Date:

জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের উপর আবার হামলা।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে ও গতকাল জিগাতলায় হামলায় প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ থেকে জিগাতলার উদ্দেশে যাওয়া কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাঁদানে গ্যাসও নিক্ষেপ করেছে। এ সময় একদল হেলমেটধারীও সশস্ত্র হামলায় অংশ নেয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী  ও তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। অন্তত ৩২ জন শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা একটার দিকে শাহবাগ থেকে জিগাতলার দিকে মিছিলটি যায়। ওই সময় আগে থেকে অবস্থান নেয়া পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। একইসঙ্গে শুরু হয় লাঠিচার্জ। কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ থেকে শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ এ সময় লেকের পানিতে ঝাপিয়ে পড়েন। তাদেরকে উপরে তুলে এনে পেটাতে দেখা গেছে। ধানমন্ডি থানাতেও বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
জিগাতলায় আহত শিক্ষার্থীর এক অংশ।

এছাড়া জিগাতলায় সীমান্ত স্কয়ারের দিকে পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে তারা আশপাশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে। অনেকে নির্মাণাধীন ভবনগুলোয় আশ্রয় নেয়। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এখন সীমান্ত স্কয়ারের দিকে অবস্থান করছে।
মিছিলের সুনির্দিষ্ট নেতা না থাকলেও বেশিরভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী। বুয়েট, জগন্নাথের শিক্ষার্থীরাও সেখানে ছিলেন।
মিছিলে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল করিম জানান, আমাদের সেখানে অবস্থানের কোনো পরিকল্পনা ছিল না।  জিগাতলা থেকেই মিছিল ঘুরিয়ে নেয়ার কথা ছিল। পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই অতর্কিত আক্রমণ করে শিক্ষার্থীদের ওপর।
শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বুয়েট শিক্ষার্থী জানান, ধানমন্ডি ৩ নং রোডের আশপাশে যেসব শিক্ষার্থী পুলিশের লাঠিচার্জ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছিল, তাদের ওপর লাঠি হাতে হামলা করতে দেখা যায় একদল হেলমেটধারীকে। তবে দুপুর তিনটে নাগাদ এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
হামলায় অন্তত তিন সাংবাদিক আহত হয়েছে। এর মধ্যে এপির ফটোসাংবাদিক এ এম আহাদের অবস্থা গুরুতর। শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই আশপাশের হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেলে কলেজে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকেরই মাথায় আঘাত গুরুতর।
এ বিষয়ে পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, শিক্ষার্থীরা ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। বেশ কয়েকবার অনুরোধ করলেও তারা শোনেনি। পুলিশ বাধ্য হয়েই একশনে গেছে। 

উৎসঃআরটিভি নিউজ
Share:

আন্দোলনে উত্তাল ছাত্র জনতা -দুষ্কৃতিকারীদের প্রতি নিন্দা।

সারা দেশের লাখো ছাত্রছাত্রী ও সর্বস্তরের জনতার একটাই শ্লোগান নিরাপদ সড়ক চাই।নিরাপদ সড়ক চেয়ে আন্দোলনরত স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর জিগাতলায় হামলা করে পুলিশ ও সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের  ক্যাডাররা  ।ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ন্যায্য দাবী করতে গিয়ে তাদেরকে গুলি ছোড়া হয়েছে ছাত্রীদেরকে ধর্ষণ করেছে।এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।তারা বিশাল একটি মিছিল নিয়ে ঝিগাতলায় অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশ টিয়ারশেল মেরে তাদের সেখান থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 
আন্দোলনরত উত্তাল ছাত্র জনতা শাহবাগ চত্তর।ছবিঃ ফেইজবুক
রোববার (০৫ আগস্ট ২০১৮) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। 
ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শাহবাগে যায় শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা (We Want Justice) ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর পদত্যাগ’(Shipping Minister resigns) চেয়ে স্লোগান দেয়।ধীরে ধীরে বেলা বেড়ে দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগে নিরাপদ সড়ক চেয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে অংশ নেয়। মুহূর্তেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা সহস্রাধিক হয়ে যায়। পরে তারা মিছিল সহকারে সাইন্সল্যাবে যান। এরপর সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে জিগাতলায় অবস্থান নেন।
ছাত্রছাত্রীরা ন্যায়ের পক্ষে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন এটা কি তাদের অপরাধ?তবুও তাদের উপর হামলা করা হাচ্ছে। কোমলমতি ছাত্রছাত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এর আয়োজন করা হয়। এসময় মিরপুরে এক হামলায় ব্যাংকিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের রুহিন মারাত্মক আহত হওয়ার বিচার দাবি করা হয়। মানববন্ধনে সংহতি জানান বিজনেস অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও।
আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা শাহবাগ চত্তর ঢাকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা জানাই। এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করছি।

