Date:

Showing posts with label islamic. Show all posts
Showing posts with label islamic. Show all posts

চুল লম্বা ও সুন্দর করার সহজ উপায়।

চুল নারী সুন্দরতার অপরিহার্য অংশ।এই চুলের ছোট, বড়, লাল, কালো, হাঁসা ইত্যাদি নিয়ে নানা মনে নানা সংশয়।অথচ এই চুল ঘরোয়া ভাবে খুব সহজেই সুন্দর ও লম্বা করা যায়।যা অনেক মেয়েরা জানেনা।
নিয়মিত মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুণ
নানী-দাদীরা বলে থাকেন যে চুলে তেল দিয়ে টেনে বেঁধে রাখলে চুল লম্বা হয়।আসলে ওটা টেনে বেঁধে রাখার কারণে চুল লম্বা হয়না।ওটা মাথার ত্বক ম্যাসাজ করার কারণে বড় হয়।মাথার ত্বক ম্যাসাজ করলে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় ফলে চুলের ফলিকল গুলো উদ্দীপিত হয় , এতে চুল পরা বন্ধ হয়।চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হয়।এভাবে সপ্তাহে প্রায় দুদিন মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুণ । তারপর ভাল করে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে তেল দিন।আবার চুলে শ্যাম্পু করার সময় মাথার ত্বক ম্যাসাজ করে নিতে পারেন।এতেও আপনার ভাল ফলাফল পাবেন।
আবার বিভিন্ন ধরণের ওষুধ ও বা তেল ও পাওয়া যায়ঃ
মহৌষধ ক্যাস্টর অয়েল চুল ঘন ও বৃদ্ধিতে সবচেয়ে সহযোগিতা করে থাকে।তবে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের তুলনায় অনেক কম। সবার আগে নজর রাখতে হবে যে চুলের তরান্বিত বজায় রাখতে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের বিকল্প নেই।
তবে মহৌষধ ক্যাস্টর অয়েলেও রয়েছে অনেক পুষ্টি গুণ যা চুলের ঘনতা ও বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করা থাকে।
চুলের ঘন ও বৃদ্ধি হওয়াতে ডিমের কোন জুড়ি নেই।কারণ , ডিমে আছে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, আয়রন , ফসফরাস , জিংক, সেলেনিয়াম ও সালফার যা চুলের জন্য ভীষণ উপকারী।একটি বা দুটি ডিম নিন এর সাথে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কয়েক চামচ মিশ্রণ করে চুলে লাগান । শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন আর যদি মাথায় খুশকি থাকে তাহলে উপরোক্ত প্রক্রিয়ার সাথে একটু লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগান । আর ঘন কালো চুলে বহুগুণে হেসে উঠুক আপনার সৌন্দর্য।
Share:

বাঁচতে হলে জানতে হবে এইচআইভি-এইডস কি?

বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ এক নাম এইচআইভি। এইচআইভি কোন রোগের নাম নয়।শরীরে এক সাথে অনেক গুলো রোগের সমষ্টি হয়ে বডিকে যখন রোগপ্রতিরধে অচল করে দেয় সেই ধাপকেই মূলত  এইচআইভি বলা হয়ে থাকে।এটা মূলত অবাধ যৌনমিলনের কারণে হয়ে থাকে।আবার যার শরীরে এই ভাইরাস আছে তার শরীর থেকে রক্ত নিলে ,  এই ভাইরাসে আক্রান্ত মায়ের শরীরের দুধ পান করলে।

এ যাবৎ কাল পর্যন্ত এর কোন প্রপার ওষুধ আবিষ্কার হয়নি।তবে সাম্প্রতি এ বিষয়ে গবেষণালব্ধ একদল গবেষক জানিয়েছেন,তাঁরা  এইচআইভি ভাইরাসের কার্যকর প্রতিষেধক তৈরির সম্ভাবনা দেখছেন।মানবদেহে এইচআইভি প্রতিরোধ তৈরি করা সম্ভব এমন একটি চিকিৎসাপদ্ধতি সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা।
সাম্প্রতি এমনি এক চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন রিপোর্ট করেছেন বিবিসি।যুক্তরাষ্ট্র, রুয়ান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডা আর থাইল্যান্ডের প্রায় ৪০০ অধিবাসীকে চার মাসে চারটি প্রতিষেধক দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষা চালানোর পর তাদের দেহে এইচআইভি প্রতিরোধকারী ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, এমন তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। এইচআইভি সদৃশ্য একটি ভাইরাসে আক্রান্ত কয়েকটি বানরও ওই চিকিৎসায় নিরাময় লাভ করেছে।
তবে এই চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করা যায় কিনা তা নির্ণয় করতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।সমস্ত পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ১৮ লাখ নতুন মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।
তবে এই গবেষণার শীর্ষ গবেষক ও হার্ভার্ড মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যান বারোখ বলেন, এ গবেষণার ফল সতর্কতার সঙ্গে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
তিনি আরো জানান, প্রতিষেধকের মাধ্যমে সবার দেহে এইচআইভি প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হলেও এই ভাইরাসের আক্রমণ ও সংক্রমণ রোধে এ প্রতিষেধক যথেষ্ট কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয় গবেষকরা। 
কিন্তু এইচআইভির চিকিৎসায় নানাবিধ অগ্রগতি হলেও এই ভাইরাসের নিশ্চিত প্রতিষেধক এখনও মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে।
‘প্রেপ’ বা ‘প্রি এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস’ নামের এই ওষুধ, যেটি এইচআইভি সংক্রমণ রোধে কার্যকর, নিয়মিত সেবন করতে হয়। আক্রান্ত হওয়ার আগে নিয়মিত এই ওষুধ গ্রহণ করলে এইচআইভি সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে না।সবচেয়ে বড় কথা হল আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।বাঁচতে হলে জানতে হবে এইছআইভি এইডস কি?
এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করার পর দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেহ নামের এই অদ্ভুত রাজ্যের রাজার মত বসবাস করে।দেহকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
তাই আমরা নিজে সচেতন হই অন্যকে সচেতন করি।

