল্লেখ্য, রবিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এ সময় তিনি হেসে হেসে এ বিষয়ে দায়ীদের শাস্তির কথা জানানোর পাশাপাশি এ দুর্ঘটনার সঙ্গে ভারতের মহারাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত হওয়ার তুলনা করেন। পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের নেতা হিসেবে নৌমন্ত্রীর প্রশ্রয়ে বাসের চালক ও হেলপাররা স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছে–এমন অভিযোগে শাজাহান খান হেসে হেসে বলেন, আজকের বিষয়ের সঙ্গে এটি রিলেটেড নয়। মহারাষ্ট্রে এক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত হলেও কোনও হৈ চৈ হয় না। অথচ বাংলাদেশে সামান্য কিছুতেই হই চই হয়।তার এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। এগঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ তার পদত্যাগ দাবী করেছে।এমনকি প্রধানমন্ত্রীও তাকে ব্যাঙ্গ করেছেন।
এদিকে এক বৈঠকে , নৌমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চায়ে প্রশ্ন করেন যে, গত ২৯ জুলাই রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনা হত্যা নাকি দুর্ঘটনা? এই প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা হত্যা, সেটা হত্যা। আর যেটা দুর্ঘটনা, সেটা দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Share:

আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের বাঁধা দিলে পুলিশকে ফুল দিয়ে ঠেকালো ছাত্রছাত্রীরা।


আন্দলনের পঞ্চম দিন।রাষ্ট্র পক্ষ থেকে আজ যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী  নুরুল ইসলাম নাহিদ।আজ স্কুল বন্ধ থাকলেও বন্ধ হয়নি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো বাংলার দামাল ছেলেদের আন্দোলন।তাদের দাবী একটাই তাঁরা নিরাপদ সড়ক চায়।সড়ক দুর্ঘটনার নামে উদ্মাদ হত্যার বিচার চায়।তাদের এমন দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করার অদম্য সাহস বাংলার প্রতিটি সচেতন মানুষকে শিখিয়েছে কিভাবে আন্দোলন করতে হয়।কিভাবে বিচার করতে হয়।কিভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয়।কিভাবে অধিকার আদায়ের দাবিতে রাস্তায় নামতে হয়। তাঁরা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিচ্ছে।
আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের বাঁধা দিলে পুলিশকে ফুল দিয়ে ঠেকাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা।
২ আগস্ট সকাল সায়েঞ্চ ল্যাবরেটরি এলাকা।ছাত্রছাত্রীরা সাইন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবস্থান নিলে পুলিশ এসে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে ছাত্ররা উত্তেজিত না হয়ে বা বাকবিতণ্ডায় না জড়িয়ে পুলিশকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানায়।এতে পুলিশ বাহিনী তাদের আর বাঁধা দেয়নি।তাঁরা হাসি মুখে তাদের ফুল হাতে নিয়ে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে থাকে আর  ছাত্রছাত্রীরা তাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যায়।


এছাড়াও ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে একই ভাবে ছাত্ররা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।যে কাজ পুলিশ প্রশাসন করতে সক্ষম হয়নি তা ছাত্রছাত্রীরা করে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, তাঁরা এদেশের আগামীর উজ্জ্বল নক্ষত্র।তাঁরা দুর্নীতিতে ছেয়ে থাকা এই দেশটাকে বদলে দিয়ে পারে।তাঁরা এখন আমাদের অবিভাবক আমাদের শিক্ষক।
Share:

ছাত্রছাত্রীরা আমাদের শিখিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলো।

