Date:

জেনে নিন সপ্তাহে কতবার সেক্স শরীরের জন্য ভালো।

সপ্তাহে কতবার স্বামী স্ত্রী মিলন করলে নিজেকে ফিট রাখা যাবে বা কতটা উপকার হবে আপনার জন্য তার এক সংক্ষিপ্ত ডকুমেন্টারি তুলে ধরা হল। 
স্বামী স্ত্রীর মিলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তবে সপ্তাহে কতবার সেক্স করা উচিত? রোজ, একদিন অন্তর নাকি শুধুমাত্র সপ্তাহ শেষে? সম্প্রতি আমেরিকান জার্নাল অফ কার্ডিওলজি তে প্রকাশ হয়েছে একটি আর্টিকেল । সেখান থেকে জানা যায়, যে সব পুরুষেরা সপ্তাহে দুবার সেক্স করেছেন তাঁদের হার্ট আর যারা একবারও সেক্স করেন নি তাদের থেকে যারা দুবার মিলন করেছে তাদের হার্ট অনেকটা ভালো । তাই কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ রুখতে পুরুষদের সক্রিয় সেক্স লাইফ থাকা উচিত ।তবে এক্ষেত্রে অবশ্যয় সেক্সুয়াল বিষয়টা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে হতে হবে।কারণ, পবিত্রভাবে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মেলামেশা আল্লাহর পক্ষ থেকে এক ধরণের বড় নেয়ামত। আল্লাহ্‌ নিজে পবিত্র তাই মহান আল্লাহ্‌ পবিত্রতা ভালোবাসেন।এজন্য অবৈধভাবে এই বিষয় থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

পবিত্রভাবে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মিলনের সময় বা অর্গাজমের সময় অক্সিটোসিন হরমোন উদ্দীপীত হয় । এর ফলে আপনার রক্তচাপ কম থাকে । আর আমরা সবাই জানি উচ্চ রক্তচাপ হার্টের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর । এছাড়াও স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা অনেকটা বেড়ে যায় । আর আমরা সবাই জানি সেক্সের থেকে ভালো স্ট্রেসবাস্টার আর কিছুই হতে পারে না । এছাড়াও নিয়মিত যৌন সম্ভোগ করলে আপনার ওজনও কমবে । এছাড়াও সেক্সের পর ঘুমও ভালো হয় । ফলে আপনার হার্ট ভালো থাকবে ।আ স্টাডি ইন বায়োলজিকাল সাইকোলজি থেকে জানা গেছে যাঁরা নিয়মিত মিলিত হন তাদের ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে থাকে । ফলে এই ব্যক্তিদের হৃদয় সংক্রান্ত রোগের সম্ভবনা অনেকটা কম থাকে । তাই সপ্তাহে অন্তত দু‘বার করে অবশ্যই আপনার পার্টনারের সঙ্গে মিলিত হন।
Share:

ক্ষমা তো আমার চাওয়ার কথা না-নৌপরিবহণ মন্ত্রী সাজাহান খান


 
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি ।অযৌক্তিক কিছুই দাবি করে নাই - আমার , আপনার সবার জন্য উত্তম প্রস্তাব। নাকি আবার বিচার আর দাবি মানতে হলে ৩৩ জন লাশ লাগবে। ১. বেপোরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে। ২. নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ৩. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে। ৫. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। ৬. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে। ৭. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবে না। ৯. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না। দাবিগুলোর সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত, আর আপনি?
Share:

তিন সিটিতে ভোটের অনিয়ম।

সিলেটে চলছে জাল ভোটের মহড়া ।এ যেন ভোটাভোটি নয় ,যেন জোর যার মুলুক তার। 
সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রে গোলযোগের ঘটনা ঘটছে। নগরের ১৮নং ওয়ার্ডের ঝর্ণারপাড় এলাকার কাজী জালাল উদ্দিন বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনায় ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। একই সময়ে নগরের মদিনা মার্কেট এলাকায় শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আরো কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়ম, হামলা করে জাল ভোট বাক্সে ভরার অভিযোগ উঠেছে। বেলা ১১টার দিকে নগরের মদিনা মার্কেট এলাকার শাহজালাল জামিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন বুথে কয়েকজন যুবক ব্যালট পেপারে সিল মারছে। এক পর্যায়ে সরকার দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বাকবিতণ্ডা শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ এবং জামায়াত সমর্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৫ মিনিট ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। এ অবস্থায় কেন্দ্র অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়ে। জাল ভোট দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে কোন উত্তর দিতে চাননি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। এছাড়া সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ১৮ নং ওয়ার্ডের মডেল স্কুল কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এক যুবক। সমর্থকদের ধাওয়ায় সে ব্যালট নিয়ে যেতে পারেনি। এ কারণে ওই কেন্দ্রে আধঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। 
সিলেটে জাল ভোটের অভিযোগ 