এদিকে, তারা চলে যাওয়ার পরে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল এসে শাহবাগে অবস্থান নেয়।
অপরদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান করছেন।
বিদিবিএস 
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Share:

বাঁচতে হলে জানতে হবে এইচআইভি-এইডস কি?

বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ এক নাম এইচআইভি। এইচআইভি কোন রোগের নাম নয়।শরীরে এক সাথে অনেক গুলো রোগের সমষ্টি হয়ে বডিকে যখন রোগপ্রতিরধে অচল করে দেয় সেই ধাপকেই মূলত  এইচআইভি বলা হয়ে থাকে।এটা মূলত অবাধ যৌনমিলনের কারণে হয়ে থাকে।আবার যার শরীরে এই ভাইরাস আছে তার শরীর থেকে রক্ত নিলে ,  এই ভাইরাসে আক্রান্ত মায়ের শরীরের দুধ পান করলে।

এ যাবৎ কাল পর্যন্ত এর কোন প্রপার ওষুধ আবিষ্কার হয়নি।তবে সাম্প্রতি এ বিষয়ে গবেষণালব্ধ একদল গবেষক জানিয়েছেন,তাঁরা  এইচআইভি ভাইরাসের কার্যকর প্রতিষেধক তৈরির সম্ভাবনা দেখছেন।মানবদেহে এইচআইভি প্রতিরোধ তৈরি করা সম্ভব এমন একটি চিকিৎসাপদ্ধতি সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা।
সাম্প্রতি এমনি এক চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন রিপোর্ট করেছেন বিবিসি।যুক্তরাষ্ট্র, রুয়ান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডা আর থাইল্যান্ডের প্রায় ৪০০ অধিবাসীকে চার মাসে চারটি প্রতিষেধক দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষা চালানোর পর তাদের দেহে এইচআইভি প্রতিরোধকারী ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, এমন তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। এইচআইভি সদৃশ্য একটি ভাইরাসে আক্রান্ত কয়েকটি বানরও ওই চিকিৎসায় নিরাময় লাভ করেছে।
তবে এই চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করা যায় কিনা তা নির্ণয় করতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।সমস্ত পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ১৮ লাখ নতুন মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।
তবে এই গবেষণার শীর্ষ গবেষক ও হার্ভার্ড মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যান বারোখ বলেন, এ গবেষণার ফল সতর্কতার সঙ্গে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
তিনি আরো জানান, প্রতিষেধকের মাধ্যমে সবার দেহে এইচআইভি প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হলেও এই ভাইরাসের আক্রমণ ও সংক্রমণ রোধে এ প্রতিষেধক যথেষ্ট কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয় গবেষকরা। 
কিন্তু এইচআইভির চিকিৎসায় নানাবিধ অগ্রগতি হলেও এই ভাইরাসের নিশ্চিত প্রতিষেধক এখনও মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে।
‘প্রেপ’ বা ‘প্রি এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস’ নামের এই ওষুধ, যেটি এইচআইভি সংক্রমণ রোধে কার্যকর, নিয়মিত সেবন করতে হয়। আক্রান্ত হওয়ার আগে নিয়মিত এই ওষুধ গ্রহণ করলে এইচআইভি সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে না।সবচেয়ে বড় কথা হল আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।বাঁচতে হলে জানতে হবে এইছআইভি এইডস কি?
এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করার পর দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেহ নামের এই অদ্ভুত রাজ্যের রাজার মত বসবাস করে।দেহকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
তাই আমরা নিজে সচেতন হই অন্যকে সচেতন করি।

Share:

রাতে যে খাবারগুলো খেলে বিপদ।

আমরা বাংলালি খেতে ভালোবাসি।আর প্রিয় খাবার হলেতো কোন কথাই নাই , ইচ্ছে মতো খাই হোক সেটা সকাল, দুপুর কিংবা রাত।আমরা একেকজন একেক ধরণের খাবার খেতে পছন্দ করি।তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার অজান্তেই কোন এক খাবার নিরবে আপনাকে ভিতরে ভিতরে শেষ করে দিচ্ছে? কেউ কি কখনো ভেবে দেখেছেন, রাতে আমরা যা খাচ্ছি তা স্বাস্থ্যসম্মত কিনা? রাতে কারো ভাত, কারো দুধ না খেলে ঘুম আসে না। অনেকের আবার রাতে ঘুমের আগে দুধ খাওয়া চাই-ই-চাই।

অতিরিক্ত রাত জাগার কারণে অনেকেরই আবার রাতে ভাজাভুজি, চকোলেট কিংবা নানা ধরণের মুখরুচক খাবার খাওয়ার বদভ্যাস থাকে। এই সব বদভ্যাস থেকে ওজন যেমন বাড়ে তেমনই শারীরিক সমস্যাও বাড়তে থাকে।
এমনি ১০টি খাবার, যা রাতে খেলে আপনার জন্য বিপদ হতে পারে।
মিষ্টিঃ
খাবারের পর হালকা মিষ্টি খাওয়া সুন্নাত। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীরে শিথিলতা যেমন আসে, তেমনই ওজনও বাড়ে তরতর করে।
দুধঃ
রাতে শোয়ার আগে অনেকেই গরম দুধ খান।দুধের ২ থেকে ৪ শতাংশ শর্করা হল  ল্যাকটোজ । ল্যাকটোজ শরীরে সহজে হজম হয় না।পরে শরীর বিভিন্ন অসুবিধায় ভোগে।গ্যাসের সমস্যা থাকলে তো এক্ষুনি রাতে দুধ খাওয়া বন্ধ করুণ।
ভাতঃ
বাঙালির প্রধান খাবার ভাত।সারাদিন কাজ  সেরে ক্লান্ত শরীরে রাতে বাড়ি ফিরে জমিয়ে ভাত না খেলে অনেকেরই ঘুম আসে না। তবে পেশি সচল রাখতে রাতে ভাত না খাওয়াই ভাল।
পিজাঃ
রাতে আলস্য লাগলে পিজা অর্জার দেওয়া খুবই কমন ব্যাপার। জানেন কি খারাপ কার্বোহাইড্রেট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর পিজা আপনার হজমের গণ্ডগোল ঘটাতে বাধ্য।সো,এই খাবারটি থেকে দূরে থাকুন।
ফুডঃ
তেল, চর্বি ও কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার একে বারেই পরিহার করা উচিত।আর রাতে বেশি তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া কোন ভাবেই উচিৎ নয় আমরা সকলেই জানি। তাই এই খাবার গুলো থেকেও নিজেকে সংযত রাখুন।
আলু ভাজাঃ
রাতে ঘুম না এলেই মুচমুচে আলু ভাজা ওয়াও। পড়েই অনেকের জিভে জল আসছে। এর স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়াম শরীরের প্রচুর ক্ষতি করে।
ব্রকোলিঃ
আমরা সবাই জানি এই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে রাতের জন্য নয়। এর প্রচুর পরিমাণ ফাইবার হজম হতে সময় নেবে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।
অরেঞ্জ জুসঃ
অনেকেই রাতে ঘুমনোর তেষ্টা মেটাতে, আবার মিষ্টি স্বাদ পেতে গলায় ঢালেন অরেঞ্জ জুস। এর অ্যাসিডিক প্রকৃতি হজমের সমস্যা বাড়ায়।এর ফলে ও হতে পারে নানা সমস্যা। 
চকোলেটঃ
বিশেষ করে ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেন। যা স্নায়ুর উদ্দীপনা বাড়িয়ে তোলে। ঘুমের সময় প্রয়োজন ঠিক উল্টটা। আর সবচেয়ে বড় কথা হল বাংলাদেশী তৈরী চকলেট নানা রকমের ভেজাল দ্রব্য দিয়ে বানানো হয়।যা শরীরের জন্য মারাক্তক ক্ষতিকর।
আইস ক্রিমঃ
আমাদের দেশে আইসক্রিম সুগারের পরিবর্তে ঘনচিনি দিয়ে বানানো হয়।এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে মেটবলিজমে ব্যাঘাত ঘটায়। যা পরবর্তীতে ক্যান্সার সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
তাই, খাবার গ্রহণে সচেতন হন। সুস্থ থাকুন।