Share:

রাতে যে খাবারগুলো খেলে বিপদ।

আমরা বাংলালি খেতে ভালোবাসি।আর প্রিয় খাবার হলেতো কোন কথাই নাই , ইচ্ছে মতো খাই হোক সেটা সকাল, দুপুর কিংবা রাত।আমরা একেকজন একেক ধরণের খাবার খেতে পছন্দ করি।তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার অজান্তেই কোন এক খাবার নিরবে আপনাকে ভিতরে ভিতরে শেষ করে দিচ্ছে? কেউ কি কখনো ভেবে দেখেছেন, রাতে আমরা যা খাচ্ছি তা স্বাস্থ্যসম্মত কিনা? রাতে কারো ভাত, কারো দুধ না খেলে ঘুম আসে না। অনেকের আবার রাতে ঘুমের আগে দুধ খাওয়া চাই-ই-চাই।

অতিরিক্ত রাত জাগার কারণে অনেকেরই আবার রাতে ভাজাভুজি, চকোলেট কিংবা নানা ধরণের মুখরুচক খাবার খাওয়ার বদভ্যাস থাকে। এই সব বদভ্যাস থেকে ওজন যেমন বাড়ে তেমনই শারীরিক সমস্যাও বাড়তে থাকে।
এমনি ১০টি খাবার, যা রাতে খেলে আপনার জন্য বিপদ হতে পারে।
মিষ্টিঃ
খাবারের পর হালকা মিষ্টি খাওয়া সুন্নাত। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীরে শিথিলতা যেমন আসে, তেমনই ওজনও বাড়ে তরতর করে।
দুধঃ
রাতে শোয়ার আগে অনেকেই গরম দুধ খান।দুধের ২ থেকে ৪ শতাংশ শর্করা হল  ল্যাকটোজ । ল্যাকটোজ শরীরে সহজে হজম হয় না।পরে শরীর বিভিন্ন অসুবিধায় ভোগে।গ্যাসের সমস্যা থাকলে তো এক্ষুনি রাতে দুধ খাওয়া বন্ধ করুণ।
ভাতঃ
বাঙালির প্রধান খাবার ভাত।সারাদিন কাজ  সেরে ক্লান্ত শরীরে রাতে বাড়ি ফিরে জমিয়ে ভাত না খেলে অনেকেরই ঘুম আসে না। তবে পেশি সচল রাখতে রাতে ভাত না খাওয়াই ভাল।
পিজাঃ
রাতে আলস্য লাগলে পিজা অর্জার দেওয়া খুবই কমন ব্যাপার। জানেন কি খারাপ কার্বোহাইড্রেট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর পিজা আপনার হজমের গণ্ডগোল ঘটাতে বাধ্য।সো,এই খাবারটি থেকে দূরে থাকুন।
ফুডঃ
তেল, চর্বি ও কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার একে বারেই পরিহার করা উচিত।আর রাতে বেশি তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া কোন ভাবেই উচিৎ নয় আমরা সকলেই জানি। তাই এই খাবার গুলো থেকেও নিজেকে সংযত রাখুন।
আলু ভাজাঃ
রাতে ঘুম না এলেই মুচমুচে আলু ভাজা ওয়াও। পড়েই অনেকের জিভে জল আসছে। এর স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়াম শরীরের প্রচুর ক্ষতি করে।
ব্রকোলিঃ
আমরা সবাই জানি এই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে রাতের জন্য নয়। এর প্রচুর পরিমাণ ফাইবার হজম হতে সময় নেবে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।
অরেঞ্জ জুসঃ
অনেকেই রাতে ঘুমনোর তেষ্টা মেটাতে, আবার মিষ্টি স্বাদ পেতে গলায় ঢালেন অরেঞ্জ জুস। এর অ্যাসিডিক প্রকৃতি হজমের সমস্যা বাড়ায়।এর ফলে ও হতে পারে নানা সমস্যা। 
চকোলেটঃ
বিশেষ করে ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেন। যা স্নায়ুর উদ্দীপনা বাড়িয়ে তোলে। ঘুমের সময় প্রয়োজন ঠিক উল্টটা। আর সবচেয়ে বড় কথা হল বাংলাদেশী তৈরী চকলেট নানা রকমের ভেজাল দ্রব্য দিয়ে বানানো হয়।যা শরীরের জন্য মারাক্তক ক্ষতিকর।
আইস ক্রিমঃ
আমাদের দেশে আইসক্রিম সুগারের পরিবর্তে ঘনচিনি দিয়ে বানানো হয়।এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে মেটবলিজমে ব্যাঘাত ঘটায়। যা পরবর্তীতে ক্যান্সার সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
তাই, খাবার গ্রহণে সচেতন হন। সুস্থ থাকুন।

Share:

হিজাবের আটটি শর্ত ।

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
ইসলাম  এক পবিত্র ধর্মের নাম।ইসলাম ধর্মে মানব রচিত কোন আইন বা বিধান নাই।যুগে যুগে প্রেরিত মহান আল্লাহ্‌র নবী ও রাসুল গণ মাটির মানুষ হলেও তারা কখনো নিজের কোন আইন বাস্তবায়ন করেননি।তারা যা কিছু করেছেন সবই মহান আল্লাহ্‌র ইচ্ছায়।তেমনি মেয়েদের ব্যাপারেও রয়েছে বিধান। যেখানেই কোনো বেগানা পুরুষ থাকবে সেখানে শরয়ী হিজাবের ব্যাপারে ইসলামের বিধান রয়েছে।একজন মুসলিমা মেয়ের জন্য নিম্নের আটটি শর্তের যেকোনো একটি  লঙ্ঘন করা হারাম। কেননা অনেক মহিলা ঘরের বাইরে হিজাব পরেন ঠিকই কিন্তু তারা নিজেদের নিকটাত্মীয় গাইরে মাহরামের সামনে কোনো কোনো শর্ত লঙ্ঘন করেন। যেমন চাচাতো বা মামাতো ভাইদের সামনে মাথা ঢাকেন ঠিক কিন্তু তাদের সামনে অন্যদের মতো পুরোপুরি পর্দা করেন না। এতে করে তারা সুস্পষ্ট গুনাহ ও হারামে লিপ্ত হন।
একজন মুসলিমা মেয়ের পূর্ণ পর্দার শর্তগুলো নিম্নরূপ :
প্রথম শর্ত : অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মতে পুরো শরীর ঢাকা। ফিতনার আশংকা থাকলে সর্বসম্মতিক্রমে মুখ ও হাতের তালুদ্বয় ঢাকাও পর্দার অন্তর্ভুক্ত।তবে এক্ষেত্রে মুখ ও হাতের তালুদয় খোলা রাখতে পারে।

