Date:

মেধ বা ভুঁড়ি কমিয়ে ফিটনেস হবার টিপস।

ওজন! অতিরিক্ত ওজন বা মেধ বিভিন্ন কারণে বাড়তে পারে। এর পিছনে আবহাওয়ারও প্রভাব হয়েছে।তবে মনে রাখতে হবে যে,কোন কিছুই মহান আল্লাহ্‌র ক্ষমতার  উপরে নয়।যায় হোক, নিজের একটু সতর্কতাও পারে নিজেকে ফিটনেস রাখতে। সামান্য অনিয়মেই ওজন বেড়ে যায়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ভুঁড়িও। পেটের বাড়তি চর্বি কিন্তু কেবল চেহারার আকর্ষণই কমায় না, ঘা নিজের আত্মবিশ্বাসও কমে দেয়।ডেকে আনে নানা অসুখ। জিমে গিয়ে ওয়ার্ক আউট কিন্তু ভুঁড়ির একমাত্র সমাধান নয়। তাহলে এর আসল সমাধান কি?হুম এর  ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক সমাধান আছে টা হলো-আমাদের খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি যদি রাখতে পারেন  তাহলেই জব্দ হবে ভুঁড়ি। দেখে নিন কী কী খাবার আপনাকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে।

শাক: বিভিন্ন শাক ও সবুজ পাতায় রয়েছে ভুঁড়িকে কবজা করার অব্যর্থ সব গুনাগুন। চিকিৎসকদের মতে, যেসব খাবারে পেটের চর্বি কমে, শাক-সবজি তাদের মধ্যে অন্যতম। ব্রেকফাস্ট বা দুপুরে খাবারের পাতে শাক রাখুন।কম ক্যালোরির এই খাবার অনেকের হজমের সমস্যা করে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিমাণ বুঝে শাক খান।মনে রাখুন বর্তমানে ফরমালিন যুক্ত প্রাণীজ আমিষের চেয়ে শাক-সাব্জির পুষ্টিগুণ আপনাকে শতগুণ ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
 
ব্রকোলি: এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, বিভিন্ন খনিজ লবণ ও ভিটামিন তো আছে।এছাড়াও এতে রয়েছে ফটোকেমিক্যাল।ফটোকেমিক্যাল চর্বি জমতে দেয় না শরীরে। তাই নিয়মিত ব্রকোলি খেয়ে কমিয়ে ফেলুন ভুঁড়ি।শীতকালের একটা অসাধারণ ফসল ফুলকপি।এই ফুলকপিতে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ।তাই মেধ বা ভুঁড়ি কমাতে চুটিয়ে খান ফুলকপি। 
 
মরিচ:মারিচ ছাড়া তরকারী হয়না ।আবার অনেকেই ঝাল খান না। কিন্তু ফ্যাট কমাতে হলে লঙ্কা খাবারের পাতে রোজই  খাওয়ার অভ্যাস করুণ । ডায়েটেশিয়ান বিমোচন সরকারের মতে, মরিচ ক্যালোরি পুড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শরীরে জমতে থাকা চর্বি অক্সিডাইজ করে। ফলে শরীরে চর্বি জমতে পারে না । মরিচে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকায় তা শরীরের ভিটামিন সি'এর অভাবও পুরন করে থাকে।
 
মাশরুম:বর্তমানে দেশ-বিদেশে আরেক জনপ্রিয় খাবারের নাম মাশরুম।সোজা বাংলায় ব্যাঙের ছাতা বলে আমরা অনেকেই জানি।এটি আঁশ জাতীয় খাবার যা ডায়াবেটিক রোগসহ মেধ কমাতে সাহায্য করে। মাশরুম রক্তে গ্লুকোজ বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া এটিতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি জমা রোধ করতে সাহায্য করে মাশরুম।
 
গাজর:বিভিন্ন সবজির মধ্যে গাজর অতি পরিচিত সবজি।এতে ক্যালোরির খুবই কম থাকে।এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকায় এটি শরীরের মেধ কমাতে সাহায্য করে।ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে চেহারাকে অনেক তাড়তাড়ি সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে পারে এই খাবার।তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গাজর রাখতে পারেন।এটি কাঁচা বা রান্না দুভাবেই খাওয়া যায়। 
 