একই ভাবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটে অনিয়ম সৃষ্টি করে আওয়ামী পন্থীরা ব্যালট পেপারে একজন একের অধিক সিল মারা সহ বিভিন্ন অনিয়ম সৃষ্টি করেন তারা।এসময় সাংবাদিকের হাতে ক্যামেরা বন্দি হয় বেশ কিছু লোকজন।এমন একজন হাতে নাতে ভোট দেয়ার সময় দেখা যায়।

সেখানে সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে সকাল ১১ টার মধ্যে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়।কারণ সেখানে আগে থেকেই নৌকা মার্কায় আগে থেকে সিল মারা সিলো।
বরিশালে হাতে নাতে জাল ভোটদানকারী ক্যামেরা বন্দী। 
অপর দিকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনেরও বিভিন্ন কেন্দে ভোট গ্রহণের অনিয়ম দেখা যায়।সারা দেশ যেন ক্ষমতাসিনদের হাতে বন্দী।তারা জেভাবে চাইবে সেভাবে চলবে এই দেশ।তাদের কার্যকলাপে এমনই ভাবমূর্তি প্রকাশ পাচ্ছে। রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ছুরিকাঘাতে এক ছাত্রলীগ নেতা আহত হন সর্বশেষ খবর।
রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে এক ছাত্রলীগ নেতা আহত। 

Share:

অশিক্ষিত নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ দাবি;

রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় বিমানবন্দর সড়কে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের(পরে আর তিন শিক্ষার্থী মারা যায় হসপিটালে খবর বিভিন্ন গণমাধ্যম) ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেয়ার সময় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের হাসিমাখা মুখের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই সঙ্গে দূর্ঘটনা প্রসঙ্গে দেওয়া তার বক্তব্য তুমুল সমালোচনা তৈরি করেছ।এর প্রতিবাদে দেশের অজস্র শিক্ষার্থী তার পদত্যাগ দাবি করেছে।তারা বলেছে,   নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের যদি ন্যূনতম লজ্জাবোধ বলতে কিছু থেকে থাকে তাহলে তিনি মন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে দিবেন।শুধু ছাত্রছাত্রীরা নয় দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তার দিকে একই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে।এখন শুধু সময়ের দাবি তিনি মন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে বিবেন কিনা।