 
দ্বিতীয় শর্ত : হিজাবে নিজেকে সৌন্দর্যবর্ধক না করা। যেমন, আকর্ষণীয় রঙের হওয়া যা সবার দৃষ্টি কাড়ে এমন পোশাক পরা যাবেনা।

 
তৃতীয় শর্ত : মোটা ও পুরু হওয়া যাতে সৌন্দর্য দৃশ্যমান না হয় এমন পোশাক পরা। কেননা, হিজাবের উদ্দেশ্য নারীর মুগ্ধ করা সৌন্দর্য পরপুরুষের আড়াল করা। অতএব পোশাক যদি আড়ালকারী না হয় তবে তাকে হিজাব আখ্যায়িত করা যায় না। 
 
চতুর্থ : পোশাক প্রশস্ত ও ঢিলেঢালা হওয়া এবং সংকুচিত ও অন্তর্শোভা পরিদৃশ্যকারী না হওয়া। যাতে অঙ্গের আকার বা অবয়ব দৃশ্যমান না হয় এবং দেহের প্রলুব্ধকর অঙ্গ প্রস্ফুটিত না করে। এটিও পূর্বে বর্ণিত হাদীসের নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এই বিষয়টা বিশেষভাবে গুরুত্ব সহকারে মেনে চলা বাঞ্ছনীয়। 
 
পঞ্চম শর্ত : কাপড় সুগন্ধিযুক্ত না হওয়া।নারীর জন্য দেখা যায় এমন কিছু(মেহেদী । হাত ০ পায়ে দিতে পারে)  কিন্তু  গন্ধ পাওয়া যায় এমন কিছু গায়ে মাখা নিষেধ আছে।  কারণ এতে করে তা পুরুষকে আরও বেশি প্রলুব্ধ করে। নারীর আতর ব্যবহারকে ব্যভিচারের পর্যায়ে গণ্য করা হয়েছে।তবে নারী সহবাসের পরে লজ্জাস্থানে আতর  ব্যবহার করতে পারে। 
 
ষষ্ঠ শর্ত :খেয়েল রাখতে হবে যেন কোন ভাবেই একজন নারীর পোশাক পুরুষের পোশাকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ না হায়।
 
সপ্তম শর্ত :ইহুদী-খ্রিস্টান বা বিধর্মীর পোশাকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ না হওয়া। কেননা ইসলামী শরীয়ত কাফেরদের সাদৃশ্য অবলম্বন করতে কড়া নিষেধ করেছে।এতাতে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা কড়া হয় এবং পাপও হয় ।
 
অষ্টম : প্রসিদ্ধি লাভের পোশাক না হওয়া।তবে একজন মেয়ে বা মহিলা কেবল মাত্র তার স্বামীকে খুশী করার জন্য  ইচ্ছে মত ইসলামী শরিয়াত অনুসারে  সাঁজতে পারে।
 
পর্দাও একটি ইবাদত। আল্লাহ আমাদের সঠিক ভাবে পর্দা করার তৈফিক দিন।
আমিন।

Share:

ইসলামী শাসনের একটি নমুনা


মুহাম্মাদ বিন ওবায়দুল্লাহ হ’তে থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা দ্বিতীয় খলীফা হযরত ওমর (রাঃ)-এর নিকটে কিছু কাপড় আসলে তিনি সেগুলি হকদারগণের মাঝে বন্টন করে দেন। এতে আমাদের প্রত্যেকে একটি করে কাপড় পেল। কিন্তু তিনি নিজে দু’টি কাপড় দিয়ে তৈরী একটি পোষাক পরিধান করে খুৎবা দিতে মিম্বরে আরোহণ করলেন। অতঃপর বললেন, হে লোকসকল! তোমরা কি আমার কথা শ্রবণ করছ না? এমতাবস্থায় বিখ্যাত ছাহাবী সালমান ফারেসী (রাঃ) উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, জি না, আমরা শ্রবণ করব না। ওমর (রাঃ) বললেন, কেন হে আবু আব্দুল্লাহ? তিনি বললেন, আপনি আমাদেরকে একটি করে কাপড় দিয়েছেন। অথচ আপনি পরিধান করেছেন (দুই কাপড়ের) বড় পোষাক! ওমর (রাঃ) বললেন, ব্যস্ত হয়ো না হে আবু আব্দুল্লাহ! অতঃপর তিনি ছেলে আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ)-কে ডাকলে তিনি উঠে দাঁড়ালেন। অতঃপর ওমর (রাঃ) বললেন, আমি আল্লাহ্র কসম করে জিজ্ঞেস করছি, আমার পোষাকে যে অতিরিক্ত কাপড় রয়েছে, সেটা কি তোমার নয়? আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বললেন, জি, এটি আমার। অতঃপর সালমান ফারেসী (রাঃ) বললেন, এখন আপনি বক্তব্য শুরু করুন, আমরা শ্রবণ করব(ইবনুল ক্বাইয়িম, ই‘লামুল মুওয়াক্কেঈন ২/১২৩; ছিফাতুছ ছাফওয়াহ ১/২০৩)
আবুবকর (রাঃ)-এর গোপন আমল.