কুমড়ো:কুমড়াতেও প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আর একেবারে কম  পরিমাণ ক্যালোরী আছে।মেধ ভুঁড়ি কমাতে রোজ ডায়েটে কুমড়ো রাখার উপদেশ দেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও কুমড়োর রয়েছে অন্যতম পুষ্টিগুণ বৈশিষ্ট্য, এটি ক্যানসার নামক মারাক্তক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।তাই খাদ্য তালিকায় কুমড়ার ভুমিকা অপরিসীম। 
শশা:মেধ ভুঁড়ি কমাতে বা ডায়েট কন্ট্রোল করতে শশা খুবই কার্যকরী।শশার পুরটাই ফাইবার আর জলে ভর্তি ।ডিটক্সিফিকেশনের বিশেষ গুণ রয়েছে শশায়।এছাড়া ফাইবারের আধিক্য ক্ষুধা কমায়। শরীরের ফ্যাট নিয়ন্ত্রণের মেনুতে রোজ শশা রাখুন।এটি কাঁচা বা তরকারী রান্না করেও খাওয়া যায়। সঙ্গে যদি টক দই রাখতে রাখেন তা হলে আরও ভাল।

বিভিন্ন ভেজাল খাবার পরিহার করুণ সুস্থ থাকুন।  

Share:

বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না।

দেশ বিদেশে ঘুরার কার না শখ।একটু সময় পেলে কিংবা অফিসে একটু ছুটি বা অবসরে সবাই ছুটে যেতে চায় প্রিয় স্থানে।কেউবা এসবের তোয়াক্কা না করেই ঘুরাঘুরিটাকে ঠিকি উপভোগ করেন।তেমনি ভ্রমন প্রিয় মানুষদের নিয়ে আজকের পর্বে দেশ-বিদেশ।বিশ্বের এমন অনেক দেশ আছে যেখানে আপনি ঘুরতে যেতে চাইলে ভিসার দরকার পড়বে না।ওই দেশগুলোর এয়ারপোর্টে নেমে আপনি আপনার কাংঙ্খিত ভিসাটি সঙ্গে সঙ্গেই হাতে পেয়ে যাবেন।আর এই ভিসার জন্য আগে থেকে আবেদন করতে হবে না। বর্তমানে পৃথিবীতে এমন অবাক করা ৫৭টি দেশ রয়েছে।

যেসব দেশে যেতে ভিসা লাগবে না :
ভুটান(Bhutan), ইকুয়েডর(Ecuador), এল সালভাদর(EL Salvador), ফিজি(Fiji), গ্রেনাডা()Grenada, হাইতি(Haiti), জামাইকা(Jamaica), মরিশাস(Mauritius), মাইক্রোনেশিয়া(Micronesia), নেপাল(Nepal), সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস(Saint Kitts and Nevis), সেন্ট ভিনসেন্ট এন্ড দ্য গ্রেনাদিনেস(Saint Vincent and the Grenadines), ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো(Trinidad and Tobago), ভ্যানুয়াতু(Vanuatu), হং কং(Hong Kong), দক্ষিণ কোরিয়া(South Korea), মেসিডোনিয়া(Macedonia), টার্কিস এন্ড কাইকোস আইল্যান্ড(Turks and Caicos Island), মন্টসেরাত(Montserrat), শালবর্ড(Chalkboard)।
যেসব দেশে ই-ভিসা লাগে :
জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, সাও তামি এন্ড প্রিনসিপি, রাওয়ান্ডা, মিয়ানমার, মলদোভা, কেনিয়া, জর্জিয়া, গ্যাবন, কটে দিলভোরি, বাহরাইন।
 
Zimbabwe, Zambia, Sao Tome and Principe, Rwanda, Myanmar, Moldova, Kenya, Georgia, Gabon, Kate Dilvori, Bahrain.