এতো বড় মন্ত্রীসভা দিয়ে কী উপকার হচ্ছে? কাদেরকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে? কাদেরকে নিয়ে দেশ চালানো হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রীর চারপাশে এরা কারা? কাদের উপর আমাদের দেখভালের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে? যারা জনগণের ক্ষতি ছাড়া কিছুই করতে পারে না, যারা নিজ থেকে একটা ভাল সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, যারা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত তাদের কেন রাখা হয়েছে মন্ত্রীসভায়? কেন এদের পেছনে আমাদের ট্যাক্সের টাকা খরচ করা হচ্ছে? নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  সরকার তারা সবাই এক?
অসুস্থ মহিলাকে রাস্তা পার করে দিচ্ছে।ছবি কেইজবুক
মন্ত্রীসভায় মন্ত্রীর বদলে মানুষ সাদৃশ্য কিছু মানুষ আছে যাদের কাজ দিনমান অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকা। কোন মন্ত্রীর মন্ত্রণালয় নিয়ে দেশবাসী সন্তুষ্ট? কোন মন্ত্রণালয় কি সঠিকভাবে চলছে? কোন সরকারী খাত লাভজনক? বিদ্যুৎ বলুন সড়কপথ, রেলপথ, নদীপথ কিম্বা আকাশপথ?এসবের জবাব দেবে কে?কেন তারা চুপ? যোগাযোগের সব পথই তো চলে গেছে দুর্নীতির উচ্চশিখরে। মন্ত্রী, এম পি ও দলের নেতাদের বাচ্চারা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছে, তাই তারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে না, বিদেশের নামকরা স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে বিদ্যার্জন করছে।কারণ, মন্ত্রীমশাইদের কল্যাণে শিক্ষার মানতো ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। উনারা জেনেশুনে নিজদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্তানকে পড়ানোর রিস্ক নেন না। শিক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসা খাতে দুর্নীতির মহামারীতে আক্রান্ত। সরকারী বলেন বিরোধী বলেন সব দলের রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী ও এমপি ছোটেন বিদেশে চিকিৎসা নিতে, কারণ আপনারা জানেন দেশে চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবার বদলে রাজনীতিতে দক্ষ, তাদের হাতে চিকিৎসা করা আর চলন্ত গাড়ীর নীচে ঝাপ দেয়া একই।তাই তারা এদেশের শিক্ষা চিকিৎসা কোনটাই নেন না।কারণ,তারা জানে এদেশকে তারা ভালো রাখেনি।
ছাত্ররা রাস্তা পরিষ্কার করে দিচ্ছে।ছবি ফেইজবুক
আজকে আমরা ছাত্রছাত্রী , শিক্ষক সাধারণ মানুষ। আমরা আমজনতা গাড়ীর নীচে ঝাঁপ না দিলেও গাড়ী আমাদের গায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রতিদিন দু’চারজনকে সড়কে পিষে মারে, মরে আমাদেরই কারো ভাই, বোন বন্ধু কিন্তু তাদের কিছু হয় না। আপনাদের উপেক্ষা, উদাসীনতা, লোভে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই ঘরে বাইরে। অফিসে-স্কুলে। মসজিদ-মন্দিরে। ট্রেনে-বাসে-লঞ্চে-প্লেনে সাইকেলে-রিক্সায় এমনকি হেঁটেও আমরা নিরাপদ না। আপনারা বারবার নিরাপত্তার কথা বলেন। কোথায় নিরাপত্তা? কোথায় আইনের প্রয়োগ হচ্ছে দেখান। আপনাদের সব আইন গরীবের উপর, দুর্বলের উপর, দেশের মধ্যে দুই দেশ বানিয়ে ফেলেছেন, একদিকে গরীব, দুর্বল, খেটে খাওয়া মানুষ আর একদিকে আপনারা ক্ষমতাবান, মন্ত্রী-এমপি, দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক ও সম্পদশালী ব্যবসায়ীরা। এদের জন্য একধরনের সুযোগ সুবিধা, আমাদের জন্য কিছু নেই, কথায় কথায় নিপীড়ন করা ছাড়া।