বিমানবন্দর সড়কের হোটেল রেডিসনের বিপরীত দিকে অপেক্ষারত একদল কলেজ শিক্ষার্থীর ওপর যাত্রীবাহী জাবালে নূর বাস উঠিয়ে দেয়ায় ওই দুই শিক্ষার্থী প্রাণ হারান। জাবালে নুর পরিবহনের মালিক নৌপরিবহন মন্ত্রীর শ্যালক নান্নু মিয়া। এদিকে দেশের পুলিশ বাহিনীর জন্যও লজ্জাকর বিষয় যে , যেখানে এমন একটা দুর্ঘটনাকারীদের খুঁজে বের করতে এক ঘন্টার বেশী সময় লাগার কথা নয় সেখানে ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ এক দিন গড়িয়েছে তবুও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।এটা বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনের জন্য ধিক্কার জনক একটা কথা।কিংবা কেন অপরাধীরা এভাবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় বার বার এর জন্য আসলে কারা দায়ী? শাজাহান খানের মত লোকেরা নাকি অন্য কেউ । এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।কে দিবে এর জবাব নাকি এভাবেই লাগামহীন অপরাধীরা চালিয়ে যাবে তাদের অপরাধ?
রোববার দূর্ঘটানর পর ভিন্ন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্বে থাকা শাজাহান খানকে দূর্ঘটনায় দুই ছাত্র নিহত হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মারা যায় কিন্তু সেখানো কোন আলোচনা হয় না। আলোচনাটা শুধু বাংলাদেশেই হয়।আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতি ঘণ্টায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন মারা যায়। কিন্তু সেখানে এতো আলোচনা হতে দেখি না। দুর্ঘটনায় আলোচনাটা শুধু বাংলাদেশেই হচ্ছে।’ শাস্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যে যতটুকু অপরাধ করবে, তার শাস্তি ততটুকুই হবে। সেই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতা করার সুযোগ নেই।এ সময় তিনি যেন মহা খুশীর অট্টহাসিতে ফেটে পরেন।একজন মন্ত্রী হয়ে কিভাবে এমন পরিস্থিতিতে হাসতে পারে তা কারো জানা নাই।তবে এটুকু বলা যায়, যে এমন পরিস্থিতিতে হাসতে পারে আর এটাকে কোন বিষয়ই মনে করেনা তার আর যাই থাকুক এটলিস্ট মন্ত্রিত্ব  যোগ্যতা রাখে না।
সড়ক দুর্ঘটনার পর সাংবাদিকরা রোববার সচিবালয়ে নৌমন্ত্রীর কাছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের শীর্ষনেতা হিসেবে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চান। গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, ‘আপনার নিয়ন্ত্রিত পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের বাসগুলোর প্রতিযোগিতায় রাজধানীতে দুর্ঘটনার হার আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে। প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাচ্ছেন, আহত হচ্ছেন কিংবা পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। এসব ঘটনার দায় শ্রমিক সংগঠনগুলো এড়াবে কিভাবে?’

এসময় মন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, প্রোগ্রামের সঙ্গে বিষয়টি কিন্তু সম্পর্কিত না। গতকালও ভারতের মহারাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এগুলো নিয়ে বাংলাদেশে যেভাবে কথা বলা হয়, ওখানে কেউ এভাবে বলে না। শুধু এইটুকুই বলছি, যতটুকু অপরাধ করবে, তার শাস্তি সেভাবেই পাবে। এ বিষয়ে পরে আরো আলোচনা হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রী হাসি আর ;দূর্ঘটনা প্রসঙ্গে তার বক্তব্য ও হাসি নিয়ে ফেসবুকে চলছে তুমুল সমালোচনার ঝড়।

Share:

রাজধানীতে বেপরোয়া বাস ড্রাইভিংয়ে নিহত চার ছাত্রছাত্রী।

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় ৪ জন ছাত্র/ছাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ৪ জনই শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী।
''ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন''
ঘটনা স্থলে নিহত দুজন ছাত্রছাত্রীর ছবি।
জানা গেছে, বিমানবন্দর মহাসড়কে বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এসময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস চালক তাদের ওপর উঠিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। 
দিন দিন এরা ভয়ংকর হয়ে উঠছে , এই দানবেরা কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা করেনা।এদের এমন বেপরোয়া যেন মানুষ গিলে খেতেই নেমেছে সড়কে।বাসা থেকে বের হয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরতে পারবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই । প্রতিদিনই চোখের সামনে কাউকে না কাউকে এই দানবদের হাতে শিকার হয়ে দেখছি।এদের নাকি ক্ষমতা অনেক কিছু বলা যাবে না, আইনের আওতায় আনা যাবে না, তাহলে যে পুরো শহরটাই অচল করে দিবে। 
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্নের মুখে রাখতে হচ্ছে ট্রাফিক  ব্যবস্থাকেও । পথ চলাচলকারী কন বাহনের উপরই আসলে ট্রাফিক বিভাগের কোন নিয়ন্ত্রণ নাই। রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটিও বিধিরাম সর্দার।ট্রাফিক বিভাগ ঢাকার রাস্তার জন্য পৃথক লেন বাস থামানোর জায়গা, বাসের গতি , বাস রুট, গাড়ি পার্কিং এর নিয়ম নীতি কোন কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
দুর্ঘটনা ঘটে জাবালে নূর বাসে।
প্রতিদিন মানুষ মরছে অপঘাতে , আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে জীবন যাপন করে বেঁচে থাকছে কেউ কেউ।আমরা অপঘাতে মৃত্যুটাকে খুব স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে শিখে যাচ্ছি।আহত হলে উঠে দাঁড়িয়ে বলতে শিখছি "ইস" একটুর জন্য বেঁচে গেলাম ।এভাবে আজ আমরা সব কিছুর দায়ি বানাচ্ছি ভাগ্যকে।চোখ বুঝেই ভাল থাকার চেষ্টা করে চলেছি প্রতিনিয়ত , প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে একরাশ হতাশা নিয়ে বলি 'আহা শহরজীবন' ।কখনো কি ভেবে দেখেছেন আমরা এক অপূর্ব মৃত্যুপুরীতে বাস করছি।আমাদের এই উদাসীনতা আইন ভাঙার অভ্যাস , আমাদের অবৈধ নীতিকে প্রশ্রয় দেয়ার অভ্যাস অন্যায় দেখেও না দেখার অভ্যাস গড়ে উঠছে।আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করার শক্তি কি টুকু যেন হারিয়ে ফেলেছি।আমরা যেন "স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন" এই প্রবাদের গোলোকধাদার ঘোরে সবাই।
জনতা আগুন লাগিয়ে দেয়া বাস।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে কিছু উত্তেজিত লোকজন রাস্তায় একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিলে গাড়িটি পুড়ে যায়।