যে সব দেশে এয়ারপোর্ট থেকে ভিসা মিলে:
বলিভিয়া, কম্বোডিয়া, ক্যাপে ভারদে, কমোরস, জিবুটি, ডোমিনিয়া, ইথিওপিয়া, গিনি-বিসাউ, গুয়ানা, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডন, লাওস, মাদাগাসকার, মালডিভস, মরিতানিয়া, পালাউ, সেন্ট লুসিয়া, সেনেগাল, সেচেলিস, সোমালিয়া, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, টোগো, টিমোর লেসতে, তুভালু, উগান্ডা, অ্যান্টার্কটিকা

Guinea-Bissau, Guinea, Indonesia, Jordan, Laos, Madagascar, Maldives, Mauritania, Palau, Saint Lucia, Senegal, Seychelles, Somalia, Tanzania, Thailand, Togo, Bolivia, Cambodia, Cape Verde, Comoros, Djibouti, Timor Leste, Tuvalu, Uganda, Antarctica


পারমিট লাগে যে সব দেশের:


শ্রীলঙ্কা ও সামোয়া।Sri Lanka and Samoa


এখানের মধ্যে যে দেশটি আপনার পছন্দ সেখানে আপনার প্রিয় জন বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে উড়াল দিতে পারেন।ঘুরে আসতে পারেন আপনার পছন্দের দেশ থেকে। 
Share:

বাংলাদেশীদের গুলি করে মারার নির্দেশ দিলেন-বিজেপি নেতা রাজা সিং।

জাতীয় নাগরিক পঞ্জী ইস্যুতে যখন আসাম, সংসদ সহ-গোটা ভারত তোলপাড় তখন তাতে ঘৃতাহুতি দিলেন তেলঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক রাজা সিং।মঙ্গলবার তিনি রোহিঙ্গা এবং বেআইনিভাবে এদেশে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের গুলি করে মেরে ফেলার নির্দেশ দেন দেশটির সামরিক বাহিনীকে।দেশকে নিরাপদে রাখতে এটাই পথ বলে মন্তব্য করেণ তিনি। তাঁর এমন নির্দেশ সমালাচনার ঝড় বইছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ।
বাংলাদেশীদের গুলি করে মারার নির্দেশ দিলেন-বিজেপি নেতা রাজা সিং।

তিনি বলেন,যদি এই রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী বেআইনি অভিবাসিরা ভারত ছাড়তে না চায়, তাহলে তাদের গুলি করে শেষ করে দেওয়া উচিত। আর তাহলেই আমাদের দেশ নিরাপদ থাকবে।তিনি এমন মন্তব্যও করেন।তাঁর এমন মন্তব্যে বেড়েছে দলের অস্বস্তি। অন্যদিকে মানুষের প্রতি অমানবিক নির্দেশ দিয়ে তাদের অসম্মানও করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ দল এই পথকে সমর্থন করেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্নের শেষ নেই।এর আগেও তিনি বহু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি আলওয়ারে এক ‌যুবক'কে গরু পাচারকারী সন্দেহে বেধড়ক মারধর হয়।এই অবস্থায় আহত ওই ‌যুবক'কে হাসপাতালে নিয়ে ‌যেতে ৪ ঘণ্টা দেরি করে পুলিশ।ফলে তার মৃত্যু হয়। 
এনিয়ে বলতে গিয়ে রাজ সিং একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেন, ‌যতদিন না গোহত্যা বন্ধ হবে ততদিন গণধোলাই বন্ধ হবে না। সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার জন্য রাজা সিংয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ৬০টি মামলা হয়েছে। কিন্তু পুলিস এখনও তাঁর টিকি ছুঁতে পারেনি।
উল্লেখ্য,রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ও আসমে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে তোলপাড় চলছে সংসদে।ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের প্রতি সরকার মানবিক পদক্ষেপ নিবে বলে সংসদে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ সুগত বসু।তাঁর ‌যুক্তি,বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গাণ বাস্তুহারাদের ভারত মানবিক সাহা‌য্য পাঠাচ্ছে।খাবার,পোশাক সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র রয়েছে তার মধ্যে।কিন্তু ভারতে বসবাসকারী ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুহারাদের জন্য কেন্দ্র ব্যবস্থা নিবে বলে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ।
অপরদিকে, আসামে ৪০ হাজার মানুষ জাতীয় নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়ায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। এনিয়ে তৃণমূল তো একে বাঙালি খেদাও অভি‌যান বলেছে। নাম, পদবী ধরে ধরে তালিকা থেকে মানুষজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভি‌যোগ তৃণমূলের।
সূত্র- আজকাল, জি নিউজ ২৪ ঘন্টা
Share:

'সজীব ওয়াজেদ ভু-উপগ্রহ কেন্দ্র' উদ্ভাবন করলেন প্রধানমন্ত্রী-শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন । তিনি বলেন, ‘এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা সমগ্র বিশ্ব সম্পর্কে জানতে পারছি এবং আমাদের সন্তানেরা মহাকাশবিজ্ঞান, পরমাণুপ্রযুক্তি, সমুদ্রবিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্র, সংস্কৃতি ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে, যা দেশের উন্নয়নের জন্য  প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।’
আজ মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা  বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে দুটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু–১ স্যাটেলাইটের সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে গাজীপুর ও বেতবুনিয়াতে দুটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের’ (স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন) উদ্বোধন করেছেন।

গ্রাউন্ড স্টেশন দুটির নামকরণ করা হয়েছে সজীব ওয়াজেদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র গাজীপুর এবং সজীব ওয়াজেদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র বেতবুনিয়া।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ১৪ জুন এই বেতবুনিয়াতে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছিলেন এবং সেখান থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু হয় এবং তারই  দেখানো পথ অনুসরণ করে আমরা এখন মহাকাশ জয় করেছি।’
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের বেতবুনিয়াতে এই উপগ্রহ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটি দিয়ে গেছেন। আর সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর পরামর্শ এবং উদ্যোগে আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছি। কাজেই সেই মুজিব থেকে সজীব—সেখানেই আমরা পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি।
গত ১২ মে ২০১৮ বাংলাদেশ সময় ভোর ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু–১ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট এবং পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে পরমাণু ক্লাবের ৩৪তম সদস্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ইতিমধ্যেই বঙ্গবন্ধু–১ স্যাটেলাইট তার কার্যক্রম শুরু করেছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর গাজীপুরের তেলীপাড়ার ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশন এবং রাঙামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ব্যাকআপ গ্রাউন্ড স্টেশন হিসেবে যুগপৎ ব্যবহৃত হবে।
আওয়ামীলীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের সেবায় কাজ করে। জনগণের সেবায় কাজ করে যাবে। জনগণের কল্যাণই আমাদের একমাত্র চিন্তা।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন দুটির নাম সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে নামকরণ করার প্রস্তাব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। পরে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের অন্যতম রূপকার বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রাউন্ড স্টেশন দুটির আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানেরা, সংসদ সদস্য, সরকারের পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটে থাকছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার সক্ষমতা। প্রতিটি ট্রান্সপন্ডার প্রায় ৩৬ মেগাহার্টজ বেতার তরঙ্গের সমপরিমাণ। অর্থাৎ ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থেকে পাওয়া যাবে প্রায় ১ হাজার ৪৪০ মেগাহার্টজ পরিমাণ বেতার তরঙ্গ।
এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনে ব্যবহার করবে। আর ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে ভাড়া দেওয়ার জন্য রাখা হবে।
৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২৬টি হচ্ছে কেউই ব্যান্ডের এবং ১৪টি সি ব্যান্ডের। গাজীপুর ও চট্টগ্রামের বেতবুনিয়ায় স্থাপিত দুটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে বঙ্গবন্ধু–১ স্যাটেলাইট।
উৎক্ষেপণের পর নির্দিষ্ট দূরত্বে দ্রাঘিমাংশে (প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে) স্যাটেলাইটটি অবস্থান করছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স-ইতালি থেকে স্যাটেলাইটটি সম্পূর্ণভাবে কন্ট্রোল করা হলেও বর্তমানে গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে ট্র্যাকিং এবং কন্ট্রোলিং করা হচ্ছে।
প্রকৌশলীরা এখান থেকে স্যাটেলাইটে সিগন্যাল পাঠিয়ে আবার তা রিসিভ করছে। প্রয়োজন হলে সিগন্যাল পাঠিয়ে স্যাটেলাইটটিকে (১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পজিশনে) নির্দিষ্ট অবস্থানে ধরে রাখার জন্য যা যা করা দরকার তা করছে। নিয়মিত ট্র্যাকিং ও কন্ট্রোলিং করা হচ্ছে।
Share:

কি খাচ্ছেন একবারও ভেবে দেখেছেন?