প্রথম খলীফা আবুবকর (রাঃ) ফজরের ছালাত আদায় করে মরুভূমির দিকে গমন করতেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান  করে শহরে ফিরে আসতেন। ওমর (রাঃ) তার প্রত্যহ এরূপ গমনের দৃশ্য দেখে আশ্চর্যান্বিত হ’লেন। তাই একদিন ফজরের ছালাতের পর আবুবকর (রাঃ) যখন বের হ’লেন, তখন তিনি গোপনে তাঁকে অনুসরণ করতে লাগলেন। অতঃপর তিনি একটি টিলার পিছনে লুকিয়ে থাকলেন ও আবুবকর (রাঃ)-কে একটি পুরাতন তাঁবুতে প্রবেশ করতে দেখলেন। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর বের হয়ে গেলেন। অতঃপর ওমর (রাঃ) টিলার আড়াল থেকে বের হয়ে উক্ত তাবুতে প্রবেশ করলেন। সেখানে তিনি এক অন্ধ দুর্বল মহিলাকে দেখতে পেলেন, যার কয়েকটি শিশু রয়েছে। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নিকটে কে আসে? মহিলা বলল, আমি তাকে চিনি না। তিনি একজন মুসলিম। প্রতিদিন সকালে তিনি আমাদের কাছে আসেন। অতঃপর আমাদের গৃহ পরিষ্কার করেন, আটা পিষে দেন এবং গৃহপালিত পশুগুলির দুগ্ধ দোহন করেন, তারপর তিনি চলে যান। বিস্ময়াভিভূত ওমর বেরিয়ে আসলেন এবং বললেন,قَدْ أَتْعَبْتَ الْخُلَفَاءَ مِنْ بَعْدِك- يَا أَبَا بَكَر হে আবুবকর! পরবর্তী খলীফাদের উপর তুমি কত কষ্টই না চাপিয়ে দিলে! (তারীখু দিমাশক ৩০/৩২২)
ইমাম মাওয়ার্দী (রহঃ)-এর গোপন আমল
ইমাম মাওয়ার্দীর গোপন আমল সম্পর্কে একটি কাহিনী প্রসিদ্ধ রয়েছে। তিনি তাফসীর, ফিক্বহসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনেক গ্রন্থ রচনা করেন। কিন্তু জীবদ্দশায় সেসব গ্রন্থ কোনটিই প্রকাশিত হয়নি। পরে তাঁর মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে তিনি তার একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে ডেকে এনে বললেন, ‘অমুক স্থানে যে বইগুলি রয়েছে সবগুলিই আমার রচিত। যখন আমার মৃত্যুযন্ত্রণা উপস্থিত হবে, তখন তুমি তোমার হাতকে আমার হাতের মধ্যে রাখবে। এসময় যদি আমি আমার হাত টেনে নেই, তাহ’লে তুমি বুঝবে যে, আমার কিছুই আল্লাহ্র নিকটে কবুল হয়নি। এমতাবস্থায় তুমি রাতের অাঁধারে আমার সকল লেখনী দজলা নদীতে নিক্ষেপ করবে। আর যদি আমি আমার হাত প্রসারিত করি, তাহ’লে বুঝবে যে, আমার লেখাগুলো আল্লাহ্র নিকটে কবুল হয়েছে। আর আমি আমার খালেছ নিয়তে কৃতকার্য হয়েছি’। অতঃপর মৃত্যুকালে তিনি স্বীয় হাত প্রসারিত করে দিলেন। ফলে পরবর্তীতে তাঁর সকল লেখনী প্রকাশিত হ’ল। (অফিয়াতুল আ‘ইয়ান ৩/২৮৩; তারীখু বাগদাদ ১/৫৪; তাবাকাতুশ শাফেঈয়াহ ৫/২৬৮)
আলী বিন হুসায়েন (রহঃ)-এর গোপন আমল

আলী (রাঃ)-এর পৌত্র আলী বিন হুসায়েন (রহঃ) বলতেন, ‘রাতের অন্ধকারে কৃত ছাদাক্বা আল্লাহ্র ক্রোধ দূরীভূত করে’। তাই রাতের অাঁধারে তিনি ছাদাক্বার খাদ্যসমূহ পিঠে বহন করে শহরের ফকীর-মিসকীন ও বিধবাদের গৃহে পৌঁছে দিতেন; অথচ তারা জানতে পারতো না কে তাদেরকে এ খাদ্যসামগ্রী দিয়ে গেল। আর সবার অজান্তে যাতে এ কাজ করতে পারেন, সেজন্য তিনি কোন খাদেম, দাস কিংবা অন্য কারোরই সহযোগিতা নিতেন না। এভাবে অনেক বছর যাবৎ তিনি গোপনে এ কাজ করে যান। কিন্তু ফকীর ও বিধবারা জানতেই পারেনি যে, কিভাবে তাদের নিকটে এ খাদ্য আসে। অতঃপর যখন তিনি মৃত্যুবরণ করলেন এবং তারা তার পৃষ্ঠদেশে কালো দাগ দেখতে পেল। তারা বুঝতে পারল যে, তিনি তাঁর পিঠে কিছু বহন করার ফলে এই দাগের সৃষ্টি হয়েছে। অতঃপর তাঁর মৃত্যুতে শহরে উক্ত গোপন দান বন্ধ হয়ে গেল। রাবী ইবনে আয়েশা বলেন, তাঁর মৃত্যুর পর শহরবাসী বলতে লাগল, আলী বিন হুসায়েন মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা গোপন দান থেকে বঞ্চিত হইনি। (হিলইয়াতুল আওলিয়া ৩/১৩৬; ছিফাতুছ ছাফওয়াহ ২/৯৬; আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ ৯/১১৪; তাহযীবুল কামাল ১৩/২৪২, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৪/৩৯৩)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,نِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَكُونَ لَهُ خَبِيءٌ مِنْ عَمَلٍ صَالِحٍ فَلْيَفْعَلْ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সৎ আমলসমূহ গোপনে করতে পারে, সে যেন তাই করে (ছহীহুল জামে‘ হা/৬০১৮; ছহীহাহ হা/২৩১৩)
*সংকলনে : আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব
Share:

হে মানুষ আল্লাহকে ভয় কর!