Share:

টাইগারদের সিরিজ জয়

টাইগারদের সিরিজ জয়ের উল্লাস ।
টাইগারদের সিরিজ জয়ের পর উল্লাসে মেতে উঠা মহুরত। 

ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ানোর কথা ছিল না। ব্যাটে বলে দুর্দান্তই ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষদিকে ম্যাচটি ঠিকই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যে উত্তেজনাকে পাশ কাটিয়ে শেষ হাসি হেসেছে টাইগাররাই। ১৮ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-১’এ হারিয়ে সিরিজ জিতেছে মাশরাফির দল।
৩০২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে সেভাবে চড়াও হয়ে খেলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে মারমুখী ছিলেন ক্রিস গেইল, করেন ৬৬ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৭৩ রান। শাই হোপ ৬৪ করলেও খরচ করেন ৯৪টি বল। শেষদিকে রভম্যান পাওয়েলের ৪১ বলে ৭৩ রানেই জয়ের সম্ভাবনা জেগেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি।
এর আগে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচের শুরুর অর্ধেকটা মন মতোই করতে পেরেছে বাংলাদেশ দল। রান বন্যার সেন্ট কিটস মাঠে রানের খোঁজে ধুঁকতে হয়নি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। আগের দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে আবারও রান করেছেন তামিম ইকবাল। শেষদিকে ঝড় তুলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এই দুইয়ের ব্যাটে ভর করেই মূলত বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে টাইগাররা। প্রায় বছর দুয়েক পর দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের মিশনে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ৩০১ রানে।



সিরিজে টানা তৃতীয়বারের মতো টসে জেতেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথম ম্যাচে করেন আগে ব্যাটিং, দ্বিতীয় ম্যাচে নেন আগে বোলিং। তৃতীয় ম্যাচে এসে আবারও আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক। জানিয়ে দেন ব্যাট করার জন্য খুবই সুবিধাজনক হবে সেন্ট কিটসের এই উইকেট।
কিন্তু তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়ের উদ্বোধনী জুটিতে মনেই হয়নি উইকেট ব্যাটিং বান্ধব। আগের দুই ম্যাচে বড় রান করতে ব্যর্থ হওয়া বিজয় এই ম্যাচেও আউট হয়েছেন অল্পতেই। ৩১ বলের ইনিংসে রান করতে পেরেছেন মাত্র ১০। উইকেটে একবারের জন্যও স্বচ্ছন্দ মনে হয়নি তাকে। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় সিরিজে তৃতীয়বারের মতো তামিমকে একা করে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
আগের দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও। বন্ধু তামিমের সঙ্গে সাকিব আল হাসান আবারও গড়েন ইনিংসের ভীত গড়ে দেয়া জুটি। তামিমের ধীরস্থির ব্যাটিংয়ের সাথে ছিল সাকিবের উইকেটের চারপাশে রান নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখা ব্যাটিং। চোখের পলকে মাত্র ১৬ ওভার ব্যাট করে এই জুটিতে যোগ হয় ৮১ রান।