বর্তমান আতঙ্কের আরেক নাম ফরমালিন। কি খাচ্ছেন একবারও ভেবে দেখেছেন? এটা পুরাতন কোন কথা বা ঘটনা কোনটাই নয়।তবুও মানুষের মুখে মুখে কোথায় যাবো?কি খাবো ? অ্যাট লিস্ট  বাঁচার জন্য তো খেতে হবে । ফরমালিনের দেশ বিষের দেশ বাংলাদেশ।এসব যেন প্রতিবেলার খাবারের সঙ্গি।আর সেই সঙ্গি আমাদেরকে প্রতি মহুরতে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।বড় বড় প্রাণ নাশকারী অসুখ ক্যান্সার সৃষ্টি করে শরীরে। তাই আজ একটি কোথায় বলতে চাই নিজে সচেতন হন অন্যকে সচেতনতার কথা বলুন।ডকুমেন্টারিটা পড়ুন। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের  অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন । সম্প্রীতি তিনি মানুষের প্রাণীজ আমিষ জাতীয় খাবারের উপর এক গবেষণায় ল্যাব-টেস্ট মোতাবেক ব্রয়লার মুরগির মাংসে- ২০০০ মাক্রোগ্রাম, কলিজায়- ৬১২ মাইক্রোগ্রাম এবং মগজে- ৪০০০ মাইক্রোগ্রাম  ক্যান্সার সৃষ্টকারী বিষাক্ত  ক্রোমিয়াম পান।যা মানুষের শরীরে সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
বিষাক্ত খাবার পরিহার করুণ সুস্থ থাকুন। 

World Health Organization(WHO) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা - এর গাইড লাইন অনুসারে মানুষের শরীরে ক্রোমিয়ামের সহনশীল মাত্রা ২৬-৩৫ মাইক্রোগ্রাম।অথচ এই ফার্মের মুরগির ডিমেও আছে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ৬-৭ গুণ বেশি ক্রোমিয়াম। এর কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে মুরগী ও মাছের ফিড তৈরিতে ক্রোমিয়াম মিশ্রিত টেনারির বর্জ্য ব্যবহার হয়। যা পুরান ঢাকার টেনারিগুলো থেকে আসে।
যদিও হাইকোর্টের একটি নিষেধাজ্ঞা আছে এই ক্রোমিয়াম মেশানো নিয়ে।তবুও আইনের চোখকে আঙুল দেখিয়ে তাদের রমরমা কারবারি ঠিকি চালাচ্ছে।আর প্রতিনিয়ত ধুকে ধুকে জীবন যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।

আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী ,না আমরা ফরমালিন আর বিষে ভাতে বাঙ্গালী।কারণ, আপনি যে মাছ গুলো খাচ্ছেন ওগুলোতেও আছে উচ্চমাত্রার নাইট্রোফোরন ও আর্সেনিক।আর এই ক্রোমিয়াম, নাইট্রোফোরন ও আর্সেনিক প্রথম সারির ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিষাক্ত ক্যামিক্যাল।
আর্সেনিক দিয়ে তো ইঁদুর মারার বিষও বানানো হয়।তাহলে আমরা কি ইঁদুর মারা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করছি?

এখন বলুন, সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন যোগান দেবে কোন খাবারটি?