এমন স্বৈরাচারী শাসক , মন্ত্রী-এমপি দুর্নীতিবাজ লুটে-পুটে খাওয়ার ধান্দাবাজ মন্ত্রী পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।যা একমাত্র বাংলাদেশে এই কুৎসিত প্রাণীগুলোকে দেখা যায়। জনাব,আপনাকে দেখে খুব ভাল মনে হয় কিন্তু আপনার ভিতরটা যে এতো পচা বিশ্রী দুর্গন্ধ চড়াচ্ছে প্লিজ আপনার এই দুর্গন্ধ যুক্ত আত্মাটাকে পরিষ্কার করুণ।অ্যাট লিস্ট , উপরে একজন আছে তিনি সব দেখছেন বলে।
ন্যায়ের পক্ষে প্রতিবাদ মুখর শিক্ষার্থীর উপর পুলিশের নির্যাতন।ছবি ফেইজবুক
পাকিস্তানীদের থেকেও আপনারা খারাপ হয়ে গেছেন, ওরা পূর্ব পাকিস্তানের বাংলাভাষীদের অত্যাচার করত আর আপনারা নিজের দেশের জনগণ, যারা আপনাদের ভোট দেয়, যারা আপনাদের পাশে থেকেছে তাদের উপর অত্যাচার করেন। ১৯৫২ তে যেমন ছাত্র শিক্ষকের উপর গুলি চলেছিল আজ আপনারা নিজের শিশু কিশোর আন্দোলনের উপর দাঙ্গাপুলিশ নামিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে দিচ্ছেন। আপনারা নিষ্ঠুর অমানবিক বিবেকহীন মানুষ। আপনারা ইউনাইটেড নেশনের শিশু সনদে স্বাক্ষরকারী প্রথমদিকের দেশ ভাবতেও লজ্জা লাগে। আপনারা কথায় ও কাজে এক না।আচ্ছা , আপনাদের কি লজ্জা লাগে না ?
ছাত্রটি  শিখিয়ে দিলো  কিভাবে গাড়ি থামিয়ে গাড়ির লাইসেন্স দেখতে হয়।ছবি ফেইজবুক
এই দুধের শিশুরাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কি করে প্রতিবাদ করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যেখানে আন্দোলন থামালো পুলিশি দমন পীড়নের ভয়ে। সেখানে স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চারা কি করে আন্দোলন করতে হয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয় চোখে আঙুল দিয়ে শেখাচ্ছে আমাদের। আমি এই কদিনে অনেক শিখেছি।আপনি শিখেন না কেন?লজ্জা লাগে? আপনি তো মন্ত্রীর চেয়ারে বসে কিভাবে মন্ত্রিত্ব করতে হয় তা জানেননা।কিভাবে দেশের প্রশাসন চালাতে হয় সেটাও জানেন না।আপনার তো সিট ছেড়ে দিয়ে অন্ধকার ঘোরে বসে থাকা উচিৎ। আমরা তো ঘরের কোণে কেন্নোর জীবন কাটাচ্ছি। কোন প্রতিবাদে নেই, ভয়ে ভয়ে চলি।ভাবি, যদি আমার ক্ষতি করে। আর এই শিশুগুলি তারা নিজেদের বন্ধুদের প্রতি ঘটে যাওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদে, সড়ক পথে প্রতিদিন চলমান অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। দাঁড়িয়েছে বললে অন্যায় হবে, সত্যিটা হল আপনারা আজ আপনাদের মুখোমুখি এই শিশুগুলিকে দাড় করিয়েছেন।কতটা ব্যর্থ আপনারা একবার ভাবেন। আপনারা এক ঘেরাটোপে বসবাস করছেন, চারধারে থাকা মানুষগুলি যা বলে তাই করেন, তাই শোনেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রোগীর অ্যাম্বুলেন্স পার করে দিচ্ছে।ছবি ফেইজবুক 