মানুষের প্রতি আল্লাহর সর্বশেষ আহবান ‘তোমরা ভয় কর সেই দিনকে, যেদিন তোমরা সকলে ফিরে যাবে আল্লাহর কাছে। অতঃপর প্রত্যেকে পাবে তার স্ব স্ব কর্মফল। আর তারা কেউ সেদিন অত্যাচারিত হবে না (বাক্বারাহ ২৮১)। বস্ত্ততঃ এটাই ছিল কুরআনের সর্বশেষ আয়াত, যা রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর ৭ বা ২১দিন পূর্বে নাযিল হয়েছিল। দেশে ক্রমেই রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দলাদলির মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের রাজনীতির এটাই হ’ল তিক্ত পরিণতি। এখানে বিবেক ভোঁতা, হিংসা প্রবল। এখানে মিথ্যা সুন্দর, সত্য অসুন্দর। এখানে বিচার অচল, উচ্ছ্বাস মুখ্য। অথচ সত্য চিরদিন সত্য। তা কখনোই সংখ্যার মুখাপেক্ষী নয়। দেড় হাযার বছর পূর্বেই আল্লাহ আমাদেরকে সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘তোমার প্রভুর বাণী সত্য ও ন্যায় দ্বারা পূর্ণ। তাঁর বাণীর পরিবর্তনকারী কেউ নেই। তিনি সবকিছু শোনেন ও জানেন’। ‘অতএব যদি তুমি জনপদের অধিকাংশ লোকের কথা মেনে চলো, তাহ’লে ওরা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে ফেলবে। কারণ ওরা কেবল ধারণার অনুসরণ করে এবং ওরা কেবল অনুমানভিত্তিক কথা বলে’। ‘তোমার প্রভু ভালভাবেই জানেন কে তার পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনি ভালভাবেই জানেন কে সুপথপ্রাপ্ত’(আন‘আম ১১৫-১১৭)। অতএব রাস্তা যদি সবকিছুর নিয়ামক হয়, তাহ’লে ইলেকশন, সংসদ, আদালত এসব কি দরকার? ফিরে চলুন সেই আদিম যুগে? মাইট ইজ রাইট-এর যুগে?