বিষাক্ত খাবার গ্রহনে নিজেকে বিরত রাখুন। 

বাজারে মলা-ঢেলা মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। নদী ও সামুদ্রিক মাছের দাম আকাশচুম্বী। সহজলভ্য তেলাপিয়া, পাংগাস ও অন্যান্য মাছের শরীর নাইট্রোফোরন, ক্রোমিয়াম ও আর্সেনিকে ঠাসা কারণ এই মাছগুলো ক্ষতিকর মাত্রার আর্সেনিকযুক্ত সেচের পানিতে চাষ করা হয় এবং চাষে টেনারির বর্জ্য দিয়ে প্রস্তুত ফিড ব্যবহার করা হয়।যার পুরু শরীর জুড়ে বিষ, যে বিষ আগুনে নষ্ট হবার আগেই আমাদের সুস্বাদু খাবার রেডি হয়ে যায়।

আবার, কোরবানির পশুর চামড়ার পশম পুড়তে ব্যবহৃত হয় ক্রোমিয়াম ও নাইট্রোফোরনযুক্ত ক্যামিক্যাল। চামড়া প্রসেজের পর উপজাত হিসেবে প্রাপ্ত হাজার-হাজার টন বর্জ্য পোল্ট্রি ও মাছের ফিড বানাতে ব্যবহার করা হয়।
কার্বোহাইড্রেটের পরেই শরীরের জন্য বেশি দরকার আমিষ। সাধারণ মানুষ কোথা থেকে পাবে নির্মল আমিষ? যার বেশীর ভাগই আসে মাছ,মাংস ও ডিম  থেকে। এসব খাবার বর্জন কতটা টেকসই সমাধান হতেপারে আমাদের জন্য?কেবল বোবা কান্নায় বুকটা ভার হয়ে থাকে।
এদেশের ঘরে ঘরে এখন ক্যান্সার ও কিডনি রোগী। হঠাৎ করেই মারা যাচ্ছে অল্পবয়সী তরুণ-তরুণী।জানিনা,রোগীর কাতারে আমি আপনি আছি কিনা।তাই খাবারে সচেতন হন অন্যকেও সচেতন করুণ।
কেউ কি বলতে পারেন, বিশ্বে আমাদের দেশের মতো আর কোথায় এমন ধরনের নৈরাজ্য হয়?
আচ্ছা! আমরা কবে মানুষ হব?
 
Share:

হিজাবের আটটি শর্ত ।

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
ইসলাম  এক পবিত্র ধর্মের নাম।ইসলাম ধর্মে মানব রচিত কোন আইন বা বিধান নাই।যুগে যুগে প্রেরিত মহান আল্লাহ্‌র নবী ও রাসুল গণ মাটির মানুষ হলেও তারা কখনো নিজের কোন আইন বাস্তবায়ন করেননি।তারা যা কিছু করেছেন সবই মহান আল্লাহ্‌র ইচ্ছায়।তেমনি মেয়েদের ব্যাপারেও রয়েছে বিধান। যেখানেই কোনো বেগানা পুরুষ থাকবে সেখানে শরয়ী হিজাবের ব্যাপারে ইসলামের বিধান রয়েছে।একজন মুসলিমা মেয়ের জন্য নিম্নের আটটি শর্তের যেকোনো একটি  লঙ্ঘন করা হারাম। কেননা অনেক মহিলা ঘরের বাইরে হিজাব পরেন ঠিকই কিন্তু তারা নিজেদের নিকটাত্মীয় গাইরে মাহরামের সামনে কোনো কোনো শর্ত লঙ্ঘন করেন। যেমন চাচাতো বা মামাতো ভাইদের সামনে মাথা ঢাকেন ঠিক কিন্তু তাদের সামনে অন্যদের মতো পুরোপুরি পর্দা করেন না। এতে করে তারা সুস্পষ্ট গুনাহ ও হারামে লিপ্ত হন।
একজন মুসলিমা মেয়ের পূর্ণ পর্দার শর্তগুলো নিম্নরূপ :
প্রথম শর্ত : অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মতে পুরো শরীর ঢাকা। ফিতনার আশংকা থাকলে সর্বসম্মতিক্রমে মুখ ও হাতের তালুদ্বয় ঢাকাও পর্দার অন্তর্ভুক্ত।তবে এক্ষেত্রে মুখ ও হাতের তালুদয় খোলা রাখতে পারে।