Share:

মগবাজারে বাসের ধাক্কায় মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু।

শক্রবার (৩ আগস্ট) জুমার নামাজের পর মগবাজারের ওয়ারলেস গেট সংলগ্ন সড়কে বাস চাপায় জীবন গেলো এক মোটরবাইকারের। নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম সাইফুল ইসলাম রানা (২৩)। তিনি পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার শেরেবাংলা বাজার গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে। থাকতেন খিলগাঁওয়ের গোড়ানের হাড়ভাঙা এলাকায়। 
মগবাজারে বাসের ধাক্কায় মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিবুল্লাহ  বলেন, এসপি গোল্ডেন লাইন নামে একটি পরিবহনের ওই বাস মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার দিয়ে নেমে মালিবাগের দিকে যাচ্ছিল। তখন সেটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেল আরোহী রানা ছিটকে পড়ে গুরুতর জখম হন।
এমন সময় স্থানীয় লোকজন কেবল জুমার নামাজ শেষ করেছিলেন। ঘটনাস্থলেই স্থানীয় চালককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। আর আহত রানাকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে নিকটস্থ সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু বেলা সোয়া ২টার দিকে চিকিৎসক রানাকে মৃত ঘোষণা করেন।একটার পর একটা খুন নামের এক্সিডেন্টের ঘটনা ঘটেই চলেছে।কবে থামবে চালকদের বেপরোয়া বাস ড্রাইভিং? কবেই বা থামবে এই অকাল মৃত্যু তা কারো জানা নেই ?  
এদিকে উপস্থিত জনগণ বাসটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়।পরে ,ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের ডিউটি অপারেটর জীবন মিয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে দু’টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে।
অগ্নিসংযুক্ত বাসটি।
খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ( ঢামেক) হাসপাতালে ছুটে এসেছেন দুর্ঘটনা কবলিত রানার স্বজনরা। তার খালা রোকসানা বেগম বলেন, রানা মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে চাকরিরত ছিলেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড় ছিলেন রানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪ঃ২১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৮ 
এজেডএস/এইচএ/
Share:

১১'শ বাস ও ট্রাক কিনছে বিআরটিসি -ওবাইদুল কাদের।

ভারত থেকে ১১শ' বাস ও ট্রাক কিনবে সরকার। আর এটি কেনা হবে ভারতীয় ঋণে। এর মধ্যে তিনশ ডাবল ডেকার বাস কেনা হচ্ছে ভারতীয় অশোক লেল্যান্ডের কাছ থেকে। একইসাথে ভারতের সাথে সড়ক যোগাযোগ উন্নত করতে আখাউড়া- আগরতলা এবং ময়নামতি থেকে সরাইল পর্যন্ত সড়ক চার লেন করা হবে ঋণের টাকায়।
বিজনেস রিপোর্ট অনুষ্ঠানে ওবাইদুল কাদের।
রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি ।শতাধিক রুটে সেবা দেয়ার জন্য সংস্থার বহলে বাসের সংখ্যা ১৪৩০ টি এর মধ্যে চলতি বছরে নতুন যুক্ত হয়েছে ২০ টি রুট। এতে কোন কোন রুট চলছে নাম মাত্র একটি বাস দিয়েই।এমন অবস্থা পরিবর্তনে ৬০০ নতুন বাস যুক্তের পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থাটি।এর মধ্যে ২০০ নন-এসি , ১০০ এসি আর  ৩০০ ডাবল ডেকার কেনা হবে। এর মধ্যে  ভারতীয় কোম্পানি অশোক লেল্যান্ডের কাছ থেকে কিছু ডাবল ডেকার কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাকি বাসও ভারত থেকে কেনার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহান ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের।  
বিজনেস রিপোর্ট অনুষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের বলেন, ভারত থেকে আসার কথা ৩০০ ডাবল ডেকার , ৫০০ ট্রাক , কিছু ছোট সার্ভে , তবে এই মহুরতে ফাইনাল হয়নি ১০০ এসি বাস ও ২০০ নন-এসি গাড়ি আছে সব মিলিয়ে ১১০০ এর মত। তিনি জানান এই মহুরতে ৩০০ ডাবল ডেকার অল রেডি পারচেস করা আছে। 
তিনি আরো বলেন, ভারতের দেয়া ২০০ ডলার ঋণে ৫ কোটি ৮৫ লাখ খরচ করা হবে বাস কেনায়।এর বাইরে ৫০০ পণ্য পরিবহণ সংযোগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিআরটিসি। একইসাথে ভারতের সাথে সড়ক যোগাযোগ উন্নত করতে আখাউড়া- আগরতলা এবং ময়নামতি থেকে সরাইল পর্যন্ত সড়ক দুটি চার লেন করা হবে । যা নিয়ে  বৈঠক হয়েছে ভারতীয় হাই-কমিশনার ও বাংলাদেশের সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের মধ্যে।
সচিবালয়ে ওবাইদুল কাদেরের সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার বৈঠক ।ছবি ঃ বাসস 
এতে আখাউরা থেকে আগরতলা পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার এবং ময়নামতি থেকে সরাইল পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার রাস্থা দুটি চার লেনে উন্নিত হবে বলে জানিয়েছেন।
-প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় ০২.০৮.২০১৮ তারিখের বিজনেস রিপোর্ট অনুষ্ঠানে।