দেখুন কিভাবে জনসেবা করতে হয়।
বঙ্গবন্ধুর শেখানোর “অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করবা” অমর বাণী বুকে নিয়ে তারা পথে নেমেছে। ওরা সূর্যশিশু।ওরা আগামীর কর্ণধার। ওরা যুগে যুগে ফিরে আসবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে নামবে পথে। আমরা ভিতু হলেও আমাদের শিশুরা কিন্তু ভিতু না। আমরা অন্যায় দেখে মুখ লুকালেও আমাদের শিশুরা বুক চিতিয়ে দাড়িয়ে প্রতিবাদ করছে। আপনাদের দেখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে কাজ করতে হয়।
সিস্টেমহীন একটা দেশে পরিণত হয়েছে আমাদের দেশ, আপনারা রাজনীতিবিদরা কেউ দেশের মানুষের কথা ভাবেন না। খালি ব্যবসা করেন, চৌদ্দপুরুষ বসে খাবারমত সম্পদ আপনার ৮০ ভাগ মন্ত্রী-এমপি, দলের নেতাকর্মীর। কি করে হয় বলেন?
কিভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয় দেখুন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার চারপাশে থাকা তোষামোদকারী ও সুবিধাবাদীরা আপনার সব পরিশ্রম ব্যর্থ করে আপনাকে শিশু-কিশোর ও তরুণ সমাজের সামনে দাঁড় করাচ্ছে। কেন দাঁড়ালো ওরা? আপনি কেন ভাবেন না ? 
সড়কপথে চলাচলকৃত ভারী যানবাহনের জন্য কি আইন করেছেন? কি কঠোর আইন প্রণয়ন করেছেন? ফিটনেসবিহীন গাড়ী চালালে কি শাস্তির ও কত জরিমানা ধার্য করেছেন? গাড়ী চাপা দিয়ে মানুষ মারলে কত কঠোর শাস্তির বিধান করেছেন? এ পর্যন্ত অনেক খ্যাত-অখ্যাত ব্যক্তি গাড়ী চাপায় ও ড্রাইভারের দোষে মারা গেছে। তার কি বিচার করেছেন কয়টা? ক্ষতি পূরণ করেছেন কয়জনের।
বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দুর্নীতিবাজদের এখনই বিদায় করেন। সবার আগে শিশুকিশোরদের দাবী অনুযায়ী নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের অপসারণ করুন। এদের টাকার খেলা বন্ধ করুন, আপনার ৮০ ভাগ মন্ত্রী এমপি টাকার খেলায় ব্যস্ত, ক্ষমতার খেলা ব্যস্ত।
আপনারা কথায় কথায় উন্নত বিশ্বের উদাহরণ দিয়ে থাকেন। বিদেশে বন্যা হয়, পথে মানুষ মারে, দুর্নীতি হয়, খুন হয়, রাহাজানি হয় কিন্তু উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্রনায়ক বা প্রশাসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির মত ভুল বা অন্যায়ের জন্য পদত্যাগের উদাহরণটা কেন প্রয়োগ করেন না। রাষ্ট্রপ্রধানরা গনপরিবহনে চলাচল করে সেটা শেখেন না। আপনারা নিজেদের স্বার্থ ও ক্ষমতা ছাড়া কিছুই বোঝেন না। এটাও বোঝেন না যে জনগণের জন্য ছোট খাট কিছু করলে তার প্রতিদানে জনগণের আন্তরিক ভালবাসাই পাবেন। ভোট দুর্নীতি করা লাগবে না।
জানি কিছুই হবে না তবু লিখে যাই, রাজপথে নামার সাহস নাই বলেই হয়তে কাগজের সাদা বুকে লিখে যাই কালো কালিতে, যদি কখনো ভুল করে হলেও আপনাদের চোখে পড়ে ।অন্যায়ের বিরুদ্ধে আর ন্যায়ের পক্ষে তাদের এই আন্দোলন যেন আপনাদের চোখে পড়ে।
Share:

শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করে রাস্তায় নামিয়েছে জামায়াত-শিবির -নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান ।

সারা দেশের ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ যখন ন্যায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় সুস্থ-নিরপেক্ষ আন্দোলন করে দেশের ন্যায় বিচারের নজির স্থাপন করছে ঠিক তখনি মানুষ যাদেরকে চায়না তাদের কথার ঠিক থাকে না ।এটা তারই বাস্তবতা।একজন মানুষের পদত্যাগ দাবী করেছে দেশের কর্ণধাররা তাদের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় থাকার হাজার বাহানা ভয়-ভীতি দেখিয়ে জনগণকে দমিয়ে রাখছে।শিখা যেমন অনির্বাণ চিরন্তন নয় ক্ষমতাও তেমন চিরন্তন নয় ।
সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জামায়াত ও শিবিরের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানদের চাকরি না দেওয়ার দাবি ওঠায় এখন আবার রাস্তায় নেমেছে কোটাবিরোধীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে রাস্তায় নামিয়েছে জামায়াত-শিবির।
রোববার সকালে সেগুনবাগিচার স্বাধীনতা হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।শাজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো কোটা বাতিলের কথা বলে দিয়েছেন। সাধারণ ছাত্ররাও তা মেনে নিয়েছে। তাহলে আবার ছাত্ররা রাস্তায় নামল কেন? ছাত্ররা রাস্তায় আন্দোলন করছে এতে নাকি জামায়াত-শিবিরের হাত রয়েছে বলে মন্ত্রী বলেন।তিনি আরো বলেন ছাত্রদের এমন উত্তেজিত করেছে জামায়াত-শিবির।
শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।এসময় শাজাহান খান বলেন , ২০০৪ সালে প্রথম কোটা সংস্কারের দাবি তুলেছিল জামায়াত-শিবির।মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্যই কোটা সংস্কারের আন্দোলন।
নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান আরো বলেন, শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নয়, রাজাকার-আলবদরসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন। আমরাও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের নির্মূল করতে সাম্প্রতিক বাস্তবতার ভিত্তিতে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছি। জামায়াত-শিবির ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা এবং তাদের সন্তান ও উত্তরসূরিদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ না দেয়ার দাবি জানানো হয়  ৬ দফায়।
নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার অবৈধভাবে চাকরি দিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অসংখ্য স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, জামায়াত-শিবির ও রাজাকারের সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।তারা এখন চক্রান্ত চালাচ্ছে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে, দেশের সব উন্নয়নের বিরুদ্ধে। তাই দেশের অব্যাহত উন্নয়ন এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার স্বার্থেই আমরা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করছি। এ দাবি আদায়ে প্রতিনিধি সভা, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ওসমান আলী, এ বি এম সুলতান আহমেদ, আলাউদ্দিন মিয়া, আসাদুজ্জামান দুর্জয়, আবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
Share:

তোমরা যে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছো,এই রাস্তা তৈরী করে দিয়েছে কে?-শেখ হাসিনা।

একজন প্রধান মন্ত্রী হয়ে কিভাবে এভাবে অপ্রীতিকর কথা বার্তা বলতে পারে এমন পরিস্থিতিতে তা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ না করলে জানতে পারতাম না।তাহলে সরকার কি তার নিজের টাকা খরচ করে দেশ উন্নয়নের কাজ করে? লীগ লীগ করে সরকার এতো মুখে ফেনা তুলতেছে কেন?উনি কি জানেননা সরকার কে দেশের জনগণ চালায়।যে নিজেই জনগণের টাকায় চলে সে এভাবে দেশের ভবিষ্যৎ ছাত্রছাত্রীদের কয়টা দাবী মানতে নারাজ কেন? 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ টাকায় বাসে চড়ার সুযোগ করে দিয়েছি, ছাত্রছাত্রীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যাবস্থা করে দিয়েছি। তারপরেও কিসের এত লাফালাফি? কিসের এত ভাংচুর? আরো কি চায় এদেশের ছাত্ররা? এইযে সাধারন ছাত্ররা এত সুন্দর রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে, এই রাস্তা কে তৈরি করে দিয়েছে? এই আওয়ামিলীগ সরকার দিয়েছে। 
চুন থেকে পান খসলেই অবরোধ,ভাংচুর, আগুন! তাহলে আমি বাস ভাড়া বাড়িয়ে ১০০ টাকা করে দেই? ছাত্রদের ভাড়া দ্বিগুন করে দেই?
তেলের দাম বাড়িয়ে দেই!? এই যে লাখ লাখ ব্যারেল তেলে ভর্তুকী দিচ্ছি এইটা কী কারো চোখে পরেনা? দেই তাহলে আমি ভর্তুকী বন্ধ করে!?
নাকী শাহজাহান কে বলে দিব বাস চলাচল বন্ধ করে দিতে ? বন্ধ করে দিলে পরে যেন আবার কেউ এসে আন্দোলন না শুরু করে বলে ,আমাদের বাস ফেরত চাই,আমাদের বাস ফেরত চাই।বাস চলাচল আপনাদের পছন্দ নয় তাই বাস চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছি। এর দায়ভার কিন্তু আমরা আর পরে নিতে পারবোনা বলে দিলাম, খুব সাফ কথা।
এই যে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরা যখন লাঠি হাতে নিয়ে একটার পর একটা বাস ভাংগা শুরু করলো তখন আমার টেনশনে চোখে ঘুম নেই। রাস্তায় যে কোন কিছু হয়ে যেতে পারে ছেলেদের। সারাদিন আমি জেগে থেকে খোঁজ খবর নিলাম। তারপর বাচ্চা ছেলাগুলোকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে,লাশ দুটোকে ওদের বাবা মায়ের কাছে পৌছে দিয়ে একটু হাফ ছেরে বাঁচলাম, চিন্তা মুক্ত হলাম । 
রাস্তায় চলাচল করলে দূর্ঘটনা থাকবেই, কেউ দূর্ঘটনার উর্দ্ধে নয়। যে দুই একটা বাচ্চা ছেলে মারা গেছে ওরা চাইলেই আরো সাবধানতা অবলম্বন করে ফুটপাত থেকে দূরে কোথাও দাড়াতে পারতো। তারপরেও আমি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি, তারা ব্যাপারটা দেখছে ।
এখন রিপোর্ট হাতে এলেই আমরা বুঝতে পারবো আসলেই বাসের কোন যান্ত্রীক ত্রুটি ছিল কিনা,নাকি চলন্ত বাসের ভিতরে কোন বিএনপি-জামাতের লোক ছিল যারা কিনা বাস হাইজ্যাক করে ছাত্রদের গায়ের উপুরে উঠিয়ে দিয়েছে।

Share:

শনির আখড়া দনিয়া কলেজের আবারও বাস চাপা।


১ আগস্ট বুধবার সকাল ৯.৩০ মিনিট শনির আখড়া দনিয়া কলেজের কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় অবরধ করে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন  করছিল।তারা লাইসেন্স বিহীন গাড়ী গুলোকে যেতে দিচ্ছিলনা। এসময় রাস্তা ফাঁকা পেয়ে উল্টোপথ দিয়ে একটি পিকআপ দ্রুত গতিতে চলে আসে।গারিটিকে আন্দোলনরত ছাত্ররা বাঁধা প্রদান করতে সামনে গেলে পিকআপ চালক গাড়ি না থামিয়ে গতি আরও দেয় এবং এক শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়ে চলে যায়। পুলিশের যাত্রাবাড়ী জোনের এসি ইফতেখায়রুল ইসলাম একথা জানিয়েছিলেন।
আরো একটি বাস চাপা।ছবি ।ফেইজবুক 
পুলিশ জানিয়েছে, যাত্রাবাড়ী শনির আখরায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে রাস্তা ফাঁকা পেয়ে উল্টোপথে একটি পিকআপ দ্রুত গতিতে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এসময় এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে পিকআপটি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কিন্তু কোন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এটা এখনও জানা যায়নি।
পুলিশের যাত্রাবাড়ী জোনের এসি ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, আমরা এরকম একটি ঘটনা শুনেছি। পিকআপের নম্বরটি সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
শনিরআখড়ার ডিউটি অফিসার নাজনীন আকতার বলেন, আমার ও এমন একটি ঘটনা শুনেছি। তবে ছেলেটিকে কোনও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তা জানা নেই।
আরো একটি বাস চাপা।ছবি ।ফেইজবুক 
পিকআপ চাপা দেওয়ার ঘটনার ভিডিওটি ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে।
Share:

'সজীব ওয়াজেদ ভু-উপগ্রহ কেন্দ্র' উদ্ভাবন করলেন প্রধানমন্ত্রী-শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন । তিনি বলেন, ‘এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা সমগ্র বিশ্ব সম্পর্কে জানতে পারছি এবং আমাদের সন্তানেরা মহাকাশবিজ্ঞান, পরমাণুপ্রযুক্তি, সমুদ্রবিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্র, সংস্কৃতি ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে, যা দেশের উন্নয়নের জন্য  প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।’
আজ মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা  বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে দুটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু–১ স্যাটেলাইটের সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে গাজীপুর ও বেতবুনিয়াতে দুটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের’ (স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন) উদ্বোধন করেছেন।

গ্রাউন্ড স্টেশন দুটির নামকরণ করা হয়েছে সজীব ওয়াজেদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র গাজীপুর এবং সজীব ওয়াজেদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র বেতবুনিয়া।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ১৪ জুন এই বেতবুনিয়াতে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছিলেন এবং সেখান থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু হয় এবং তারই  দেখানো পথ অনুসরণ করে আমরা এখন মহাকাশ জয় করেছি।’
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের বেতবুনিয়াতে এই উপগ্রহ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটি দিয়ে গেছেন। আর সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর পরামর্শ এবং উদ্যোগে আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছি। কাজেই সেই মুজিব থেকে সজীব—সেখানেই আমরা পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি।
গত ১২ মে ২০১৮ বাংলাদেশ সময় ভোর ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু–১ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট এবং পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে পরমাণু ক্লাবের ৩৪তম সদস্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ইতিমধ্যেই বঙ্গবন্ধু–১ স্যাটেলাইট তার কার্যক্রম শুরু করেছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর গাজীপুরের তেলীপাড়ার ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশন এবং রাঙামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ব্যাকআপ গ্রাউন্ড স্টেশন হিসেবে যুগপৎ ব্যবহৃত হবে।
আওয়ামীলীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের সেবায় কাজ করে। জনগণের সেবায় কাজ করে যাবে। জনগণের কল্যাণই আমাদের একমাত্র চিন্তা।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন দুটির নাম সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে নামকরণ করার প্রস্তাব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। পরে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের অন্যতম রূপকার বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রাউন্ড স্টেশন দুটির আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানেরা, সংসদ সদস্য, সরকারের পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটে থাকছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার সক্ষমতা। প্রতিটি ট্রান্সপন্ডার প্রায় ৩৬ মেগাহার্টজ বেতার তরঙ্গের সমপরিমাণ। অর্থাৎ ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থেকে পাওয়া যাবে প্রায় ১ হাজার ৪৪০ মেগাহার্টজ পরিমাণ বেতার তরঙ্গ।
এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনে ব্যবহার করবে। আর ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে ভাড়া দেওয়ার জন্য রাখা হবে।
৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২৬টি হচ্ছে কেউই ব্যান্ডের এবং ১৪টি সি ব্যান্ডের। গাজীপুর ও চট্টগ্রামের বেতবুনিয়ায় স্থাপিত দুটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে বঙ্গবন্ধু–১ স্যাটেলাইট।
উৎক্ষেপণের পর নির্দিষ্ট দূরত্বে দ্রাঘিমাংশে (প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে) স্যাটেলাইটটি অবস্থান করছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স-ইতালি থেকে স্যাটেলাইটটি সম্পূর্ণভাবে কন্ট্রোল করা হলেও বর্তমানে গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে ট্র্যাকিং এবং কন্ট্রোলিং করা হচ্ছে।
প্রকৌশলীরা এখান থেকে স্যাটেলাইটে সিগন্যাল পাঠিয়ে আবার তা রিসিভ করছে। প্রয়োজন হলে সিগন্যাল পাঠিয়ে স্যাটেলাইটটিকে (১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পজিশনে) নির্দিষ্ট অবস্থানে ধরে রাখার জন্য যা যা করা দরকার তা করছে। নিয়মিত ট্র্যাকিং ও কন্ট্রোলিং করা হচ্ছে।
Share:

ক্ষমা তো আমার চাওয়ার কথা না-নৌপরিবহণ মন্ত্রী সাজাহান খান


 
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি ।অযৌক্তিক কিছুই দাবি করে নাই - আমার , আপনার সবার জন্য উত্তম প্রস্তাব। নাকি আবার বিচার আর দাবি মানতে হলে ৩৩ জন লাশ লাগবে। ১. বেপোরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে। ২. নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ৩. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে। ৫. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। ৬. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে। ৭. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবে না। ৯. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না। দাবিগুলোর সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত, আর আপনি?
Share:

তিন সিটিতে ভোটের অনিয়ম।

সিলেটে চলছে জাল ভোটের মহড়া ।এ যেন ভোটাভোটি নয় ,যেন জোর যার মুলুক তার। 
সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রে গোলযোগের ঘটনা ঘটছে। নগরের ১৮নং ওয়ার্ডের ঝর্ণারপাড় এলাকার কাজী জালাল উদ্দিন বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনায় ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। একই সময়ে নগরের মদিনা মার্কেট এলাকায় শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আরো কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়ম, হামলা করে জাল ভোট বাক্সে ভরার অভিযোগ উঠেছে। বেলা ১১টার দিকে নগরের মদিনা মার্কেট এলাকার শাহজালাল জামিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন বুথে কয়েকজন যুবক ব্যালট পেপারে সিল মারছে। এক পর্যায়ে সরকার দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বাকবিতণ্ডা শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ এবং জামায়াত সমর্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৫ মিনিট ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। এ অবস্থায় কেন্দ্র অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়ে। জাল ভোট দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে কোন উত্তর দিতে চাননি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। এছাড়া সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ১৮ নং ওয়ার্ডের মডেল স্কুল কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এক যুবক। সমর্থকদের ধাওয়ায় সে ব্যালট নিয়ে যেতে পারেনি। এ কারণে ওই কেন্দ্রে আধঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। 
সিলেটে জাল ভোটের অভিযোগ 

একই ভাবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটে অনিয়ম সৃষ্টি করে আওয়ামী পন্থীরা ব্যালট পেপারে একজন একের অধিক সিল মারা সহ বিভিন্ন অনিয়ম সৃষ্টি করেন তারা।এসময় সাংবাদিকের হাতে ক্যামেরা বন্দি হয় বেশ কিছু লোকজন।এমন একজন হাতে নাতে ভোট দেয়ার সময় দেখা যায়।

সেখানে সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে সকাল ১১ টার মধ্যে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়।কারণ সেখানে আগে থেকেই নৌকা মার্কায় আগে থেকে সিল মারা সিলো।
বরিশালে হাতে নাতে জাল ভোটদানকারী ক্যামেরা বন্দী। 
অপর দিকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনেরও বিভিন্ন কেন্দে ভোট গ্রহণের অনিয়ম দেখা যায়।সারা দেশ যেন ক্ষমতাসিনদের হাতে বন্দী।তারা জেভাবে চাইবে সেভাবে চলবে এই দেশ।তাদের কার্যকলাপে এমনই ভাবমূর্তি প্রকাশ পাচ্ছে। রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ছুরিকাঘাতে এক ছাত্রলীগ নেতা আহত হন সর্বশেষ খবর।
রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে এক ছাত্রলীগ নেতা আহত। 

Share:

Hello

add code

জেনে নিন আমাদের সমাজের ২৪৪ টি কুসংস্কার ।

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে ...

Categories

Add Code