 
দ্বিতীয় শর্ত : হিজাবে নিজেকে সৌন্দর্যবর্ধক না করা। যেমন, আকর্ষণীয় রঙের হওয়া যা সবার দৃষ্টি কাড়ে এমন পোশাক পরা যাবেনা।

 
তৃতীয় শর্ত : মোটা ও পুরু হওয়া যাতে সৌন্দর্য দৃশ্যমান না হয় এমন পোশাক পরা। কেননা, হিজাবের উদ্দেশ্য নারীর মুগ্ধ করা সৌন্দর্য পরপুরুষের আড়াল করা। অতএব পোশাক যদি আড়ালকারী না হয় তবে তাকে হিজাব আখ্যায়িত করা যায় না। 
 
চতুর্থ : পোশাক প্রশস্ত ও ঢিলেঢালা হওয়া এবং সংকুচিত ও অন্তর্শোভা পরিদৃশ্যকারী না হওয়া। যাতে অঙ্গের আকার বা অবয়ব দৃশ্যমান না হয় এবং দেহের প্রলুব্ধকর অঙ্গ প্রস্ফুটিত না করে। এটিও পূর্বে বর্ণিত হাদীসের নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এই বিষয়টা বিশেষভাবে গুরুত্ব সহকারে মেনে চলা বাঞ্ছনীয়। 
 
পঞ্চম শর্ত : কাপড় সুগন্ধিযুক্ত না হওয়া।নারীর জন্য দেখা যায় এমন কিছু(মেহেদী । হাত ০ পায়ে দিতে পারে)  কিন্তু  গন্ধ পাওয়া যায় এমন কিছু গায়ে মাখা নিষেধ আছে।  কারণ এতে করে তা পুরুষকে আরও বেশি প্রলুব্ধ করে। নারীর আতর ব্যবহারকে ব্যভিচারের পর্যায়ে গণ্য করা হয়েছে।তবে নারী সহবাসের পরে লজ্জাস্থানে আতর  ব্যবহার করতে পারে। 
 
ষষ্ঠ শর্ত :খেয়েল রাখতে হবে যেন কোন ভাবেই একজন নারীর পোশাক পুরুষের পোশাকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ না হায়।
 
সপ্তম শর্ত :ইহুদী-খ্রিস্টান বা বিধর্মীর পোশাকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ না হওয়া। কেননা ইসলামী শরীয়ত কাফেরদের সাদৃশ্য অবলম্বন করতে কড়া নিষেধ করেছে।এতাতে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা কড়া হয় এবং পাপও হয় ।
 
অষ্টম : প্রসিদ্ধি লাভের পোশাক না হওয়া।তবে একজন মেয়ে বা মহিলা কেবল মাত্র তার স্বামীকে খুশী করার জন্য  ইচ্ছে মত ইসলামী শরিয়াত অনুসারে  সাঁজতে পারে।
 
পর্দাও একটি ইবাদত। আল্লাহ আমাদের সঠিক ভাবে পর্দা করার তৈফিক দিন।
আমিন।

Share:

দীর্ঘ সময় যৌন মিলন করার গুরুত্বপূর্ণ টিপস ।

যৌন মিলন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অনুভুতির নাম  যা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।সবাই চায় সুখকর অনুভূতিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে।দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রিয় সুখকর অনুভুতির সাধ নিতে।তাই কি করলে যৌন মিলনের সময় দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবেন এমনি কিছু টিপস তুলে ধরা হলো।  
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ পুরুষ দীর্ঘক্ষণ যৌন মিলন করতে পারেন না।দীর্ঘক্ষণ তো দুরের কথা যেটুকু সময় স্ত্রীকে আনন্দ দিতে প্রয়োজন সে সময়টুকুও তারা মিলনে স্থায়ী করতে পারেন না।যদিও এর পেছনে রয়েছে বহুবিধ কারণ। তবে যৌন মিলন নিয়ে যারা মানসিক ও শারীরিক ভাবে দুর্বলতায় ভুগেন তারা নিম্নলিখিত টিপসগুলো অনুসরন করে লাভবান হতে পারেন যদি অন্য কোন যৌন সমস্যায় আক্রান্ত না হয়ে থাকেন।সহবাস বা যৌন মিলনের আগে বেশ কিছু করনীয় থাকে যা অনেকেই অনুসরণ করে না বলে এধরণের সমস্যার কারণ হতে পারে।যায় হোক- 