বিশ্বব্যাপী হিংসা-হানাহানির মূলে রয়েছে শয়তানের তাবেদারী। আল্লাহ বলেন, স্থলে ও সাগরে সর্বত্র বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে, যা মানুষের কৃতকর্মের ফল। এটা এজন্য যে, আল্লাহ চান তাদের কৃতকর্মের কিছু স্বাদ আস্বাদন করাতে। যাতে তারা ফিরে আসে’ (রূম ৪১)। এর মন্দ পরিণতি বাস্তবে জানার জন্য তিনি মানুষকে আহবান করে বলেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ পূর্ববর্তীদের পরিণাম কি হয়েছিল। তাদের অধিকাংশ মুশরিক ছিল’ (রূম ৪২)। তারা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও তাঁর প্রতি আনুগত্যকে অস্বীকার করে নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও নফসের প্রতি আনুগত্যকে প্রতিষ্ঠা করেছিল। ফলে নিজেরা নিজেদের ধ্বংস ডেকে এনেছিল। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সীমান্ত অরক্ষিত। সর্বত্র লুটপাট ও দুর্নীতি স্পষ্ট। নদীমাতৃক বাংলাদেশ আজ মরুভূমি। মানুষের জান-মাল ও ইযযত এখন সবচেয়ে সস্তা সামগ্রী। অথচ সবকিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে হঠাৎ কার ইশারায় আমরা ফিরে গেলাম এমন একটি ইস্যুতে যাতে জাতির কোন মঙ্গল নেই। বরং আছে কেবলই অকল্যাণ আর অকল্যাণ। যার নিদর্শন ইতিমধ্যে পরিস্ফূট। ষড়যন্ত্রকারীরা দূরে বসে মুখ টিপে হাসছে। অতএব হে জাতি! সাবধান হও! ফিরে এসো এমন অবস্থায় পেঁŠছনোর আগে, যেখানে পৌছে গেলে আর ফিরতে পারবে না। তখন ধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়বে। আর সেটাই সুঁড়সুড়ি দাতাদের একান্ত কাম্য ও বড়ই আরাধ্য। বিশ্ব ইতিহাসে সমূলে ধ্বংসপ্রাপ্ত ৬টি জাতির কথা আল্লাহ কুরআনে বর্ণনা করেছেন। তারা হ’ল কওমে নূহ, ‘আদ, ছামূদ, লূত, মাদিয়ান ও কওমে ফেরাঊন। এইসব জাতির নেতারা নবীগণের অবাধ্য হয়েছিল এবং তাদের দোষেই পূরা জাতি ধ্বংস হয়েছিল। তাই নেতাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সর্বাধিক। যাকে বিমানের পাইলট ও বাসের ড্রাইভারের সাথে তুলনা করা যায়। অতএব নেতাদের কর্তব্য হ’ল জনগণের আক্বীদা ও বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। কিন্তু ইংরেজ শাসকরা যতটুকু করত, এখন সেটুকুও দেখা যাচ্ছে না। দিল্লীতে মাত্র একজন মুসলিম নাগরিক, যিনি অমিত সাহস নিয়ে গরু কুরবানী করেছিলেন। তার প্রতি সম্মান জানিয়ে সংখ্যাগরিষ্টের প্রবল চাপকে উপেক্ষা করে ইংরেজ সরকার সেদিন ভারতবর্ষে গরু কুরবানী নিষিদ্ধ করেনি। অথচ এখন এই মুসলিম দেশে প্রকাশ্যে ইসলাম ও ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে ও কুরআনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা হচ্ছে। আর নেতারা তাতে সমর্থন দিচ্ছেন। আল্লাহ বলেন, তুমি তোমার চেহারাকে আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি একনিষ্ঠ কর। আল্লাহর পক্ষ হ’তে সেই দিন আসার পূর্বে, যা অনিবার্য এবং যেদিন সবাই বিভক্ত হয়ে পড়বে’। ‘অতএব যে ব্যক্তি অবিশ্বাস করবে, তার অবিশ্বাসের শাস্তি তার উপরে বর্তাবে। আর যারা (বিশ্বাসী হবে ও সে অনুযায়ী) সৎকর্ম সম্পাদন করবে, তারা নিজেদের জন্য (জান্নাতে) সুখশয্যা রচনা করবে’(রূম ৪৩-৪৪)। সমাজে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব সবার। তবে প্রধান দায়িত্ব হ’ল সরকারের। জনগণের পক্ষে সরকারই এজন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। সরকার, প্রশাসন ও আদালত তাই কোন দলের নয়, বরং জনগণের। জনগণই তাদের বেতন-ভাতা প্রদান করে থাকে। অতএব তাদেরকে অবশ্যই দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে থাকতে হবে ও সকলের প্রতি নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘কোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ যেন তোমাদেরকে সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা ন্যায়বিচার কর, যা আল্লাহভীরুতার সর্বাধিক নিকটবর্তী। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে ওয়াকিফহাল’ (মায়েদাহ ৮)।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যখন মানুষ কোন অন্যায় হ’তে দেখে, অথচ  তা প্রতিরোধ করে না, আল্লাহ সত্বর তাদের উপর ব্যাপক গযব নামিয়ে দিবেন (তিরমিযী)। নিঃসন্দেহে পাপ-পুণ্য সেটাই যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নির্ধারণ করেছেন। মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছা কখনো ন্যায়-অন্যায় ও পাপ-পুণ্যের মানদন্ড নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বলে দাও যে, সত্য কেবল তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ হতে আসে। অতঃপর যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করুক। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে  তা অবিশ্বাস করুক। আমরা যালেমদের জন্য জাহান্নাম প্রস্ত্তত করে রেখেছি’(কাহফ ২৯)।  একদল ধর্মনেতা ও সমাজনেতা নিজেদের কথা ও কাজকে সর্বোত্তম ও চূড়ান্ত বলে মনে করেন। অথচ আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বলে দাও, আমি কি তোমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত আমলকারীদের সম্পর্কে খবর দিব না’? ‘যাদের পার্থিব জীবনের সকল কর্ম বরবাদ হয়েছে। অথচ তারা ভাবে যে, তারা সুন্দর কর্মসমূহ সম্পাদন করেছে’। ‘এরা হ’ল তারাই যারা তাদের প্রতিপালকের আয়াতসমূহকে ও তাঁর সাক্ষাৎকে অবিশ্বাস করেছে। ফলে তাদের সকল কর্ম বিনষ্ট হয়েছে। অতএব ক্বিয়ামতের দিন আমরা তাদের আমলসমূহ ওযনের জন্য দাঁড়িপাল্লা খাড়া করব না’ (কাহফ ১০৩-০৫)। অর্থাৎ তাদের প্রতি কোনরূপ দৃকপাত করা হবে না।উচ্ছ্বাস কোন বাধা মানে না। তা সাধারণতঃ চরমপন্থী হয়ে থাকে। যা একদিন হযরত ওছমান ও হযরত আলী (রাঃ)-কে হত্যা করেছিল। সেদিন ইহুদী চক্রান্ত তাদের পিছনে কাজ করেছিল। সম্প্রতি ‘আরব বসন্ত’ নামে যে ঢেউ তোলা হয়েছিল। এখন যা সিরিয়ায় চলছে; তা সেসব দেশের গণমানুষের কোন কাজে আসেনি। বরং যাদের মদদে এটা হয়েছিল, তাদেরই লুণ্ঠনের পথ সুগম হয়েছে। এই উচ্ছ্বাস একদিন শেখ মুজিবের পাহাড়সম জনপ্রিয়তাকে নিমেষে ধূলায় মিশিয়ে দিয়েছিল এবং তাঁর অনুসারীদের মধ্য থেকেই দেশে প্রথম  বিরোধীদল খাড়া হয়েছিল। কারা সেই উচ্ছ্বাসের পিছনে সেদিন ইন্ধন যুগিয়েছিল আশা করি মুজিবকন্যার তা অজানা নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা তরুণদের ও বোকাদের নেতৃত্ব থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাও (আহমাদ, তিরমিযী)। তিনি বলেন, আল্লাহ যাকে জনগণের নেতৃত্ব দান করেন, অথচ সে তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল এবং ঐ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল, আল্লাহ তার উপর জান্নাতকে হারাম করে দেন <em>(বুখারী, মুসলিম)। তিনি বলেন, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের নীচে সাত শ্রেণীর মানুষ ছায়া পাবে। তাদের মধ্যে প্রথম হ’ল ন্যায়পরায়ণ শাসক ও বিচারক। দ্বিতীয় হ’ল ঐ যুবক, যে আল্লাহর দাসত্বে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে... (বুখারী, মুসলিম)। পরিশেষে বলব, আল্লাহ ও তাঁর বিধানই কেবল সত্য ও সুন্দর। সেই সত্যকে প্রতিষ্ঠা দানের জন্য সত্যসেবীদের এগিয়ে আসা কর্তব্য। রাষ্ট্র ও সমাজনেতাগণ সেই সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে দেশে আল্লাহর গযব অনিবার্য হয়ে পড়বে। অতএব হে মানুষ আল্লাহকে ভয় কর!
Share:

ইসলামে ছেলেদের ক্ষেত্রে স্ত্রী নির্বাচন আর মেয়েদের ক্ষেত্রে স্বামী নির্বাচন বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ


আজকে তেমনি কিছু কথা ইনলামিক রেফারেঞ্চ সহ বলার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ্‌। 