টানা তৃতীয় অর্ধসেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সাকিব ফিরে যান টপ এজ হয়ে স্কয়ার লেগে ধরা পড়ে। আউট হওয়ার আগে সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৩ চারের মারে করেন ৩৭ রানে। খেলেন মাত্র ৪৪টি বল। সাকিব ফিরে গেলেও ক্যারিয়ারের ৪৩তম অর্ধশত তুলে নিতে কোন ভুল করেননি তামিম।
অর্ধশত পেরিয়ে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে নতুন করে ইনিংস গড়ার কাজে মন দেন তামিম। কিন্তু দারুণ শুরু করা মুশফিক অদ্ভুত এক শট খেলতে গিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মাত্র ১২ রান করে। তার ব্যাট থেকেই আসে ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি। দলীয় সংগ্রহ দেড়শ পার করিয়েই সাজঘরে ফিরে যান। অন্যপ্রান্তে অবিচল থেকে যান আস্থার আরেক নাম হয়ে ওঠা তামিম।
চতুর্থ উইকেট জুটি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে পেয়ে যেন খানিক নির্ভার হন তামিম। খেলতে শুরু করেন হাত খুলে। জোড়া বাউন্ডারিতে পৌঁছে যান ৮০’র ঘরে। জাগিয়ে তোলেন সিরিজে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। পরে নব্বইয়ের ঘরে ঢুকে ৯২ থেকে এক ছক্কায় চলে যান ৯৮ রানে।
বাকি দুই রান নেন সাবধানী ব্যাটিংয়ে এক-এক করে। তুলে নেন ক্যারিয়ারের একাদশ ও চলতি সিরিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তবে সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। ব্যক্তিগত ১০৩ রানের মাথায় দেবেন্দ্র বিশুর ওভারে মিড উইকেটে ধরা পড়েন তামিম।
তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে ২৮৭ রান করে তামিম গড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিন ম্যাচ সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ভেঙে দেন ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষেই গড়া দীনেশ রামদিনের ২৭৭ রানের রেকর্ড।

তামিম ফিরে যাওয়ার পরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সাব্বির-মোসাদ্দেকের আগেই ব্যাট হাতে নেমে যান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজের বলা ‘এই উইকেটে ব্যাটিং সহজ হবে’ কথাটার বাস্তব প্রমাণ দিতেই নেমে যান মাশরাফি। ব্যাটিংয়ে নেমে সময় নেননি খুব বেশি।
অপর প্রান্তে নির্ভরতার প্রতীক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থাকায় নির্ভয়ে খেলতে পারছিলেন মাশরাফি। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের এক ওভারে হাঁকান পরপর তিন বাউন্ডারি। হোল্ডারের পরের ওভারেই লংঅনের উপর দিয়ে মারেন এক ছক্কা। রিয়াদ-মাশরাফির জুটিতে চোখের পলকে ২৫০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশের সংগ্রহ।
পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৪২ বলে ৫৩ রান পায় বাংলাদেশ। ২৫ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কার মারে ৩৬ রান করে ফেরেন মাশরাফি। অপর প্রান্তে বাংলাদেশ দলের ফিনিশিংয়ের দায়িত্ব নিয়ে অবিচল ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। স্লগ ওভারে ব্যাটিংয়ে আসেন হার্ডহিটার হিসেবে পরিচিত সাব্বির রহমান।
কিন্তু সাব্বিরের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক খেলছিলেন মাহমুদউল্লাহই। এতোক্ষণ ধরে উইকেটে থেকে বিশাল এক ছক্কার মারে রিয়াদ তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৯তম অর্ধশতক। শুরুতে ব্যাটে-বলে এক করতে পারছিলেন না সাব্বির। ৪৯তম ওভারে পরপর দুই বলে দুটি ৪ মেরে পরের বলেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

তবে অপরাজিতই থেকে যান মাহমুদউল্লাহ। শেষপর্যন্ত তার দুর্দান্ত ফিফটিতেই ৩০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষের দশ ওভারে আসে ৯৬ রান। মাত্র ৪৯ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৬৭ রান করেন রিয়াদ। ৫ বলে এক চারের মারে ১১ রানের ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ছয় উইকেটে ৩০১ রানে। স্বাগতিকদের পক্ষে দুইটি করে উইকেট নেন অ্যাশলে নার্স ও জেসন হোল্ডার।