মিলনের আগে করণীয়:- 
প্রথমকথাঃ সবার আগে মাথায় রাখবেন যৌন উত্তেজক কোন প্রকার পিল বা নেশা সেবন করবেন না। এটা আপনার উপকারের চেয়ে ক্ষতিই করবে বেশী।তাই এক্ষেত্রে আপনি প্রাকৃতিক ভাবে নিজেকে ফিট করতে পারেন । যেমন, যৌন মিলনের পূর্বে দুধ, ডিম , ফলমুল খেতে অভ্যস্ত করুণ ভালো ফল পাবেন।
দ্বিতীয়কথাঃ যৌন মিলন শুরু করার আগে মন শান্ত করে নিন ৷ মনে কোন প্রকার নেগেটিভ ভাবনা আনবেন না ৷ একটি বিষয় অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটে – স্বল্পস্থায়ী যৌনতার একমাত্র কারণ হল তাদের শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা ৷হুট করে উত্তেজিত হবেন না।দুজনে খুব সাধারণভাবে বিষয়টাকে নিন একে অপরের সাথে ইজি হয়ে কথা বলতে থাকুন।
নিজেকে শারীরিক মিলেনর জন্য শারীরিক এবং মানসিক ভাবে তৈরি করুন৷ সকল প্রকার মানসিক চাপ, উদ্বেগ মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন ৷ 
স্ত্রী ছাড়া অন্য কারো সাথে যৌন মিলন থেকে বিরত থাকুন ৷ স্ত্রী সাথে আপনার মনের ভাবনা গুলি শেয়ার করুন যে আপনার শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতি সরল করতে সাহায্য করবে ৷তবে স্ত্রী ছাড়া কখনো পরকীয়ায় নিজেকে জড়াবেন না।এতে আপনার পরিবারে অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কাজনক কোন কিছুর সৃষ্টি করতে পারে। 

কনডম ব্যবহার করতে পারেন তবে না করাই ভালো। অনেক পুরুষরাই অভিযোগ করছেন যে কনডম ব্যবহারের ফলে তাদের যৌন আকাঙ্খা হ্রাস হচ্ছে ।আপনি কতটুকু তৃপ্তি পাচ্ছেন তা নিজেকে প্রশ্ন করুন । এই বিষয়ে কখনো অন্যের কুবুদ্ধি শুনবেন না।বিষয়টা একান্তই নিজের উপর রাখুন।
তামাক, মদ ও অন্যান্য ওষুধের অতিরিক্ত সেবন দীর্ঘস্থায়ী যৌনতার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে৷তাছাড়া বিভিন্ন নেশার অভ্যাস আপনাকে ধীরে ধীরে পুরুষত্বহীনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।তাই এইগুলি পরিহার করে চলা উচিত।অভ্যাস দীর্ঘদিনের থাকলে একটু একটু করে বর্জন করার চেষ্টা করুন।  
সহবাস বা যৌনমিলনের সময় করণীয় :-
যৌনমিলনের আগে কোন মতেই ফোর প্লে বাদ দেবেন না ৷ দরকার হলে অধিক সময় নিয়ে ফোর প্লে করুন।
একটু পরপর আসন পরিবর্তন করুন৷ নতুন কিছু আপনার মনোযোগকে আরও রোমাঞ্চিত করে তুলতে পারে ৷ সঙ্গীর চাহিদার দিকেও গুরুত্ব দিন ৷
সহবাসের সময় সঙ্গীর আধিপত্যে লজ্জাবোধ করার কোন কারণ নেই ৷
ধীরে ধীরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিলে পরিশ্রম কম অনুভব হবে ফলে শরীর দীর্ঘক্ষণ যৌনমিলনের জন্য উপযুক্ত থাকবে ৷

Share:

Hello

add code

জেনে নিন আমাদের সমাজের ২৪৪ টি কুসংস্কার ।

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে ...

Categories

Add Code