মনে রাখবেন!একজন স্ত্রী মানে আপনার জীবন সঙ্গিনী , আপনার ঘরের রানী , আপনার হৃদয়ের প্রশান্তিদানকারিণী, সন্তানের জননী ও পরকালের কাজের উৎসাহ দানকারিণী। তাই স্ত্রী হিসেবে কাকে মনোনীত করছেন,তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয়।এখন আপনি যদি পুণ্যবতী দ্বীনদার স্ত্রী নির্বাচন করতে ভুল করেন তাহলে আপনি পারিবারিক জীবনে দুঃখ ও হতাশার মধ্যে পরে যাবেন।যা জীবনকে খুবই মারাক্তক ভাবে প্রভাবিত করে। তাই স্ত্রী নির্বাচনে যেমন নারীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করা আপনার জন্য ফিতনার কারণ হতে পারে তা জেনে নেয়া এবং  এর মর্ম  উপলদ্ধি করা আপনার জন্য আবশ্যক। 


যেমন নারীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করা করার আগে ২য় বার চিন্তা করে দেখা উচিত ,
১। পর্দাহীন নারী (মাহরাম , গাইর-মাহরামের ধারণা নেই এমন)
২। ঝগড়াটে 
৩। গীবতকারিণী 
৪। চোগলখোরিনি 
৫। ছবি তোলা , মূর্তি ভাস্কর্য ইত্যাদির প্রতি আকৃষ্ট নারী
৬। হিংসুটে নারী
৭। অভিশাপকারিণী
৮। প্রেম,অবাধবিচরণকারিণী অর্থাৎ  ব্যভিচারিণী
৯। নগ্ন-অর্ধনগ্ন পোশাক পরিহিতা
১০। সালাত পরিত্যাগকারি
১১। অতিরিক্ত বিলাসিনী
১২। বাধ্যযন্ত্র ও গানবাজনা শুনতে অভ্যস্ত নারী
১৩। অতিআরাম প্রিয় ও ঘুমকাতর নারী। 

পরিশেষে ভাইদের বলতে চাই ভাল মানুষের সাথে ভাল মানুষের মিল হয়। তাই ভাল স্ত্রী পেতে চাইলে আপনাকেও ভাল হওয়া অবশ্যই জরুরী।যেমন পবিত্র কোরআনের সূরা আন-নূর এর ২৬ নং আয়াতে উল্লেখ করে মহান আল্লাহ্‌  বলেন...

ٱلْخَبِيثَٰتُ لِلْخَبِيثِينَ وَٱلْخَبِيثُونَ لِلْخَبِيثَٰتِ وَٱلطَّيِّبَٰتُ لِلطَّيِّبِينَ وَٱلطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَٰتِ أُو۟لَٰٓئِكَ مُبَرَّءُونَ مِمَّا يَقُولُونَ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ

উচ্চারণঃ আলখাবীছা-তুলিলখাবীছীনা ওয়াল খাবীছূনা লিলখাবীছা-তি ওয়াততাইয়িবা-তু লিততাইয়িবীনা ওয়াততাইয়িবূনা লিততাইয়িবা-ত উলাইকা মুবাররাঊনা মিম্মাইয়াকূলূনা লাহুম মাগরিফাতুওঁ ওয়ারিঝকুন কারীম।

অর্থঃ দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। 

তাই ভাল স্ত্রী পেতে হলে আপনাকেও ভাল হওয়ার বিকল্প কিছু নাই।তার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত আল্লাহর কাছে দোয়া করা জরুরী। 
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَٰجِنَا وَذُرِّيَّٰتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَٱجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

উচ্চারণঃ রাব্বানা-হাবলানা-মিন আঝওয়া-জিনা-ওয়া যুররিইইয়া-তিনা কুররাতা আ‘ইউনিওঁ ওয়াজ‘আলনা-লিলমুত্তাকীনা ইমা-মা-।

অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর। 

আলহামদুলিল্লাহ্‌।
Share:

গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের যা যা করনীয়।

একটি শিশু এসে একজন নারীর জীবনকে ধন্য করে তোলে। একজন নারী এক জীবন থেকে নতুন জীবনে পদার্পণ করে মাতৃস্নেহ নিয়ে।সন্তান জন্ম দিলে একজন  জন্মদাত্রী হওয়া যায়। তবে প্রকৃত মা হতে হলে সন্তানের সঠিক  প্রতিপালন গুরুত্বপূর্ণ। তাই গর্ভবতী অবস্থায় একজন মায়ের ইসলামিক দৃষ্টিতে কিছু কাজ ও শরিয়াত সম্মত কিছু দিক নির্দেশনা যা মেনে চললে সন্তানের ভবিষ্যৎ সুন্দর ও  সুখময় করে তলেন মহান আল্লাহ।

মায়ের গর্ভে শিশুর শিক্ষা পর্ব ঃ
আলহামদুলিল্লাহ্‌! প্রত্যেক মায়ের গর্ভে শিশু চল্লিশ দিন পর্যন্ত বীর্য  আকারে অবস্থান করে। অতঃপর পরবর্তী চল্লিশ দিন জমাট রক্তে পরিনত হয়।এরপর তা আরো চল্লিশ দিনের মধ্যে মাংসের টুকরায় পরিণত হয়।অতঃপর আল্লাহ্‌ একজন ফেরেশতাকে প্রেরণ করেন যাকে মানব শিশুটির ব্যাপারে চারটি বিষয় অর্থাৎ রিজিক , আয়ুকাল , ভাগ্যের ভাল  ও মন্দ সম্পর্কে লিখতে বলা হয়। এরপর  উক্ত মানব ভ্রূণের মধ্যে আত্মা (জীবন) দিয়ে দেয়া হয়। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম) ।
মেডিক্যাল সাইন্স বলে গর্ভবতী হওয়ার পর প্রথম মাসেই শিশুর হৃদপিণ্ড তৈরি হয় এবং গর্ভধারণের দেড় মাসের মধ্যেই শিশুর হৃদপিণ্ড কাজ করতে শুরু করে। পরবর্তী দু মাসের ভেতর হাত-পা এবং অন্যান্য অঙ্গসমূহ তৈরি হয়ে যায়।তিন মাস পর থেকে সে ধীরে ধীরে বড়ো হতে থাকে। পঞ্চম মাসে সে শুনতে পায়।তাই একজন গর্ভবতী মায়ের উচিত তৃতীয় মাস থেকে একটু জোরে জোরে কোরআন মাজিদ তিলায়ত করা ও হাদিস পড়া।পঞ্চম মাস থেকে পেটের সন্তানের সাথে কথা বলা যেতে পারে।ভালো ভালো কথা বলা অবশ্যয় বাঞ্ছনীয়।যদি প্রথন সন্তান হয় তাহলে সন্তান নড়াচড়া করার জন্য বিশ সপ্তাহ সময় নিতে পারে অর্থাৎ টের পাওয়া যায় ।তবে প্রথম সন্তান না হলে অর্থাৎ দ্বিতীয় বা তৃতীয় হলে ষোলো বা আঠারো সপ্তাহ সময় এর মধ্যে সন্তান নড়াচড়া টের পাওয়া যেতে পারে।
এসময় গর্ভে সন্তান নাভীর মাধ্যমে খাদ্যগ্রহণ করে তিল তিল করে বড় হতে থাকে।তাই মায়ের চরিত্রের  যথেষ্ট প্রভাব সন্তানের উপর পড়ে।কোন মা যদি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত(নামাজ) আদায় করা উচিত।
এসময় টিভির সামনে বসে না থেকে  অশ্লীল গান , নাচ , সিরিয়াল , নাটক , সিনেমা  ইত্যাদি দেখা থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরী ।