Share:

ইসলামী শাসনের একটি নমুনা


মুহাম্মাদ বিন ওবায়দুল্লাহ হ’তে থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা দ্বিতীয় খলীফা হযরত ওমর (রাঃ)-এর নিকটে কিছু কাপড় আসলে তিনি সেগুলি হকদারগণের মাঝে বন্টন করে দেন। এতে আমাদের প্রত্যেকে একটি করে কাপড় পেল। কিন্তু তিনি নিজে দু’টি কাপড় দিয়ে তৈরী একটি পোষাক পরিধান করে খুৎবা দিতে মিম্বরে আরোহণ করলেন। অতঃপর বললেন, হে লোকসকল! তোমরা কি আমার কথা শ্রবণ করছ না? এমতাবস্থায় বিখ্যাত ছাহাবী সালমান ফারেসী (রাঃ) উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, জি না, আমরা শ্রবণ করব না। ওমর (রাঃ) বললেন, কেন হে আবু আব্দুল্লাহ? তিনি বললেন, আপনি আমাদেরকে একটি করে কাপড় দিয়েছেন। অথচ আপনি পরিধান করেছেন (দুই কাপড়ের) বড় পোষাক! ওমর (রাঃ) বললেন, ব্যস্ত হয়ো না হে আবু আব্দুল্লাহ! অতঃপর তিনি ছেলে আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ)-কে ডাকলে তিনি উঠে দাঁড়ালেন। অতঃপর ওমর (রাঃ) বললেন, আমি আল্লাহ্র কসম করে জিজ্ঞেস করছি, আমার পোষাকে যে অতিরিক্ত কাপড় রয়েছে, সেটা কি তোমার নয়? আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বললেন, জি, এটি আমার। অতঃপর সালমান ফারেসী (রাঃ) বললেন, এখন আপনি বক্তব্য শুরু করুন, আমরা শ্রবণ করব(ইবনুল ক্বাইয়িম, ই‘লামুল মুওয়াক্কেঈন ২/১২৩; ছিফাতুছ ছাফওয়াহ ১/২০৩)
আবুবকর (রাঃ)-এর গোপন আমল.

প্রথম খলীফা আবুবকর (রাঃ) ফজরের ছালাত আদায় করে মরুভূমির দিকে গমন করতেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান  করে শহরে ফিরে আসতেন। ওমর (রাঃ) তার প্রত্যহ এরূপ গমনের দৃশ্য দেখে আশ্চর্যান্বিত হ’লেন। তাই একদিন ফজরের ছালাতের পর আবুবকর (রাঃ) যখন বের হ’লেন, তখন তিনি গোপনে তাঁকে অনুসরণ করতে লাগলেন। অতঃপর তিনি একটি টিলার পিছনে লুকিয়ে থাকলেন ও আবুবকর (রাঃ)-কে একটি পুরাতন তাঁবুতে প্রবেশ করতে দেখলেন। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর বের হয়ে গেলেন। অতঃপর ওমর (রাঃ) টিলার আড়াল থেকে বের হয়ে উক্ত তাবুতে প্রবেশ করলেন। সেখানে তিনি এক অন্ধ দুর্বল মহিলাকে দেখতে পেলেন, যার কয়েকটি শিশু রয়েছে। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নিকটে কে আসে? মহিলা বলল, আমি তাকে চিনি না। তিনি একজন মুসলিম। প্রতিদিন সকালে তিনি আমাদের কাছে আসেন। অতঃপর আমাদের গৃহ পরিষ্কার করেন, আটা পিষে দেন এবং গৃহপালিত পশুগুলির দুগ্ধ দোহন করেন, তারপর তিনি চলে যান। বিস্ময়াভিভূত ওমর বেরিয়ে আসলেন এবং বললেন,قَدْ أَتْعَبْتَ الْخُلَفَاءَ مِنْ بَعْدِك- يَا أَبَا بَكَر হে আবুবকর! পরবর্তী খলীফাদের উপর তুমি কত কষ্টই না চাপিয়ে দিলে! (তারীখু দিমাশক ৩০/৩২২)
ইমাম মাওয়ার্দী (রহঃ)-এর গোপন আমল
ইমাম মাওয়ার্দীর গোপন আমল সম্পর্কে একটি কাহিনী প্রসিদ্ধ রয়েছে। তিনি তাফসীর, ফিক্বহসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনেক গ্রন্থ রচনা করেন। কিন্তু জীবদ্দশায় সেসব গ্রন্থ কোনটিই প্রকাশিত হয়নি। পরে তাঁর মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে তিনি তার একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে ডেকে এনে বললেন, ‘অমুক স্থানে যে বইগুলি রয়েছে সবগুলিই আমার রচিত। যখন আমার মৃত্যুযন্ত্রণা উপস্থিত হবে, তখন তুমি তোমার হাতকে আমার হাতের মধ্যে রাখবে। এসময় যদি আমি আমার হাত টেনে নেই, তাহ’লে তুমি বুঝবে যে, আমার কিছুই আল্লাহ্র নিকটে কবুল হয়নি। এমতাবস্থায় তুমি রাতের অাঁধারে আমার সকল লেখনী দজলা নদীতে নিক্ষেপ করবে। আর যদি আমি আমার হাত প্রসারিত করি, তাহ’লে বুঝবে যে, আমার লেখাগুলো আল্লাহ্র নিকটে কবুল হয়েছে। আর আমি আমার খালেছ নিয়তে কৃতকার্য হয়েছি’। অতঃপর মৃত্যুকালে তিনি স্বীয় হাত প্রসারিত করে দিলেন। ফলে পরবর্তীতে তাঁর সকল লেখনী প্রকাশিত হ’ল। (অফিয়াতুল আ‘ইয়ান ৩/২৮৩; তারীখু বাগদাদ ১/৫৪; তাবাকাতুশ শাফেঈয়াহ ৫/২৬৮)
আলী বিন হুসায়েন (রহঃ)-এর গোপন আমল