Share:

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বোঝাতে ছাত্রলীগকে দায়িত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে টাকা দিয়ে পুষে কি লাভ।এতো বড় বড় দায়িত্ব দিয়ে মন্ত্রী পুষে কি লাভ। যারা ছোট ছোট বাচ্ছা ছেলে মেয়েদের বুঝতে পারে না।তাদেরকে বোঝাতে পারে না।এই কোমলমোতি মনের আকুতি সহজ অধিকারের দাবী বুঝার  সাধ্য যাদের নেই তাঁরা প্লিজ নিজ দায়িত্বে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে গদি ছেড়ে দিন।যাদেরকে মনে করেন পারবে তাদেরকে দিন।তবুও দেশের মানুষকে নিয়ে খেলবেন না।
নিরাপদ সড়ক ও দুই শিক্ষার্থীকে বাসচাপায় ‘হত্যার’ বিচারের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভরত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ‘বোঝাতে’ ছাত্রলীগকে দায়িত্ব দিয়েছেন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ছাত্রলীগের নব্যনির্বাচিত সভাপতিগণ প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা।  
আজ বেলা দুইটায় গণভবনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ দায়িত্ব দেন তাদেরকে। 

এসময় উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ২৯ জুলাই'য়ের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। কোমলমতি শিশুরা কয়েকদিন ধরে রাস্তায় অবস্থান করছে, তাদের মতো আমরাও ব্যথিত। যারা এটি ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ড্রাইভার ও হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা যায় এ জন্য তদন্ত চলছে। শাস্তি হবেই। কিন্তু যেসব কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, তারা যেন কারো প্ররোচণায় না পড়ে। তাদেরকে বোঝাতে হবে। এ দায়িত্ব ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বকে নিতে হবে।একেমন নেতৃত্ব আমাদের জানা নেই।তাহলে কি দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে তাদের গবেষণা এনালাইসিস প্রশাসনিক আইডিয়া বেশী?নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে?  
এসময় তিনি আরো বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ছাত্রলীগকে সরকারের উন্নয়ন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে নিদের্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন, এই নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে।ছাত্রলীগের দায়িত্ব সরকারের উন্নয়নগুলো জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছানো।তোমাদের কথা মানুষ শুনবে এবং বিশ্বাস করবে। 
একই সময়ে,গণভবনে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সদ্য বিদায়ী ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ছাত্রলীগের নব্যনির্বাচিত সভাপতি মো. রেজানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সঞ্চিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন। ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মো. ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. মেহেদি হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো. জোবায়ের হোসেন। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান
Share:

Hello

add code

জেনে নিন আমাদের সমাজের ২৪৪ টি কুসংস্কার ।

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে ...

Categories

Add Code