বরং এসময় সন্তানের জন্য বেশী বেশী দোয়া করা খবই গুরুত্বপূর্ণ।যেমন পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে। যখন হযরত ইমরান (আঃ) এর স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন তখন তিনি এই দোয়াটি পাঠ করেছিলেন।

إِذْ قَالَتِ ٱمْرَأَتُ عِمْرَٰنَ رَبِّ إِنِّى نَذَرْتُ لَكَ مَا فِى بَطْنِى مُحَرَّرًا فَتَقَبَّلْ مِنِّىٓ إِنَّكَ أَنتَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ

উচ্চারণঃ ইযকা-লাতিম রাআতু‘ইমরা-না রাব্বি ইন্নী নাযারতুলাকা মা-ফী বাতনী মুহাররারান ফাতাকাব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আনতাছ ছামী‘উল ‘আলীম।(সূরা আলে ইমরান । আয়াতঃ ৩৫)

অর্থঃ এমরানের স্ত্রী যখন বললো-হে আমার পালনকর্তা! আমার গর্ভে যা রয়েছে আমি তাকে তোমার নামে উৎসর্গ করলাম সবার কাছ থেকে মুক্ত রেখে। আমার পক্ষ থেকে তুমি তাকে কবুল করে নাও, নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞাত।


এর পরে আরো দোয়া যেমন নিচে উল্লেখিত আয়াত পাঠ করতে পারেন। 

رَبِّ هَبْ لِى مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ ٱلدُّعَآءِ

উচ্চারণঃ রাব্বি হাবলী মিল্লাদুনকা যুররিইইয়াতান তাইয়িবাতান ইন্নাকা ছামী‘উদ্দু‘আই।(সূরা আলে ইমরান । আয়াতঃ- ৩ঃ ৩৮)
অর্থঃ হে, আমার পালনকর্তা! তোমার নিকট থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান কর-নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী। 


رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَٰجِنَا وَذُرِّيَّٰتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَٱجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

উচ্চারণঃরাব্বানা-হাবলানা-মিন আঝওয়া-জিনা-ওয়া যুররিইইয়া-তিনা কুররাতা আ‘ইউনিওঁ ওয়াজ‘আলনা-লিলমুত্তাকীনা ইমা-মা-।

অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর। 

সন্তান জন্মের আগের নৈতিক দায়িত্ব ঃ

১। মা-বাবা উভয়ে উত্তম ও ভালো কাজের নিয়াত করা।
২। মা-বাবা উভয়ে হালাল উপার্জন করা।
৩। মা-বাবা উভয়ে হালাল খাবার খাওয়া ।
৪। ওয়াক্ত মত দৈনিক পাঁচ সালাত আদায় করা।
৫। সম্ভব হলে মাঝে মাঝে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা।
৬। সালাতের পর আল্লাহর কাছে একা একা হাত তুলে দোয়া করা।
৭। দুজনেই খুব বেশী বেশী ভালো কাজ করা। 
৮। প্রতিদিন আল-কোরআন অর্থসহ তিলাওয়াত করতে চেষ্টা করা।
৯। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করা।
১০। ইসলামিক বই পড়া , মানুষের সাথে ভাল আচরণ করা। 
১১। গরীবের মাঝে দান-সদকা করা।
১২। গীবত পরনিন্দা একেবারেই না করা, অহংকার না করা, খারাপ কাজ ও খারাপ কথা না বলা ।
১৩। টিভি বা ইন্টারনেটে অশ্লীল কোন কিছু না দেখা বা শোনা।


  
সন্তান জন্মের আগের স্বাস্থ্যগত দায়িত্ব ঃ

১। ডাক্তার দ্বারা নিয়মিত চেকআপ করানো।
২। গর্ভবতীর উপর কোন প্রকার মানসিক বা দৈহিক চাপ সৃষ্টি না করা।
৩। হাসিখুশি থাকা, পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা, ঠিকমত খানা পিনা করা, পরিমান মত পানি পান করা ,প্রতিদিন গোসল করা  ও যাবতীয় বিষয়ে যত্নবান হওয়া খুবই জরুরী একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য। 


সন্তান জন্মের পর দায়িত্ব  ঃ

১। সন্তানের সুন্দর ইসলামিক নাম রাখা।।
২। সন্তান জন্মের সপ্তম দিয়ে আকিকা করা। 
৩। মহান আল্লাহর নাম শুনানো। 
৪। মহানবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর দেখানো পথ অনুসারে সন্তানকে লালনপালন করে গড়ে তোলা এবং
৫। সন্তানের সকল প্রকার বালা-মসিবত ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা।

Share:

Hello

add code

জেনে নিন আমাদের সমাজের ২৪৪ টি কুসংস্কার ।

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে ...

Categories

Add Code