আলী (রাঃ)-এর পৌত্র আলী বিন হুসায়েন (রহঃ) বলতেন, ‘রাতের অন্ধকারে কৃত ছাদাক্বা আল্লাহ্র ক্রোধ দূরীভূত করে’। তাই রাতের অাঁধারে তিনি ছাদাক্বার খাদ্যসমূহ পিঠে বহন করে শহরের ফকীর-মিসকীন ও বিধবাদের গৃহে পৌঁছে দিতেন; অথচ তারা জানতে পারতো না কে তাদেরকে এ খাদ্যসামগ্রী দিয়ে গেল। আর সবার অজান্তে যাতে এ কাজ করতে পারেন, সেজন্য তিনি কোন খাদেম, দাস কিংবা অন্য কারোরই সহযোগিতা নিতেন না। এভাবে অনেক বছর যাবৎ তিনি গোপনে এ কাজ করে যান। কিন্তু ফকীর ও বিধবারা জানতেই পারেনি যে, কিভাবে তাদের নিকটে এ খাদ্য আসে। অতঃপর যখন তিনি মৃত্যুবরণ করলেন এবং তারা তার পৃষ্ঠদেশে কালো দাগ দেখতে পেল। তারা বুঝতে পারল যে, তিনি তাঁর পিঠে কিছু বহন করার ফলে এই দাগের সৃষ্টি হয়েছে। অতঃপর তাঁর মৃত্যুতে শহরে উক্ত গোপন দান বন্ধ হয়ে গেল। রাবী ইবনে আয়েশা বলেন, তাঁর মৃত্যুর পর শহরবাসী বলতে লাগল, আলী বিন হুসায়েন মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা গোপন দান থেকে বঞ্চিত হইনি। (হিলইয়াতুল আওলিয়া ৩/১৩৬; ছিফাতুছ ছাফওয়াহ ২/৯৬; আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ ৯/১১৪; তাহযীবুল কামাল ১৩/২৪২, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৪/৩৯৩)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,نِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَكُونَ لَهُ خَبِيءٌ مِنْ عَمَلٍ صَالِحٍ فَلْيَفْعَلْ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সৎ আমলসমূহ গোপনে করতে পারে, সে যেন তাই করে (ছহীহুল জামে‘ হা/৬০১৮; ছহীহাহ হা/২৩১৩)
*সংকলনে : আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব
Share:

Hello

add code

জেনে নিন আমাদের সমাজের ২৪৪ টি কুসংস্কার ।

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে ...

Categories

Add Code